Tuesday, March 25, 2014

"মানবতাবাদ-নয় শ্রেণীবেদ"

"মানবতাবাদ-নয় শ্রেণীবেদ"

বিত্ত বৈভব সব ক্ষনিকের অহংকার
রইবেনা চিরকাল এই জগৎ সংসার।
অর্থ কিংবা সম্পদ যদি রাখো বুকে ধরে
রইবেনা তোমার সাথে যাবে সব ঝরে।
যদি পারো দান করো আর্তমানবতায়
লিখা রবে সেই দান ছওয়াবের খাতায়।   
মানুষ হয়ে মানুষেরে করো সম্মান
তবেই তোমার বাড়িবে আপন মান।
মায়া ও মমতায় সেবো মানবকুল
ভেঙ্গে দাও তোমার মনের সব ভুল।
মানুষ মানুষে যদি করো শ্রেণীবেধ
মানুষ নামের চিরকলঙ্ক তোমার
আজীবন রয়ে যাবে হয়ে অপবাদ।
=================
Mizanur Bhuiyan
Virginia USA
March 25 2014

bitto boivob shob khoniker ohongkar
roibena chirokal ei jogot shongshar.
ortho kinga shompod jodi rakho dhore
roibena tomar shathe, jabe shob jhore.
jodi paro dan koro arto manobotai
likha robe shei dan choaber khatai.
manush hoye manushere koro shomman
tobei tomar baribe apon maan.
maya momotay shevo manobkul
venge dao tomar moner shob vul.
manush manushe jodi koro shrenived
manush namer chirokolonko tomar
roibe ajibon roye jabe hoye opobad.

Sunday, March 23, 2014

স্বাধীনতা

              স্বাধীনতা
"সব কিছুই এখন আমাদের" 
       ---মিজানুর ভূঁইয়া:-
 
স্বাধীনতা
তুমি এবং সব কিছুই এখন আমাদের।
ভোরের পাখিদের কন্ঠে
সুরেলা হরেক রকম প্রাণ ছুয়ে যাওয়া গান।
অপেক্ষমান ফুল কলিদের
ভোরের প্রথম আলোর স্পর্শে ফুটে উঠা।   
প্রত্যুষে মসজিদের মিনারে
মোয়াজ্জেমের সুরেলা আজানের ধ্বনি।
মন্দিরে মন্দিরে
উলুধ্বনি কিংবা কাসার ঝন ঝন শব্দ।
গীর্জায় গীর্জায়
পেন্ডুলামের এপাশ ওপাশ দোলানো ঘন্টি।
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব ও স্বাধীনতা
হাজার বছরের লালীত বিশ্বাস ও সংস্কৃতি
ঐতিয্য ও ইতিহাস, এ শুধুই এখন আমাদের।
সাম্প্রদায়ীক দানবেরা
পারেনি তা কেড়ে নিতে, ধর্মবাদের অজুহাতে।
স্বাধীনতা
তুমি এবং সব কিছু এখন শুধুই আমাদের।
গ্রামের লজ্জাবতী কূল-বধুদের 
অতিপ্রত্যুষে সূর্য্য উঠার আগে কয়েক ক্রোশ দুরে
নদী কিংবা খালে স্নান সেরে নেওয়া এবং
কলসী কাকে হেলে দুলে বাড়ি ফিরা,সেই অপরূপতা।
কৃষকগণ কাস্তে হাতে, লালঙ্গল কাধে
মনের সুখে পল্লীগীতি কিংবা ভাটিয়ালির সুর কন্ঠে
নিয়ে, আকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে মাঠের দিকে ছুটে যাওয়া।
গ্রামের কিশোর কিশোরী
ডোবা ডাঙ্গায় ঝাপিয়ে পড়ে, পদ্মফুল ও শালুক কুড়িইয়ে
মনের আনন্দে বাড়ি ফেরার সেই অপূর্ব দৃশ্য।
এই সব শুধুই আজ আমাদের,
পারেনি সেই হিংস্র দানবেরা তা নিঃশেষ করে দিতে।
স্বাধীনতা
তুমি আজও স্বগৌরবে আমাদের এবং আমাদেরই।
স্বাধীনতা
তুমি সকালের পূব-আকাশে উদীয়মান লাল সূর্য্য
সীমাহীন সবুজে ঢাকা মাঠ ঘাট প্রান্তর।
তুমি ঝিরি ঝিরি বয়ে যাওয়া সকালের হিমেল বাতাস
তুমি কৃষকের মাঠ ভরা সোনালী ফসলের সম্ভার,
তুমি কৃষাণীর উঠোনে মেলে দেওয়া শুকানো ধান,
তুমি পৌষ মাঘে তাল খেজুরের রস,
তুমি মিষ্টি মধুর গন্ধেভরা মন মাতানো পিঠা-পায়েশ।
তুমি আষাড় শ্রাবনের
বিরামহীন মুষধারে বৃষ্টি টিনের চালে টুপ টাপ,
তুমি সন্তানের প্রতি মায়ের অকৃত্তিম ভালবাসা,
বাবার চোখে সন্তানের নিরাপদ ও স্বপ্নময় ভবিষ্যৎ,
তুমি আজও স্বামী স্ত্রীর অপূর্ব নিখাদ ভালবাসায় সমুজ্জল,
তুমি আজও সমাজ, সংসার সম্পর্ক ও ভালবাসায়,
সারা পৃথিবীময় অপ্রতিন্দন্ধী ও চিরঞ্জীব।
তুমি শুধুই আক্ষরিক স্বাধীনতা নয়, আমাদের জীবনের
সমস্ত আকাঙ্খার পরিপূর্ণতা, স্বাধীনতা তুমি অবিসংবাদিত।
স্বাধীনতা তুমি এখন শুধুই আমাদের, শুধুই আমাদের।
===================== 
রচনা: মার্চ ২৩ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Thursday, March 20, 2014

