"প্রিয় শহরটি অপ্রিয় যখন"
মিজানুর ভূঁইয়া
যদি কেউ প্রশ্ন করে
এইখানে এই শহরে দীর্ঘাবাসে
আমি কেমন আছি!
এই ভাললাগা ভালবাসার বৃহৎ শহরে
অনায়াসে কাটিয়েছি সুদীর্ঘ আঠারোটি বছর।
হ্যা, এটিতো আমার অনেক ভালোলাগার
অনেকগুলো শহরের অন্যতম একটি শহর।
এখানকার মানুষ, জনপথ, নিয়ন আলো, জলবায়ু
সবই এখনো অনেক উপভোগ্য, অনেক প্রিয়।
এখানে বন্ধু-বান্ধব, সমাজ, সংস্কৃতি, জীবনবোধ
সবই অনেক প্রানবন্ত ও উপভোগ্য।
এখানে এখনো আছে দরাজ দিল
আছে প্রানখোলা আপ্যায়ন
আছে মধুরতম সম্পর্ক আছে প্রীতিবন্ধন। I
এখানে আকাশ এখনো অনেক নীল হয়
সূর্য্ উঠে আবার মেঘে ঢাকে।
এখনো স্বচ্ছ আলো এবং নির্মল বায়ু মন কেড়ে নেয়
সব কিছুই নিয়ম মাফিক চলছে ঠিকঠাক।
তবুও কখনো কখনো মন কেন যেনো হয়ে উঠে বিষন্ন
সব ভালোলাগাগুলো কেন যেনো
মাঝে মাঝে মনে হয় প্রাণহীন, খুব একগুয়ে।
হাজার প্রানচাঞ্চল্যতা চারিদিকে তবুও মনে হয়
জীবন একেবারই শুস্ক ও স্থবির।
মন শুধু বারে বারে ধেয়ে চলে যায় নতুন দিগন্তে
কোনো এক অন্য শহরে
যেখানে সব কিছুই সাজানো নতুন করে।
সব কিছুই খুঁজে নিবো একেক করে
গড়ে তুলবো নতুন সপ্নের আঙ্গিনা, নতুন ভুবন
যেখানে চোখ ও মনের প্রশান্তি মিলিত হবে একইবিন্দুতে।
জীবনের সকল স্বপ্নেরা খুলে দিবে
সুখের প্রসস্থ এক নতুন জানালা।
একরাশ প্রশান্তি ভিড়বে আবার মনের চারিপাশে
নতুন উদ্বিপনার আলোক শিখা নিয়ে।
এখানে সব কিছুই এতো আপন, এতো প্রিয়
তবুও এই শহরের সব কিছুই
দিনের পর দিন পাল্টে দিচ্ছে এই মন
পাল্টে দিচ্ছে চোখের দৃষ্টি নন্দনতাকে।
মন শুধুই খুঁজে বেড়ায়
কোনো এক নতুন ঠিকানা, নতুন আবাসন
নতুন প্রকৃতি, নতুন জলবায়ু, নতুন মাটির গন্ধ
নতুন আকাশ, নতুন বাতাস, নতুন আলো
নতুন সমাজ, নতুন মানুষ, নতুন সঙ্গতা, নতুন ভালবাসা
এসব কিছুকে বড়ই আপন করে পেতে ইচ্ছে করে।
==========================
৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্বাধিকার সংরক্ষিত)
Wednesday, December 30, 2015
Saturday, December 26, 2015
"সাগর অবগাহন ও আনন্দ শিহরণ"
"সাগর অবগাহন ও আনন্দ শিহরণ"
মিজানুর ভূঁইয়া
খানিকটা ঘন কুয়াশায় সাগরজল রেখেছে ঢেকে
ঢেউগুলো সব তীরে ভীড়ে একে বেকে।
সাগর সৈকত দর্শনার্থীরা অবগাহন করছে হেটে হেটে
মনে সবার একই আনন্দ চমকিয়া উঠে ফেটে ফেটে।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
নীল দরিয়ার বুকে একফালি ফুটফুটে চাঁদ হাঁসে।
মনে কতো খুশির ফোয়ারা নিয়ে
আসে কতজন ভিন্ন মুলুক থেকে
মনের সব ক্লান্তি আর অবশাদগুলো মুছে দিতে।
মানুষ যখন জীবনের এক গুয়েমিতে কিছুটা বিষন্ন
তখন সাগর সঙ্গতায় খুঁজে পায় জীবনের সব সাধ।
সাগরই যেনো হয়ে উঠে জীবনের পরম বন্ধু
তাইতো খানিক সঙ্গতার আশায় ছুটে চলে
মন দূর সাগর পানে।
সাগরের ঢেউগুলো যেমন তীরে এসে
হয়ে যায় একেবারে শান্ত সুবোদ।
তেমনি জীবনের সব ক্লান্তিগুলো
নিরসন হয়ে যায় সাগর সঙ্গতা পেয়ে।
--------------------------------------------
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
মার্টেল বীচ সাউথ কেরোলিনা
ইউ এস এ
মিজানুর ভূঁইয়া
খানিকটা ঘন কুয়াশায় সাগরজল রেখেছে ঢেকে
