Sunday, June 30, 2013

“জ্ঞান পাপী সর্বনাশী”

         “জ্ঞান পাপী সর্বনাশী”
 মিজানূর ভূইয়া
ছায়ার পিছে দৌড়াই আমরা, ভেবে ছায়াই যেনো কায়া
ভুলে যাই আমরা সবাই, অতীত বর্তমান,
যখন ছায়া নিজে বলে, আমিই আসল কায়া
বুদ্ধিজীবির বেশে মোদের রয়েছে বহু ছায়া,
জ্ঞান তার যাইবা থাকুকভাবেন তিনি 
নিজেই যেনো রাগব বোয়াল আহা
বোকার স্বর্গ ভাবেন তারা, বোকা বানান জনতা যারা,
আসে যাহা ধ্যানে, বলে যান তাহা আপন মনে
এই যদি হয় বুদ্ধি বৃত্তি, দেশের কি হবে শুদ্ধি
ভাবনা চিন্তায় মনে হয় যেনো, তিনিই এক মহান জ্ঞানী, 
দেশকে এবার উদ্ধার করবেন ডেলে মাথায় পানি
তুড়ি মেরে বসে থাকেন লাগামহীন টক্ শো'
মেহমান সাজার জন্য। 
সকাল বেলায় যে রূপ তিনার বিকালে রূপ অন্য,
টিভির পর্দায় সুযোগ পেয়ে, তিনি এবার ভাবেন মহা ধন্য
দিনকে তিনি রাত বলেন আর রাতকে বলেন দিন,
যখন যেমন সুযোগ বোঝে, ছোড়েন অন্ধকারে ডিল
এই যদি হয় দেশের দশা, বানায় সবাইকে আলু চাষা,
নিওন বাতির আলো সব নিবে,
তামাম দেশ হয়ে যাবে, ভূত পেত্নীর বাসা
জ্ঞ্যান পাপীর পাপের ভারে রাষ্ট্র পাবে ভীষন সাজা।


একটি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রচুর অর্থবহ গভেষনা মেধা বৃত্তির প্রয়োজন হয় কি সেটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা বিষয়ক পরিকল্পনা, আর্থ-সামাজিক কাঠামোগত দিক নির্দেশনা, রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ  আন্তর্জাতিক নীতিমালা নির্ধারণ, জননিরাপত্তা সহ সামগ্রিক বিষয় নির্ধারণ যুতসই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রচুর মেধা  গভেষনা অত্যাবশকীয়আর সেট একমাত্র দেশের সুশিক্ষিত  মেধাবী দেশ প্রেমিক নাগরিকদের দিয়েই করানো হয়

একটি আধুনিক  যুগোপযুগী রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিকল্পনায় প্রকৃত মেধাবী সন্তানদের কাজে লাগ্গানোই 
রাষ্ট্রের কর্তাদের মূল দায়িত্ব, কিন্তু আমরা আসলে  কি তার যথাযত প্রয়োগ দেখছি? আর 
তা হছে না বলেই দেশের সেই সোনার সন্তানেরা দিনের পর দিন নিজেদের উদ্যোম  উত্সাহ
হারিয়ে ফেলছে এবং সেই স্থানটি দখল করছে স্বল্প শিক্ষিত  অদুরদর্শী কতিপয় স্বঘোষিত
বুদ্ধিজীবিগন। রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় নিয়ন্ত্রণহীন, অদুরদর্শী এবং স্বার্থপর কায়েমী রাজনীতির
লাগামহীন পথ চলার কারণে রাষ্ট্র আজ একটি একগুয়ে নীতিতে পর্যবসিত হয়ে যাচ্ছেদেশের এই 
অদুরদর্শী পথ চলা দেশকে প্রতিনীয়ত অন্ধকারের দিকেই ধাবিত করছে,যা আসলে দেশের
 ভবিষ অনিশ্চিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। 
    বুদ্ধি নিজের মধ্যে যতোটুকুই থাকুক আর নাইবা থাকুকনা কেনো তবুও ওনারা বুদ্ধিজীবী এবং সেটা নিজের জীবনে যতোটুকু কাজে লাগুক আর না- লাগুক, তিনারা সেই বুদ্ধি রাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে প্রয়োগ করে থাকেনলাগামহীন টিভি চ্যানেলের লাগামহীন টক্-শোর তেলেসমতিতে ইনারা স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীসকালে একরকম 
বিবৃতি দিচ্ছেন এবং ঠিক বিকালে আরেক চ্যানেলে তার উল্টোবিবৃতি দিচ্ছেন, আর অভাবেই 
ওনারা দ্বীকবিজয়ে ওনাদের বুদ্ধি বিক্রি করে যাচ্ছেনকিন্তু উনাদের এই সকাল সন্ধ্যা ভিন্ন রূপ প্রদর্শনের জন্য উনাদের কখনো কারো কাছে জবাব দিহি করতে হয় না, কারণ উনারা বহুরুপী এবং উনাদের আকার পরিবর্তন হতে বেশিক্ষণ লাগেনাআর তাই সব সময়ই উনারা 
ধরা ছোয়ার বাইরে থাকেনকিন্তু একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা এরকম বহুরুপি সাজে সজ্জিত থাকতে পারেনা,এর একটি সঠিক নীতিমালা এবং পথ দর্শন থাকতে হয়,যা কিনা তাকে সেই অভিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাবেআর আমদের জাতীয় 
জীবনে এর প্রকট সংকটরয়েছে। রাষ্ট্র ব্যবস্তা আরো জোরালো এবং মজবুত হতে হবে এবং এসব কারণেঅকারণে এবং জ্ঞানে  অজ্ঞান বিবৃতি দাতাদের পথ রোধ করতে হবেএসব ব্যঙ্গের ছাতাদের যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে, নতুবা এর মাশুল ভবিষ প্রজন্মকে পোহাতে হবে

No comments:

Post a Comment