Monday, June 17, 2013

“ডি সি বাংলা স্কুল-বিদেশে আমাদের অস্তিত্ব”
মিজানূর ভূইয়া 

একটি প্রতিশ্রুতিশীল সংস্কৃতিময় ভবিষ্য
বিনির্মাণে, যে তরুনগণ গোধূলি আকাশে,
উঠালো একটি সম্ভবনাময় সূর্য্য
আর তার নাম "ডি  সি বাংলা স্কুল"
নতুন প্রজন্মের সোনালী স্বপ্নে,
হৃদয়ে বর্ণমালার প্রতিচ্ছবি যার প্রত্যাশা
আপন সংস্কৃতির আলোকিত সূর্য্য, কোমল
মনে উদিত করার যে প্রত্যয়,
তা চির উজ্জল, চির ভাস্বর  চির অম্লান
চলছে নিরন্তর দ্বীধাহীন এক নতুন স্রোতে
লক্ষ্য তার মিলিবার মহা সমুদ্র মোহনায়,
এক দুর্নিবার সৃষ্টির নেশায়,
চলো বাংলা স্কুলে আমাদের সন্তানদের পাঠাই,
বাঙ্গালী সংস্কৃতি  ঐতিহ্যকে পৃথিবীর
চারী সীমানায় বয়ে নিয়ে যাই