ঢেউগুলো সব তীরে ভীড়ে একে বেকে।
সাগর সৈকত দর্শনার্থীরা অবগাহন করছে হেটে হেটে
মনে সবার একই আনন্দ চমকিয়া উঠে ফেটে ফেটে।
আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
নীল দরিয়ার বুকে একফালি ফুটফুটে চাঁদ হাঁসে।
মনে কতো খুশির ফোয়ারা নিয়ে
আসে কতজন ভিন্ন মুলুক থেকে
মনের সব ক্লান্তি আর অবশাদগুলো মুছে দিতে।
মানুষ যখন জীবনের এক গুয়েমিতে কিছুটা বিষন্ন
তখন সাগর সঙ্গতায় খুঁজে পায় জীবনের সব সাধ।
সাগরই যেনো হয়ে উঠে জীবনের পরম বন্ধু
তাইতো খানিক সঙ্গতার আশায় ছুটে চলে
মন দূর সাগর পানে।
সাগরের ঢেউগুলো যেমন তীরে এসে
হয়ে যায় একেবারে শান্ত সুবোদ।
তেমনি জীবনের সব ক্লান্তিগুলো
নিরসন হয়ে যায় সাগর সঙ্গতা পেয়ে।
--------------------------------------------
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
মার্টেল বীচ সাউথ কেরোলিনা
ইউ এস এ
"সাগর যখন মনের সাথী"
সাগর যখন মনের সাথী"
মিজানুর ভূঁইয়া
সমুদ্র জলে কি অপরূপ ফেনিলতা
কি অপূর্ব মধুর সুরগর্জন
হৃদয় মাঝে লাগে স্পন্দন সুরতোলা।
আঁখি দুটো জুড়িয়ে যায়
তাকিয়ে রই এক পলকে প্রাণ মন দিয়ে।
বারান্দার কানসিতে বসে চেয়ে রই
একরাস মুগ্ধতায় প্রকৃতি দিয়েছে
কতো মনোরমতা কতো সুন্দর এই ভুবনে।
সাগরের বুকে জলদের
কতো যে উত্ফুল্লতা, কতো রঙের মেলা।
ভর পূর্নিমার আলোর সাথে মিশে
করে রিমিঝিমি ঝিকিমিকি নানা রঙ্গের খেলা।
পৃথিবীর যতো ব্যথা যতো কান্না
এই সমুদ্রই ধুইয়ে নিয়ে যায় তার বুকে
সমুদ্রের কাছে এলে তাইতো সব দুঃখ যায় মুছে।
অজস্র্র কান্নার জল বুকে তার
তাইতো সমুদ্র ফুঁসে উঠে গর্জন তার এতো।
সাগরের মধ্যখানে উঠে জল তরঙ্গ
নৃত্য তালে এসে মিলে যায় তীরে
নিয়ে যায় ধুইয়ে মুছে মানুষের ফেলে যাওয়া বেদনা।
অপুরূপ মনমুগ্ধতায় দোলে প্রাণ নেচে উঠে হিয়া
সাগরের কলকল ধ্বনি তন্দ্রার ভিতরও কান পেতে শুনি।
রাতভর ক্ষণে ক্ষণে মন কোনে জাগে আনন্দ শিহরণ
মন মুর্ততায় বার বার জেগে উঠি
সাগর বুঝি নিয়ে যায় মোর বেদনার জল
হৃদয় থেকে মুছি।
পুলকিত হয়ে উঠে মন নিয়ে একরাশ খুশি
এ জীবনে এর চেয়ে আর কি চাই বেশী।
----------------------------------------
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
মার্টেল বীচ ,সাউথ ক্যারলিনা
মিজানুর ভূঁইয়া
সমুদ্র জলে কি অপরূপ ফেনিলতা
কি অপূর্ব মধুর সুরগর্জন
হৃদয় মাঝে লাগে স্পন্দন সুরতোলা।
আঁখি দুটো জুড়িয়ে যায়
তাকিয়ে রই এক পলকে প্রাণ মন দিয়ে।
বারান্দার কানসিতে বসে চেয়ে রই
একরাস মুগ্ধতায় প্রকৃতি দিয়েছে
কতো মনোরমতা কতো সুন্দর এই ভুবনে।
সাগরের বুকে জলদের
কতো যে উত্ফুল্লতা, কতো রঙের মেলা।
ভর পূর্নিমার আলোর সাথে মিশে
করে রিমিঝিমি ঝিকিমিকি নানা রঙ্গের খেলা।
পৃথিবীর যতো ব্যথা যতো কান্না
এই সমুদ্রই ধুইয়ে নিয়ে যায় তার বুকে
সমুদ্রের কাছে এলে তাইতো সব দুঃখ যায় মুছে।
অজস্র্র কান্নার জল বুকে তার
তাইতো সমুদ্র ফুঁসে উঠে গর্জন তার এতো।
সাগরের মধ্যখানে উঠে জল তরঙ্গ
নৃত্য তালে এসে মিলে যায় তীরে
নিয়ে যায় ধুইয়ে মুছে মানুষের ফেলে যাওয়া বেদনা।
অপুরূপ মনমুগ্ধতায় দোলে প্রাণ নেচে উঠে হিয়া
