“অনামিকা তুমি বেরিয়ে এসো”
(A call to change the society and the life)
===================
অনামিকা তুমি বেরিয়ে এসো
মিজানুর ভূঁইয়া
অনামিকা, তুমি এখনো বসে আছো সেখানে?
যেখানে সীমাহীন যমকালো অন্ধকার!
দিনের পর দিন তুমি শুধু অন্ধকার থেকে
গভীর অন্ধকারে চলে যাচ্ছো ।
যেখানে তুমি নিজের হাত,পা,চোখ, মুখ
কোনো কিছুকেই আর আপন বলে মনে করতে পরছনা।
এখন এরা সবাই তোমার একান্তই অনুভূতির বাইরে,
যেখানে নিজকে তুমি তিলে তিলে হারাতে যাচ্ছো।
এবং নিশ্চিত, ধীরে ধীরে পচে গলে অবশেষে
কঠিন শিলায় পরিনত হতে হচ্ছো ।
যেখানে সব কিছুই তোমার ইচ্ছার বিপরীতে ঘটছে,
তুমি যাকিছু ঠিক যেমনি করে চাচ্ছো,
ঠিক তার উল্টোটাই পাচ্ছো।
এমনি করে তোমার সকল ইচ্ছাই ধীরে ধীরে,
অন্ধকারাছ্ছন্য মমিতে পরিণত হচ্ছে।
অথচ! তুমি এখনো দিব্যি সেখানেই বসে আছো !
তোমাকে আহবান করছি; তুমি বেরিয়ে এসো।
তুমি একটু চোখ খুললেই দেখতে পাবে,
পৃথিবীতে আলোর বিস্তৃতি কতো ব্যাপক,
সেখানে তোমার হাত, পা, চোখ, মুখ
সব কিছু,একান্তই তোমার।
তুমি প্রাণ ভরে সেই বিশুদ্ধ বায়ু ও আলোতে
স্নান করতে পারবে।
আর তখন তুমি দেখবে সব কিছুই তোমার
অনুভবের কত নিকটে।
অনামিকা, তুমি বেরিয়ে এসো:
তোমাকে অন্ধকার গুহায় নয়, ঐ বিশাল
পাহাড়টির চূড়ায় উঠতে হবে!
সেখানে বসে তুমি তোমার ইচ্ছার গান গাইতে পারবে।
অনামিকা,
আর যদি পাহাড়টিকে বন্ধু করে নিতে পারো,
তবে তুমি পাহাড়টির মত বিশাল একটি হৃদয়
ধারণ করতে পারবে।
ভয় নেই অনামিকা, তুমি বেরিয়ে এসো!
তোমার দু চোখের পাতা খোলো,দৃষ্টিকে একবার প্রসারিত করো,
ছড়িয়ে দাও পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিন মেরুতে,
পূর্ব মেরু থেকে পশ্চিম মেরুতে।
তুমি সেখানে দেখতে পাবে তোমার বাসনার সকল বস্তুকে।
সকল কিছু তোমার ক্ষমতার ভিতর থেকেও,
আজ তুমি পৃথিবীর সব চেয়ে অসহায় প্রাণীর মত
গতানুগতিক ধারাকে ধারণ করে আছো।
চিলের মতো সকল জীর্ণতাকে ডানা ঝাপটে
ঝেড়ে ফেলে দিয়ে,
বেরিয়ে এসো "অনামিকা"
হাতে হাত রেখে সকল ক্ষীন চাওয়া পাওয়াকে,
পিছন ঠেলে দিয়ে এগিয়ে যাও,
যেখানে তোমার যাওয়া উচিৎ ।
ভয় কি! তুমিতো আলোর সৈনিক,
আলো কি তা দেখেছো।
তবু কেনো পুরনোকে ধরে রেখে,
নিজের সমস্থ সম্ভবনার অপমৃত্যু ঘটাবে?
অনামিকা,
তোমার দিকে চেয়ে আছে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম,
তারা তোমার কাছে গন্তব্যর ঠিকানা চাইবে!
তুমি তাদের কোন পথ দেখাবে?
অন্ধকার থেকে আলোতে যাওয়ার ঠিকানা?
নাকি, আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়ার ঠিকানা?
তুমি যেটিই দেখাবে, তারাও সে পথগামীই হবে।।
তাই এবার ভেবে দেখো, কি করবে?
অনামিকা,
অবশেষে তোমাকে আসতেই হবে।।
নয়তো, তুমি সমগ্র পৃথিবীর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।
তোমার ঋণের দায়মুক্ততার কারণেই তোমাকে আসতে হবে।
নতুবা, তোমাকে জ্বলজ্যান্ত আলোর মানুষ হয়েও,
অন্ধকারেই পড়ে থাকতে হবে।
রক্ত, মাংস, হ্দপিন্ডে গড়া মানুষ হয়েও,
নিষ্তেজ, নিষ্প্রাণ, জড় পদার্থের মতোই,
কিছু মানুষের ব্যবহারের পুতুল হয়ে পড়ে থাকতে হবে।
মনের দরজা খোল, চোখের দৃষ্টিকে ছড়িয়ে দাও,
দু’হাতকে সমনে বাড়িয়ে দাও, দু পা'কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাও।
তবেই তোমার পৃথিবীতে জন্মের প্রকৃত স্বার্থকতা,
অনুভব করতে পারবে।।।।।
এখন ভেবে দেখো, কি করবে???