     সংস্কৃতি একটি জাতীর অস্তিত্ব ও আত্মপরিচয় তুলে ধরে ইহা একটি জাতীর সামগ্রিক বিকাশ, উন্নয়ন, ভাষা  সাহিত্য এবং যুগ যুগান্তরের কৃষ্টি  ঐতিয্য সমন্নিত করার মাধ্যমে সেই জাতীর পরিপূর্ণ 
আত্মপরিচয়কে তুলে ধরেপৃথিবীর ইতিহাসে বাঙ্গালী সংস্কৃতি একটি অতি প্রাচীন এবং সুপ্রতিষ্টিত ঐতিহ্য 
হিসাবে সমধিক পরিচিত। আর সেই ঐতিয্যের ধারক  পৃষ্টপোষণকারী কিছু তরুণ আজ থেকে ২৪ বছর আগে 
বিদেশের এই বৈরী পরিবেশেযে ভাষা  সংস্কৃতির  জ্ঞানের মশাল জ্বালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো তার নাম " ডি সি বাংলা স্কুল". আর সেই অগ্রসেনাদের এই মহান উদ্যোগের ফসল আজকের এই "বাংলা স্কুলযাহা আজ ওয়াশিংটন লাকাতে বাঙ্গালী সংস্কৃতি বিকাশের এক অন্যতম প্রতিষ্টানে পরিনত হয়েছে। বিদেশের 
এই ভিন্ন ধারার জীবন ব্যবস্থায় নিজশ্ব ভাষা সংস্কৃতিকে আমাদের পরবর্তি বংশধরদের মধ্যে বিস্তার গঠানোর নিমিত্তে যে প্রয়াস, তা আজ আমাদিগকে নিঃসন্ধেহে একটি সন্তোষজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছে
     আমাদের সন্তানগণ বিদেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করার পরও, একটি ভিন্ন ভাষা  সংস্কৃতির মাঝে
 নিজেদেরকে একেবারে গা ভাসিয়ে না দিয়ে, আমাদের নিজশ্ব ভাষা  সংস্কৃতি শেখা  ধারণ করার মাঝে
 বিদেশে আমাদের ভাষা  ঐতিয্যকে বাঁচিয়ে রাখছে, আর আমরা পূর্বসূরীরা এর জন্য নিজেদেরকে 
নিতান্তই সৌভাগ্যবান মনে করছি। আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি আমাদের উত্তরসূরিদের দ্বারাই উত্তর উত্তর এগিয়ে যাবে এবং সমৃদ্ধি লাভ করবে, এটাই আমাদের একান্ত কাম্য। আর বাংলা স্কুল আমাদের সেই প্রচেষ্টায় 
যতেষ্ট সহযোগিতা করে আসছেবাংলা স্কুলের এই মহতি প্রচেষ্টা অব্যহত গতিতে বিদেশের মাটিতে আমাদের ভাষা  সংস্কৃতিকে দিন দিন উজ্জল থেকে উজ্জলতর করে তুলছে।  
     বৃহত্তর ওয়াশিংটন এলাকার সব চেয়ে পুরাতন এবং ঐতিয্যবাহী এই প্রতিষ্টানটি সপ্তাহের প্রতি শনিবার
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে বাংলা ভাষা, নাচ  গানের প্রত্যেকটি বিষয়ে তিনটি ভিন্ন 
লেভেলে পাঠ দান করে থাকে। প্রতি শনিবার বাংলা স্কুলের আঙ্গিনা ছোট ছোট সোনামনিদের কলকাকলিতে 
অত্যান্ত মুখোরিত হয়ে উঠে। সকল বয়সের ছাত্র-ছাত্রীরা অত্যান্ত আগ্রহের সাথে তাদের নিজ নিজ পাঠ্য বিষয়ে 
অনুশীলন গ্রহণ করে থাকে।আর তাদের পাঠ্য বিষয় অনুশীলনের পাশাপাশি অন্য ছাত্র ছাত্রীদের সাথে তাদের
বন্ধুত্ব  সখ্যতা গড়ে উঠে। বাংলা স্কুল প্রতিষ্টার অন্যতম লক্ষ্যভাষা  সংস্কৃতি শিক্ষার পাশাপাশি,
ছাত্র-ছাত্রীদের নিজেদের মধ্যে মতবিনিময়  নিজস্ব সংস্কৃতি বিষয়ক লেন-দেন এবং বন্ধুত্বের সেতু বন্ধন 
সৃষ্টি করা, যার সুফল প্রতিটি পরিবারের জন্যই একটি পরিতৃপ্তির ব্যপার
     বি সি সি ডি আই বাংলা স্কুল এর অন্যতম সফল এই প্রকল্পটির পাশাপাশি এই সংগঠনটি আরও অন্যান্য সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডবাংলাদেশের জাতীয়  সংস্কৃতিক দিবসগুলো অত্যান্ত জাকজমকপূর্ণভাবে উজ্জাপন করে থাকে। যেমন, প্রতিবছর জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে, বাঙ্গালী সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান পিঠা সংস্কৃতির বিশাল প্রদর্শনী বা মেলা করে থাকে, ফেব্রুয়ারী মাসে ওয়াশিংটন ডি সি এলাকার সকল সুধী সংগঠন সমূহের সাথে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে থাকে। মার্চ মাসে বাংলা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে উজ্জাপন করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, এপ্রিল মাসে
 বি সি সি ডি আই পালন করে থাকে বাঙ্গালী ঐতিহ্যের অত্যন্ত উত্সবমূখর বৈশাখী মেলা বা বাংলা নব-বর্ষ উত্সব, প্রতি বছর জুন মাসে "উপহার" বাংলাদেশ মেলা নামক অত্যান্ত জাকজমকপূর্ণ বাত্সরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্টান বিগত ২২ বছর যাব করে আসছে। ইংরেজি ৎসরের সর্বশেষ মাস ডিসেম্বর উজ্জাপন করা হয় বাংলাদেশের বিজয় দিবস, আর এভাবেই বি সি সি ডি আই পুরোটা বছর আমদের সংস্কৃতি, ঐতিয্য জাতীয় দিবসগুলো বিদেশের মাটিতে পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এর সংস্কৃতিকে নিজস্ব পরিমন্ডলে ধারণ করে 
সছে  ভিন্ন জাতী  সংস্কৃতির মানুষের কাছে তুলে ধরছে

No comments:

Post a Comment