সাগরের কলকল ধ্বনি তন্দ্রার ভিতরও কান পেতে শুনি।
রাতভর ক্ষণে ক্ষণে মন কোনে জাগে আনন্দ শিহরণ
মন মুর্ততায় বার বার জেগে উঠি
সাগর বুঝি নিয়ে যায় মোর বেদনার জল
হৃদয় থেকে মুছি।
পুলকিত হয়ে উঠে মন নিয়ে একরাশ খুশি
এ জীবনে এর চেয়ে আর কি চাই বেশী।
------------------------------
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
মার্টেল বীচ ,সাউথ ক্যারলিনা
Saturday, December 19, 2015
"ভূল স্বর্গ"
"ভূল স্বর্গ"
-----------মিজানুর ভূঁইয়া
ফঁড়িংয়ের চঞ্চল দুটি ডানার মতোই
তুমি একেবারে অস্থির হয়েগেছো আজকাল।
তুমি উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছ এই ডাল থেকে ঐ ডালে
তবুও তোমার প্রত্যাশিত সুখকে খুঁজে পাওনি।
প্রতিনিয়তই তোমার মনের ভিতরের রংগুলোকে
উলট পালট করে সাজিয়েও
আসল রংটিকে তুমি বানাতে পারছোনা।
তোমার মনের অস্থিরতা তোমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে
আর তাই মিলাতে পারছোনা জীবনের সঠিক অঙ্কটুকু।
তোমার অস্থিরতা এবং কিংকর্তব্যবিমূড়তা
পরাজিত সৈনিকের মতোই তোমাকে হতাশার কূপে ডুবাচ্ছে।
আসল প্রেমের দরজা সব সময়ই খোলা থাকেনা
সেকথাটি হয়তো তুমি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলে।
তাই বার বার তুমি ভুল দরজাতেই কড়া নাড়ছো
সেকারণেই সমস্ত ভূত-পেত্নীগুলো তোমাকে পেয়ে বসছে।
জীবনের আসল ঠিকানাটিকে হারিয়ে
তুমি আজ ভুলের স্বর্গপুরিতে হাবুডুবু খাচ্ছো।
পূর্নিমার চাঁদ যেমন একজন বুভুক্ষ মানুষের কাছে
একটি শুকনো রুটির মতো মনে হয়
তোমার কাছেও ভালবাসা ঠিক তেমনি হয়েগেছে।
যে ভালোবাসাকে তুমি বঞ্চনা করেছো
সেই বঞ্চনাই তোমাকে তিলে তিলে পোহাতে হচ্ছে।
জীবন যখন প্রতিকূলতায় নিমজ্জিত
তখন সব ঠিকানাই ভুল ঠিকানা হয়ে আসে।
তোমার নিয়তি তোমায় কোন গন্তব্ব্যে নিয়ে পৌছায়
সেই অপেক্ষাই এখন তোমার শেষ ভরসা।।
=======================
১৯ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
Tuesday, December 15, 2015
"লজ্জাবতী রাজকন্যা"
"লজ্জাবতী রাজকন্যা"
-----মিজানুর ভূঁইয়া
একদেশে আছে এক সুন্দরী রাজকন্যা
নামে শুধু আছে সে
তবে তাকে চোখে দেখা যাবেনা।
যেখানে তার মন চায়, যায় সে উড়ে
লোকজন দেখলেই পালিয়ে যায় দৌড়ে।
লজ্জায় ভরা তার দুটি চোখ
তাই লোকালয় থেকে থাকে সে দূরে
মানুষের জন্য তার দরদ আছে বুক জুড়ে।
পারেনা তা দেখাতে লজ্জা যে তার চোখে
আবার রাজকুমারও পেতে চায় নিতে চায় বুকে।
রূপে গুনে জুড়ি নাই আর মধু তার মুখে
মনে বড় স্বপ্ন তার থাকতে চায় সুখে।
আড়ালে বসে রাজকুমার খোঁজে সে
মানুষ দেখে তা উচ্চস্বরে হাসে।
কাছে সে আসবেনা চায় যাকে ছুঁতে
এমন অদ্ভুত সঙ্গতা কে চায় পেতে।
==================
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
-----মিজানুর ভূঁইয়া
একদেশে আছে এক সুন্দরী রাজকন্যা
নামে শুধু আছে সে
তবে তাকে চোখে দেখা যাবেনা।
যেখানে তার মন চায়, যায় সে উড়ে
লোকজন দেখলেই পালিয়ে যায় দৌড়ে।
লজ্জায় ভরা তার দুটি চোখ
তাই লোকালয় থেকে থাকে সে দূরে
মানুষের জন্য তার দরদ আছে বুক জুড়ে।
পারেনা তা দেখাতে লজ্জা যে তার চোখে
আবার রাজকুমারও পেতে চায় নিতে চায় বুকে।