"ভূলের মাশুল হয়না উসূল"

"ভূলের মাশুল হয়না উসূল"
     ---মিজানুর ভূঁইয়া

জীবনের মোড় যদি কোনো এক ফাঁকে
ঘুরে যায় অচেনা কোনো এক বাঁকে। 
সুদূর পথ চলায় ক্লান্তিতে জীবন হয় সার
যদিও-বা কোনোভাবে  মিলে দিশা তার।
জীবনের অনেকটুকু সময় হয়ে যায় পার
আলোর বদলে শুরু হয় আঁধার।
সময় বড়ই নিঠুর দেয়না কোনো ধার
সময় যা চলে যায় ফিরে নাকো আর। 
ভুলে ভুলেই যদি জীবন হয় অবসার  
ক্ষুদ্র জীবনের বাকী থাকে কতো আর।
জীবনকে নিয়ে কোন এক সংকীর্ণ গলি
যদি তাকে দিয়ে দাও একদম বলি।
জীবনের রঙিন ফুলের ফুটবেনা কলি। 
চোরাবালি দেখেও যদি পা দাও তাতে
পড়ে যাবে নিঃসন্দেহে একেবারে ফাঁদে।
পাবেনা খুঁজে তাকে যে ছিলো সাথে
জীবন সাঙ্গ হবে সারা জীবন কেঁদে কেঁদে।
=============================
রচনা: ২০ মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ  

Sunday, March 16, 2014

"একটি দেশ ও বঙ্গপিতা"

শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী, জুলিও-কূরী  জাতীরজনক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকীতে
স্বশ্রদ্ধ শুভেচ্ছা:-


"একটি দেশ ও বঙ্গপিতা"
  মিজানুর ভূঁইয়া:- 

 
হে বঙ্গপিতা;
তোমার জন্মই নিশ্চিত করেছে
জাতী হিসাবে এই জাতীর জন্ম।
তোমার জন্মই
এই জাতীকে পৃথিবীর মানচিত্রে
একটি স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।  
তোমার আগমন ও উপস্থিথি
জাতীর সমস্ত আকাঙ্খাকা, স্বপ্ন ও অস্তিত্বকে
ভূবনময় করে তুলেছে উজ্জলতর।
একজন পিতা তার সন্তানের জন্মের 
অব্যহিত পরে যে সোনালী স্বপ্নে থাকে বিভোর। 
তুমি সেই একই স্বপ্নে
বঙ্গ সন্তানদের সুখী ভবিষৎ বিনির্মাণের দ্রষ্টা ছিলে।
তোমার স্বপ্নের রঙিন ঘুড়িগুলো
আজও উড়ছে সারা পৃথিবীর আকাশ জুড়ে।
তোমার সন্তানেরা সারা পৃথিবীময় ছড়িয়ে আছে,
যেনো একগুচ্ছ উজ্জল তাঁরা জুড়ে আছে আকাশময়।
তোমার বজ্রকন্ঠ ধ্বনি
আজও ভেসে বেড়ায়, এই বাংলার আকাশ ও বাতাসে।
তোমার নাম
আজও স্বগৌরবে উচ্চারিত হয় তামাম পৃথিবীময়।
তোমার বলিষ্ট প্রতিবাদী কন্ঠ,
শিখিয়েছে এই জাতীকে মাথা উচু করে দাড়াতে।
পৃথিবীময় আজও
আমরা শেখ মুজিবের দেশের মানুষ হিসাবেই পরিচিত।
তোমার অস্তিত্বকে অস্বিকার করে,
বাংলাদেশ হয়না; হয় কোনো জল্লাদের কসাইখানা
এই জাতী আজ পেয়েছে মহামুক্তি
তুমিই বঙ্গপিতা, তুমিই এই জাতীর অস্তিত্ব ও মহাশক্তি।  
=====================
রচনা: ১৬ মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ 

Saturday, March 15, 2014

" বেদনা-বিধূর ১৬ই মার্চ"

১৬ই মার্চ আমার প্রিয়তম এবং পরম শ্রদ্ধেয় জন্মদাতা পিতা সাবেক
উপ- নির্বাহী প্রকৌশলী-বাংলাদেশ রেলওয়ে, মনির উদ্দিন ভূঁইয়া'র
১০শম শাহাদাত দিবস।
তার এই শাহাদাত বার্ষিকীর স্মরণে আমার এই লেখাটি নিবেদিত:-
 
 " বেদনা-বিধূর ১৬ই মার্চ"

    মিজানুর ভূঁইয়া:-
 
যে আতঙ্ক নিয়ে
প্রতিটি রাত যেতাম বিছানায় ।
সেই আতঙ্কই
একদিন আমাকে গ্রাস করলো।
রাত দু'টোয়
যখন হঠাৎ করে টেলিফোনের
রিং বেজে উঠলো,
কম্পমান শব্দগুলো ভেসে আসছিল কানে
ওপাস থেকে। 
বুঝতে আর বাকি নেই;
যে, হে প্রিতম পিতা; তুমি আর নেই!
সুদূর এই প্রবাসে
বসে সারা রাত বিলাপ করে কান্না,
আর শুধুই  চোখের জল ফেলা;
এপাশ ওপাস করা, আর বুক চাপড়ানো।
এই ছাড়া আর কি-ই বা করার ছিলো?    
যে জীবন
নিয়েছি বেছে এই সুদূর প্রবাসে।
শুধু মৃত্যুর খবর ছাড়া,
পাশে দাড়াবার কি উপায় আছে?
সেই প্রিয়তম মুখ;
ভেসে আসে আজও চোখে,
নিতান্তই স্বকরুন অপরাধবোধে।
জীবন পেয়েছি
যার কারণে, আজ আমি নাই পাশে তার মরণে।
সেই অপরাধবোধ;
আজন্ম বুকের ভিতর নোনাজলে ভাসে। 
১৬ই মার্চ
একটি কাল রাত্রি, পৃথিবীর বুক থেকে
তুলে নিয়ে গেছে একটি মহান প্রাণ। 
প্রীতিভরা এক বিশাল হিমালয় 
প্রাণপ্রতীম; জন্মদাতা পিতা যার নাম।
দিনপঞ্জির তিনশত পয়ষট্টি দিনের
১৬ই মার্চ, একটি দিন;
বুকের ভিতর অগ্নিদগ্ধ, বিয়োগাত্বক এক বিশাল ঋণ। 
==================
রচনা: ১৫ই মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, March 11, 2014

"বোকায় খায় পোকা"

"বোকায় খায় পোকা"

মিজানুর ভূঁইয়া


আচমকা এই কোন হাওয়া
দিলো ভীষণ ধাওয়া।
ছুটছে পিছে না জেনে
তার আসল রূপ ও ছায়া।
মানুষ তিনি এমন
দিল তিনার কাদার মত নরম।
সুখ-দুঃখের কথা শুনেই
দিলে আসে রহম ।
মানুষ তাই সুযোগ নিয়ে
খেলে নানা রকম।
বুদ্ধিমান সেজে যে জন
দেয় অপরকে ধোকা।
সে জন বুঝে অবশেষে
খেয়ে ছাঁই ভষ্ম ও পোকা।  
===================
রচনা: মার্চ ১১ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Sunday, March 9, 2014

"একই অঙ্গে ভিন্ন রূপ"

"একই অঙ্গে ভিন্ন রূপ"