রূপে গুনে জুড়ি নাই আর মধু তার মুখে
মনে বড় স্বপ্ন তার থাকতে চায় সুখে।
আড়ালে বসে রাজকুমার খোঁজে সে
মানুষ দেখে তা উচ্চস্বরে হাসে।
কাছে সে আসবেনা চায় যাকে ছুঁতে
এমন অদ্ভুত সঙ্গতা কে চায় পেতে।
==================
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
Monday, December 14, 2015
"বাংলাদেশ তোমাকে বেচে থাকতেই হবে"
"বাংলাদেশ তোমাকে বেঁচে থাকতেই হবে"
মিজানুর ভূঁইয়া
বাংলাদেশ তুমি আজও মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আসমান সম।
তুমি ঐ আকাশের সীমানাও হয়তো ছাড়িয়ে যেতে
যদিনা না মাঝে মাঝে অশুভ ঝাকুনীগিলো খেতে।
যদি তোমার ডালপালা ও সবুজ পাতাগুলোকে না কাটা হতো
তবে তুমি আকাশ ছুঁই ছুঁই বিশাল মহীরুহে পরিনত হতে।
তোমাকে সুবিদাবাদীরা তাদের নিজ নিজ স্বার্থে নিজের মতো করে
সময়ে অসময়ে কেটে এবং ছেটে নিজেদের সাইজও করে নিয়েছে।
তুমি নিরবে নিঃশব্দে সেই অসহনীয় ব্যপারগুলোকে সহ্য করে গিয়েছো
তুমি আজও টিকে আছো এবং আগামীর জন্যই টিকে থাকবে।
তোমার পরম সহিষ্ণুতা এই ভূমির মানুষের কাছে খুবই প্রশংসনীয়।
আমরা জানি; তুমি একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশায়
কিছু সুন্দর ও সুশীল নাগরিকদের আগমনের অপেক্ষায় অপেক্ষমান।
তোমার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু প্রতিটি মানুষেরই একান্ত কাম্য
কারণ তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে লক্ষ লক্ষ প্রাণকে বিসর্জন দিতে হয়েছিল।
তুমি বেঁচে থাকবে আগামীর জন্য এবং সুনাগরিকদের জন্য।।
=============================
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
মিজানুর ভূঁইয়া
বাংলাদেশ তুমি আজও মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আসমান সম।
তুমি ঐ আকাশের সীমানাও হয়তো ছাড়িয়ে যেতে
যদিনা না মাঝে মাঝে অশুভ ঝাকুনীগিলো খেতে।
যদি তোমার ডালপালা ও সবুজ পাতাগুলোকে না কাটা হতো
তবে তুমি আকাশ ছুঁই ছুঁই বিশাল মহীরুহে পরিনত হতে।
তোমাকে সুবিদাবাদীরা তাদের নিজ নিজ স্বার্থে নিজের মতো করে
সময়ে অসময়ে কেটে এবং ছেটে নিজেদের সাইজও করে নিয়েছে।
তুমি নিরবে নিঃশব্দে সেই অসহনীয় ব্যপারগুলোকে সহ্য করে গিয়েছো
তুমি আজও টিকে আছো এবং আগামীর জন্যই টিকে থাকবে।
তোমার পরম সহিষ্ণুতা এই ভূমির মানুষের কাছে খুবই প্রশংসনীয়।
আমরা জানি; তুমি একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যাশায়
কিছু সুন্দর ও সুশীল নাগরিকদের আগমনের অপেক্ষায় অপেক্ষমান।
তোমার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু প্রতিটি মানুষেরই একান্ত কাম্য
কারণ তোমাকে বাঁচিয়ে রাখতে লক্ষ লক্ষ প্রাণকে বিসর্জন দিতে হয়েছিল।
তুমি বেঁচে থাকবে আগামীর জন্য এবং সুনাগরিকদের জন্য।।
=============================
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
Saturday, December 12, 2015
"জীবন দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা"
"জীবন দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা"
মিজানুর ভূঁইয়া
মিজানুর ভূঁইয়া