মিজানুর ভূঁইয়া


মনের ঘরে বসত করেও
হয়না মনের মানুষ।
আপন ঘরে আপন ছেড়ে 
রয় সদা বেহুশ।
যুগ জনমের চেনাজানায়
তুবুও রয় পর।
ঘর ছেড়ে তাই বাহিরে
মাগে অন্য বর।
বাহির থেকে ছুয়ে যায়
এ কেমন হাওয়া।
এক তরী ছেড়ে দিয়ে
অন্য তরী বাওয়া।
আলোক রূপে দেখা যাকে
আসলে অন্ধকার।
পাশে বসে তবুও তাকে
দেখা যায়না পরিস্কার।
==================
রচনা: ০৯ মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Friday, March 7, 2014

"জন্মই আমার আশির্বাদ"

"জন্মই আমার আশির্বাদ"

মিজানুর ভূঁইয়া:-
  
যেদিন আমি জন্মেছি এই ভু-স্বর্গে
সেদিনই পেয়েছি লাখো আশির্বাদ,
জীবন হয়েছে উন্মুক্ত, ডিঙ্গিয়েছি সকল বাঁধ।
পেয়েছি প্রানখোলা ভালবাসা,
মিঠেছে জীবনের সকল আশা ও স্বাদ।
তাই এই জীবন এবার উন্মুক্ত করেছি
মানুষকে ভালবাসার জন্য।
মানুষের মাঝে বেছে থেকে হতে চাই অনন্য।   
জন্ম হউক যথায় তথায়, কর্ম হউক ভাল
জীবন হউক কলুষতামুক্ত, মানবতা হউক ব্রত
মানুষকে সম্মান করি আমি যেনো অভিরত।
ভালবাসা হউক চিত্তের ধন, হয়ে উঠুক মুক্তমন।
মানব মুক্তির জয়গান গেয়ে
জীবন আমার যেনো হয় অবসান।
=======================
৭ই মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া , ইউ এস এ

Wednesday, March 5, 2014

"তুমি"

"তুমি"

মিজানুর ভূঁইয়া

তুমি ছিলে কোন নিয়তির অস্পষ্ট লীলা!
হঠাৎ করে এসে করে গেলে অনেক খেলা
ভাসালে তরী আর ভাসালে ভেলা।
গাইলে গান,  বাজালে বাসি, উঠালে সূর
আচমকা সব থেমে গেলো!
অজানা কারণে চলে গেলে অনেক দূর।
তোমার ভাবনা আর উন্মেশনা,
আমাকে দিয়ে গেছে অনেক সৃষ্টিশীল প্রেরণা।
তুমি অভিমানে কেনো সরে গেলে খানিক দূর
আমি আজও হারাইনি, গাইছি নিয়ে একই সূর।
আজ আমার লেখায় চারিদিকে দেখি জয় জয়কার
তুমি ছিলে প্রেরণা, নেই আজ, সেটাই হাহাকার।
তুমিকি তবে ছিলে উর্মিলা?
কেনো অকারণে করে দিলে সব সাঙ্গলিলা।
==============================
রচনা: ০৫ মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, March 4, 2014

"ছেচ্ছর"

"ছেচ্ছর"

টাকা আমার মা বাবা
টাকা আমার বোন ও ভাই
টাকা ছাড়া এই জীবনে আর কি চাই।
টাকা আমার ছেলে মেয়ে
টাকা আমার জীবন মরণ, সম্পর্ক শুধু নামে মাত্র
আর বাকি সব হলো আমার কাছে ছাই।
এই দুনিয়ায় কয় দিন তাই
পরকালের দীর্ঘ জীবন চলতে টাকা আমার চাই
ছেচরামী করে হলেও; টাকা সঞ্চয় করা তাই।
সংসারের সং আমি
চলতে হবে কোনো রকম, সেই কথা শুধু জানি
কি আসে যায়; নিয়ম কানুন মানি আর না মানি।
স্বামী ও সংসার নামে মাত্র
উদুর পিন্ডি বুদুর গাড়ে দিয়ে, বাচাই আমার নিজের গাত্র
টাকার প্রশ্ন এলে তাই কথা বলি যত্রতত্র।
পাষন্ডতায় ভরা ক্ষণ, তাই সংসারে আসেনা মন,
চারিদিকে দেখি টাকা....টাকা... টাকা সারাক্ষণ।
সংসারে ঝঞ্জাট যতই হোক,
টাকার গন্ধে মিলে চিত্তে আমার ভীষণ সুখ।
সংসার ও দুনিয়া সব পুড়ে হোক না ছাই
টাকা ছাড়া অন্য কিছু এতো আপন নাই।
=============================
তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারী

"ফন্দিবাজের সন্ধি"

"ফন্দিবাজের সন্ধি"

মিজানুর ভূঁইয়া
 
কি এক জালিমের পাল্লায়, ফেলেছে আল্লায়
নাই রহম, নাই ধরম, নাই কোনো হিল্লা 
জানে শুধু ভারী করা আপনার পাল্লা।
সাধু, মনি-ঋষি সেঝে আমি খেয়েছি ধোকা
লোকে বলে আমি নাকি একদম বোকা।
সংসার ভালোবেসে বার বার ঘুরে এসেছি
তার নিষ্ঠুর আচরণে মাথা ঠুকে মরেছি।
দিয়ে তাকে সম্মান তুলেছি আসমান
আজ দেখি বন্ধু নয় সে, আস্ত বেইমান।
তিলে তিলে সৎ ভাবনায় সংসার গড়েছি
তবুও শান্তি নাই, মনে হয় তাসের ঘর সেজেছি।
এমন ধড়কবাজ থাকে শুধু ধান্দায়
যতই আপন ভাবি তবুও সে কান্দায়।
সংসারী করে তাকে সমাজে দিয়েছি সম্মান
অপমানে অপবাদে দিয়েছে তার প্রতিদান ।
সংসার না বুঝে করে যদি ফাদ
সংসার থাকেনা তা, হয়ে যায় কুপোকাত।
সংসার দুজনের মিলিত এক দীর্ঘ সন্ধি
থাকেনা শান্তি সেখানে, যদি কেউ করে ফন্ধি।
=========================
রচনা: ফেব্রুয়ারী ২৭ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউএসএ  

Monday, March 3, 2014

"বুকে তার চেতনা ও স্বপ্ন"

যে সকল অকুতোভয়ী বীরসেনানীরা দেশ মাতৃকার স্বাধীনতার
জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত:-


"বুকে তার চেতনা ও স্বপ্ন"

মিজানুর ভূঁইয়া

চেতনার উদ্ভাসে উড়ে ঐ বিজয় নিশান
দামাল ছেলে মহাউল্লাসে গায় মুক্তির গান 
হৃদয়ে তার মানচিত্র, হাতে জয় নিশান।
মুখে তার জয় ধ্বনি, বুকভরা তার সাহস
অন্তরে তার ছবি আকা একটি সুন্দর বাংলাদেশ।
প্রত্যাশার এই লাল সূর্য্য, স্বপ্নের সবুজ দেশ
নদীমাতৃক দেশ তার, শস্য শ্যামল বেশ 
অপরূপ এই বাংলা যার নাইকো কোনো শেষ।
কবি গুরু রবীন্দ্র আর জাতীয় কবি নজরুল
তারাই হলো বাংলা সাহিত্যর আসল ঠিকানা ও কূল ।
অহংকার যার সংস্কৃতি, ভাটিয়ালী আর পল্লীগীতি।
লালন, হাসন, করিম শাহ আছে যতো সাধক 
সবাই তারা এই মাটির সংস্কৃতির ধারক।   
ফকির দরবেশ, সাধক আর আছে যত আউলিয়া
এই মাটির গন্ধে রসে গণসংগীত আর বাউলিয়া।
চেতনায় তাই কিশোর জাগে, হাতে তার বিজয় নিশান
হৃদয়় তার গেয়ে উঠে মহামুক্তির জয়গান।
===========================
রচনা: ০৩ মার্চ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Sunday, March 2, 2014

"যাত্রীরা সঙ্কটে"

"যাত্রীরা সঙ্কটে"

মিজানুর ভূঁইয়া

এক নৌকায় মাঝি দু'জন
বাইছে বৈঠা বিপরীত ভূবন।
এক মাঝি চায় নিতে তীরে
আরেক মাঝি বায় উল্টা দিকে। 
নৌকাতো আর চলেনা
তীরে যে আর ভিড়েনা।
মাঝ নদীতে বসে
সন্ধ্যা নেমে আসে। 
যাত্রীরা সব দিশেহারা
এবার বুঝি জীবন সারা। 
সাগর জলে চুবে
যাবে জীবন গহীন তলায় ডুবে।
জীবন এখন মাঝির হাতে
মহাসঙ্কটে এই আধার রাতে। 
ঘুচবে তিমির ভিড়বে তরী তীরে
ফিরবে সবাই আপন নীড়ে।
যবে দুই মাঝির দুটি হৃদয়
বাধবে একই ডোরে।    
=========================
মার্চ ০২ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