মুক্তি পাগল বীর সন্তান মায়ের গিয়েছে মুক্তি যুদ্ধে
যায়নি বলে মাকে সে, পাছে মা তাহার পথ রোধে।
উপায় যে আর নাই কোনো শত্রু সেনায় দেশ গেছে ছেয়ে
ডাকিছে হুঙ্কারে; কে কোথায় আছো জলদি আসো ধেয়ে।
তাড়াতে হবে শত্রুর দল দেশ থেকে অস্র হাতে নিয়ে
চারিদিক থেকে কামার, কুমার, চাষী, ছাত্র, যুবা আসে ডিঙ্গি বেয়ে।
মিলিছে সবাই এক সাথে মেঘনা চরে গিয়ে।
মা যে তাহার পুত্র শোকে কেঁদে কেঁদে হয়েছে দিশেহারা
বুকের মানিক হারিয়েছে তার, যায়না তাকে খুঁজে পাওয়া ।
মায়ের একমাত্র সন্তান, আদরের ধন, মায়ের চোখের মনি
পুত্র শোকে শোকাতুর মা তন্দ্রাহীন কেটেছে শত রজনী।
পুত্র তাহার যুদ্ধে গেলো শত্রু তাড়াবে বলে
এরই মধ্যে নয়টি মাস কখন যে গেলো চলে।
শত্রু গেলো, স্বাধীনতা এলো, এলো স্বাধীন পতাকা
এলোনা ফিরে মায়ের বুকে সন্তান তার, এলো শুধুই হতাশা।
জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই প্রানের স্বাধীনতা
হারিয়েছে যে আপন মানুষ; সেই বুঝে মুল্য কি যে তার।
===========================
১২ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)
Friday, December 11, 2015
"সুখের ঠিকানা"
"সুখের ঠিকানা"
মিজানুর ভূঁইয়া
পাবে কি কোথাও তুমি এমন নিখাঁদ প্রেম
প্রাসাদ কিংবা অট্রালিকায়
যেথায় সুখের ছোঁয়া সবার প্রাণ ছূঁয়ে যায়।
অর্থ দিয়ে যায়না কিনা এমনতর সুখ
ভালবাসায় শীতল করে জুড়ে সারা বুক।
সোনা কিংবা হীরের মালায় জোটেনা এই প্রেম
হৃদয় ভরা ভক্তি তাতে রয়েছে অসীম।
সুখের ভাগী যেমনি দুজনায়, দুঃখের ভাগীয় তাই
এমনতর সুখের ছোঁয়া দালান ঘরে নাই।
গ্রাম বাংলার মাটির গন্ধে আজও মিলে খাঁটি প্রেম
শহুরে চাকচিক্কে ভালবাসার হয় যে শুধু নিলাম।
ভক্তিভরা প্রাণ জুড়ে, ভালবাসার স্বপ্ন চোখে
কুলবধূ মুখটি তাহার লুকিয়ে রাখে স্বামীর বুকে।
আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেয় বুকের যতো ঘাম
গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে রয়েছে তার প্রমান।
=====================
১১ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
মিজানুর ভূঁইয়া
পাবে কি কোথাও তুমি এমন নিখাঁদ প্রেম
প্রাসাদ কিংবা অট্রালিকায়
যেথায় সুখের ছোঁয়া সবার প্রাণ ছূঁয়ে যায়।
অর্থ দিয়ে যায়না কিনা এমনতর সুখ
ভালবাসায় শীতল করে জুড়ে সারা বুক।
সোনা কিংবা হীরের মালায় জোটেনা এই প্রেম
হৃদয় ভরা ভক্তি তাতে রয়েছে অসীম।
সুখের ভাগী যেমনি দুজনায়, দুঃখের ভাগীয় তাই
এমনতর সুখের ছোঁয়া দালান ঘরে নাই।
গ্রাম বাংলার মাটির গন্ধে আজও মিলে খাঁটি প্রেম
শহুরে চাকচিক্কে ভালবাসার হয় যে শুধু নিলাম।
ভক্তিভরা প্রাণ জুড়ে, ভালবাসার স্বপ্ন চোখে
কুলবধূ মুখটি তাহার লুকিয়ে রাখে স্বামীর বুকে।
আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দেয় বুকের যতো ঘাম
গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে রয়েছে তার প্রমান।
=====================
১১ ডিসেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
Wednesday, December 9, 2015
"মানুষ"
"মানুষ"
মিজানুর ভূঁইয়া
ভাবো পৃথিবীর সবাই মানুষ
তুমি আর আমি যেমন।
ঘর থেকে বেরিয়ে যদি দেখো
কেউ দাড়িয়ে ঐ রাস্তার পাশে
বিমর্ষ চেহারা, ক্ষুদার্ত ও ক্লান্ত।
তাকিয়ে আছে তোমার দিকে
এক ভরসার দৃষ্টি নিয়ে।
পারো যদি; করোনাকো অবহেলা
হাত বাড়িয়ে দিও ক্ষনিকের তরে।
তাতেই হয়তো তার কষ্টের লাগব
কিছুটা হতে পারে।
ভেবোনা জাত কিংবা ধর্ম কি তার
জাতে ও ধর্মে মানুষের হয়না বিচার।
মানুষ সেতো মানুষই
তুমি আর আমি যেমন।
জাত ভিন্নতা; সেতো মানষেরই সৃষ্ট
তুমি আর আমি করেছি তা।
আমরা নিজেদেরকে
উঁচু করে দেখার বিলাসিতায়।
ক্ষুদার কষ্ট ঐ মানুষটির যেমন
তোমার আর আমারও তেমন।
কি হবে ঐ গচ্ছিত অর্থে
আসিবেনা কোনো স্বার্থে।
পড়ে আছে এবং রইবে সেথায়
রইবোনা শুধু তুমি আর আমি।
সুখের প্রাচুর্য থেকে
পারো যদি দাও কিছুটা।
তোমারি পাশে দাড়িয়ে আছে যে,
সে যেকোনো ধর্ম বর্ণেরই হউকনা কেনো
সেও একজন মানুষ নামের প্রাণী।
তার ভিতরে যেমনি রয়েছে
একটি প্রাণ,
তেমনি তোমার আর আমার।
================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫
(লেখকের একক সর্ব স্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)
Friday, December 4, 2015
"এসো মিলি মুক্তির মিছিলে"
"এসো মিলি মুক্তির মিছিলে"
-----------মিজানুর ভূঁইয়া
মুক্তির মিছিলে তুমি আমি
এসো আগে দুজন দুজনাকে চিনি।
দেশে আজ বইছে মাবনবতার বড়ই আকাল
এসো দুজনে মিলে গড়ি সোনালী সকাল।
সোনালী সপ্নগুলো দানবের কবলে
এসো উপড়ে ফেলি সব বিষ দাঁত স্বমূলে।
ভূঁইফোড়, মুনাফাখোর খোঁজে শুধু কায়দা
আর নয় লুটে নেয়া যতো সব ফায়দা।
নীতিহীন নষ্টামিতে দেশ জুড়ে ছয়লাব
মানবতা বিসর্জিত, চেনে শুধু নিজ লাভ ।
মেধাবী লোকগুলো পদে পদে মার খায়
উল্লুর দল; টু-পাইস কামিয়ে পার পায়।
দেশের মেরুদন্ড একদম হয়ে গেছে বাঁকা
মেধাহীন খেলার মাঠে গোল করে ফাঁকা।
জীবনের জয় গান হয়ে গেছে একেবারে নিঃস্প্রান
এসো কাঁধে কাঁধ মিলয়ে গাই মুক্তির জয় গান।
যতো সব পাপ ও পঙ্কিলতা, যাক সব মুছে
ন্যায়ের পাল্লা ভারী হউক, অন্যায় যাক ঘুছে।
মানুষের মাঝে মানুষ খুঁজে পাক একটুখানি ঠাঁই
মুক্তির মিছিলে এসো এবার আমরা দাড়াই।
=====================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
০৪ ডিসেম্বর ২০১৫
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)
Thursday, December 3, 2015
"রঞ্জনা"
"রঞ্জনা"
মিজানুর ভূঁইয়া
রঞ্জনা তুমি প্রাণে প্রাণে সূরমুর্চ্ছনা
তুমি হৃদয়ে আঁকা আল্পনা।
তোমায় নিয়ে তাই স্বপ্নজাল বোনা
তুমি হলে এই হৃদয়ের মনবীনা।
তোমায় বিনা এ মনে যে সূর উঠেনা
তুমি যে ব্যথিত প্রাণের মনরঞ্জনা।
মিছে মিছে আর নয় কষ্ট কেনা
দুটি নদী মিলে হয়ে যাকনা একটি মোহনা।
ধুইয়ে মুছে যাক যতো কষ্ট যাতনা
প্রাণে প্রাণে মিশে যাক সুপ্ত বাসনা।
তোমায় নিয়ে দিনরাত কতো কল্পনা
হৃদয় আকাশে তুমি ফুটফুটে জ্যোঁস্না।
আলোয় আলোয় ভরে দিলে মন-আঙ্গিনা
ভালবাসার ভেলায় এসো ভাসি দুজনায়।
===================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫
Wednesday, December 2, 2015
কাব্য কথন--"লাল টিপ"
কাব্য কথন--"লাল টিপ"
মিজানুর ভূঁইয়া
প্রভাকর:- প্রিয়ান্জনা তুমি কেমন আছো?
আর গত কয়েকটি দিনই বা তুমি কেমন ছিলে?
আর গত কয়েকটি দিনই বা তুমি কেমন ছিলে?
প্রিয়ান্জনা:- প্রভাকর আমি ভালই থাকি,
আর তার চেয়েও বেশি ভালো থাকার জন্য
তোমার কাছে ছুটে আসি, নদী যেমন ছুটে
আসে সাগরের সান্নিদ্য পেয়ে নিজেকে পরিতৃপ্ত
করে নিতে, আর আকাশভরা তাঁরারা যেমন চাঁদের
চারিপাশ ঘুরে বেড়ায় আর আনন্দ হিল্লোলে মেতে
উঠ; তেমনি আমিও বেকুল হয়ে ছুটে
আসি তোমার অস্তিত্বকে অবগাহন করে মনের
সকল চাওয়া পাওয়াকে মিটিয়ে নিতে।
প্রভাকর:- কেনো প্রিয়ান্জনা, তুমি এভাবে কেনো
বলছো? আমার মাঝে ভাল লাগার মতো এমন কিইবা
আছে, যা তোমাকে এভাবে তাড়িয়ে নিয়ে আসে।
বলছো? আমার মাঝে ভাল লাগার মতো এমন কিইবা
আছে, যা তোমাকে এভাবে তাড়িয়ে নিয়ে আসে।
প্রিয়ান্জনা:- তোমার মাঝে যা আছে, তাই আমি
চেয়েছিলাম প্রভাকর, তোমার মাঝে একটি মুক্ত
আকাশ আছে, একটি বিশাল বিস্তৃত সাগর আছে,
তোমার মাঝে সবুজে ঘেরা বিশাল পাহাড় আছে, স্নিগ্দ
কমল বায়ু আছে,তোমার মাঝে জল আছে, সমুদ্র
সৈকত আছে, জ্যেস্নার আলো আছে, বৃষ্টি আছে,
তোমার মাঝে মুক্ত চিন্তা আছে,সাহস আছে, ভালবাসা
আছে, বেচে থাকা এবং উপভোগ করার সবই আছে প্রভাকর।
প্রভাকর:- (হেসে) সত্যিই এতো কিছু; তুমি দেখি আমাকে
একটি বিশাল পৃথিবী বানিয়ে ফেলেছো।
প্রিয়ান্জনা:- হ্যা প্রভাকর এই পৃথিবীর মাঝে তুমি আরেকটি
পৃথিবী, যেখানে শুধু একটি জীবন বসবাস করে, সে হলো
আমি; আমি নিজেকে খুবিই ভাগ্যবান মনে করি।
প্রভাকর:- এই শুনো শুনো, একটু এদিকে এসো
(প্রিয়ান্জনার কপালের লাল টিপ টির দিকে তাকিয়ে)
আজ যেমনি চেয়েছি ঠিক তেমনই পেয়েছি।
প্রিয়ান্জনা:- কি পেয়েছো প্রভাকর?
প্রভাকর:- আজ সকালে পুবাকাশে তাকাতেই একটি লাল
টগবগে সূর্য উঠতে দেখেছি, আর এই মুহুর্তে তুমি আমার
সামনে আরেকটি লাল সূর্যকে নিয়ে এলে, ঐ তোমার কপোলে
যে লাল টিপটি রয়েছে,সে প্রত্যুষের সেই পুবাকাশে জেগে
উঠা সুর্যের মতোই আমার মনের ভেতরের জমিনটুকুকে
আলোয় আলোয় ভরে দিয়েছে। আজ আমি বড়ই উৎফুল্ল
আজ আমি অনেক অনেক আলোকিত।
আর ঐ সূর্যটির পাশে লাল নীল হলুদ বেগুনি আরো
কতো নানা রঙের সমারোহ দেখেছি, আর তা হলো
তোমার এই শাড়ির আঁচল, প্রিয়ান্জনা।
প্রিয়ান্জনা তুমি রংধনুর সাত রঙের মতোই সেজেছো।
আজ তোমার কপোলের ঐ লাল টিপ আর শাড়ির আঁচল
প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর্যের মাধুরিমা এঁকে দিয়েছে, যার
বিস্তার আমার মনের সকল অলিগলিতে সাংগাতিকভাবে
ঘটে গেছে।
প্রিয়ান্জনা:- আমি জানি তোমার সারা মন জুড়ে প্রকৃতিরা
বসবাস করে, আর তাই প্রকৃতির সমস্ত সুন্দর্যের উপস্থিতি
তুমি যেদিকে তাকাও সেদিকেই খুঁজে পাও। আর একারণেই
তোমাকে আমি "পৃথিবী" বলে ডাকতে ইচ্ছে করে। পৃথিবীর
মতোই তোমার মনজগতে সকল উদারতা এবং সুন্দর্যকে তুমি
ধারণ করে আছো প্রভাকর।
প্রভাকর:- প্রিয়ান্জনা: আমি যদি পৃথিবী হই; তবে তুমি
হলে সুন্দর্য মন্ডিত প্রকৃতি; পৃথিবীর ভিতরের নির্মল বায়ু,
মায়াময় সবুজ প্রকৃতি, সমুদ্র জলের ঝিকিমিকি, তুমি
জ্যেস্না রাতের তারাভরা আকাশ, সকালের লাল সূর্য,
তুমি রঙধনুর সাত রঙ্গে সাজানো আকাশ; তুমি আছো
বলেই পৃথিবী এতো বর্ণিল আর মায়াময়।
প্রিয়ান্জনা:-প্রভাকর, মাঝে মাঝে আমার কি মনে হয়
জানো, জীবনটা যে এতো অর্থবোধক যা চমৎকারভাবে
উপভোগ করার বিষয়; আমরা সেটা কখনো কখনো একেবারই
ভুলে যাই; আর একারণেই জীবনে আনন্দের পরিবর্তে নেমে
আসে একরাশ বিষাদের ছায়া।
এই দেখোনা; পৃথিবীটা তার বুকে ধরে আছে প্রকৃতি নামের
সুন্দর্যকে কতো হাজার বছর ধরে, আর তা নিয়েই পৃথিবীটা
কতো সুখী।
আমরা এই পৃথিবীর মানুষগুলো যদি একে অপরের মনের
ভিতরে লুকায়ীত সুন্দর্যগুলো খুঁজে নিয়ে একে অপরকে
গভীরভাবে ভালবাসতে পারতাম; তবে জীবন আরো কতো
সুন্দর এবং উপভোগ্যই না হতো।
প্রভাকর:-তুমি ঠিকই বলেছো প্রিয়ান্জনা; জীবনকে জানতে
হলে সুন্দরকে খুঁজতে হয় আগে, পৃথিবী যেমন তার সকল
সুন্দর্যকে নিয়ে উদারভাবে বসে আছে মানুষের মাঝে বিলিয়ে
দেবার জন্য। তেমনটি করে প্রতিটি মানুষ যদি তার নিজ
নিজ ভালো ও সুন্দরকে অপরের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারতো,
তবেই সকল কিছু সুন্দর হয়ে উঠতো।
প্রিয়ান্জনা:- প্রভাকর; চলো এবার যেতে হবে
বেলা যে অনেক দূর গড়িয়ে গেলো।
প্রভাকর:- এই দেখো দেখো; ঐ নীল প্রজাপতিটা
ঠিক তোমারই মতো কপোলে একটি লাল টিপ পরে আছে।
প্রিয়ান্জনা:-আমি ঠিক বুঝতে পারছি; তোমার মনের ভেতর
অনেক লাল রং জমেছে আজ; আর তাই যেদিকেই তাকাও
শুধু লাল রংটিই তোমার চোখে পড়ছে আগে।
প্রভাকর:-তুমি ঠিকই ধরেছো; আমি চাই এই আকশটি আজ অন্তত
কিছুক্ষণের জন্য লাল হয়ে যাক, ছড়াক তার রক্তিম আভা আমার
সারা দেহে, সমুদ্রের সমস্ত জলরাশি লাল রঙ্গে রঙিন হয়ে যাক,
আমি প্রানভরে সেই লাল জলে সাঁতার কাটবো। আমি চাই এক্ষুনি
সারা পৃথিবীর সমস্থ সবুজ বৃক্ষ তার সবুজ রং পরিত্যাগ করে
লালে লালে ছড়িয়ে যাক সমগ্র বনভূমি। আমি সেই লাল বৃক্ষের
ভিতর লুকোচুরি খেলবো.....হা হা হা হা.......লাল পৃথিবী, লাল
তুমি, ডুবিয়ে নিবে এই তামাটে আমাকে তোমার লালের
মহাসমারহে, আমি তখনও তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো তোমার
কপোলের সেই লাল টিপটির দিকে।
Subscribe to:
Posts (Atom)