=========================
সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়, ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৬
দ্বিতীয় প্রকাশনা
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
মে ১৪ ২০১৩
অনামিকা তুমি বেরিয়ে এসো
মিজানুর ভূঁইয়া
অনামিকা, তুমি এখনো বসে আছো সেখানে?
যেখানে সীমাহীন যমকালো অন্ধকার!
দিনের পর দিন তুমি শুধু অন্ধকার থেকে
গভীর অন্ধকারে চলে যাচ্ছো ।
যেখানে তুমি নিজের হাত,পা,চোখ, মুখ
কোনো কিছুকেই আর আপন বলে মনে করতে পরছনা।
এখন এরা সবাই তোমার একান্তই অনুভূতির বাইরে,
যেখানে নিজকে তুমি তিলে তিলে হারাতে যাচ্ছো।
এবং নিশ্চিত, ধীরে ধীরে পচে গলে অবশেষে
কঠিন শিলায় পরিনত হতে হচ্ছো ।
যেখানে সব কিছুই তোমার ইচ্ছার বিপরীতে ঘটছে,
তুমি যাকিছু ঠিক যেমনি করে চাচ্ছো,
ঠিক তার উল্টোটাই পাচ্ছো।
এমনি করে তোমার সকল ইচ্ছাই ধীরে ধীরে,
অন্ধকারাছ্ছন্য মমিতে পরিণত হচ্ছে।
অথচ! তুমি এখনো দিব্যি সেখানেই বসে আছো !
তোমাকে আহবান করছি; তুমি বেরিয়ে এসো।
তুমি একটু চোখ খুললেই দেখতে পাবে,
পৃথিবীতে আলোর বিস্তৃতি কতো ব্যাপক,
সেখানে তোমার হাত, পা, চোখ, মুখ
সব কিছু,একান্তই তোমার।
তুমি প্রাণ ভরে সেই বিশুদ্ধ বায়ু ও আলোতে
স্নান করতে পারবে।
আর তখন তুমি দেখবে সব কিছুই তোমার
অনুভবের কত নিকটে।
অনামিকা, তুমি বেরিয়ে এসো:
তোমাকে অন্ধকার গুহায় নয়, ঐ বিশাল
পাহাড়টির চূড়ায় উঠতে হবে!
সেখানে বসে তুমি তোমার ইচ্ছার গান গাইতে পারবে।
অনামিকা,
আর যদি পাহাড়টিকে বন্ধু করে নিতে পারো,
তবে তুমি পাহাড়টির মত বিশাল একটি হৃদয়
ধারণ করতে পারবে।
ভয় নেই অনামিকা, তুমি বেরিয়ে এসো!
তোমার দু চোখের পাতা খোলো,দৃষ্টিকে একবার প্রসারিত করো,
ছড়িয়ে দাও পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিন মেরুতে,
পূর্ব মেরু থেকে পশ্চিম মেরুতে।
তুমি সেখানে দেখতে পাবে তোমার বাসনার সকল বস্তুকে।
সকল কিছু তোমার ক্ষমতার ভিতর থেকেও,
আজ তুমি পৃথিবীর সব চেয়ে অসহায় প্রাণীর মত
গতানুগতিক ধারাকে ধারণ করে আছো।
চিলের মতো সকল জীর্ণতাকে ডানা ঝাপটে
ঝেড়ে ফেলে দিয়ে,
বেরিয়ে এসো "অনামিকা"
হাতে হাত রেখে সকল ক্ষীন চাওয়া পাওয়াকে,
পিছন ঠেলে দিয়ে এগিয়ে যাও,
যেখানে তোমার যাওয়া উচিৎ ।
ভয় কি! তুমিতো আলোর সৈনিক,
আলো কি তা দেখেছো।
তবু কেনো পুরনোকে ধরে রেখে,
নিজের সমস্থ সম্ভবনার অপমৃত্যু ঘটাবে?
অনামিকা,
তোমার দিকে চেয়ে আছে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম,
তারা তোমার কাছে গন্তব্যর ঠিকানা চাইবে!
তুমি তাদের কোন পথ দেখাবে?
অন্ধকার থেকে আলোতে যাওয়ার ঠিকানা?
নাকি, আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়ার ঠিকানা?
তুমি যেটিই দেখাবে, তারাও সে পথগামীই হবে।।
তাই এবার ভেবে দেখো, কি করবে?
অনামিকা,
অবশেষে তোমাকে আসতেই হবে।।
নয়তো, তুমি সমগ্র পৃথিবীর কাছে ঋণী হয়ে থাকবে।
তোমার ঋণের দায়মুক্ততার কারণেই তোমাকে আসতে হবে।
নতুবা, তোমাকে জ্বলজ্যান্ত আলোর মানুষ হয়েও,
অন্ধকারেই পড়ে থাকতে হবে।
রক্ত, মাংস, হ্দপিন্ডে গড়া মানুষ হয়েও,
নিষ্তেজ, নিষ্প্রাণ, জড় পদার্থের মতোই,
কিছু মানুষের ব্যবহারের পুতুল হয়ে পড়ে থাকতে হবে।
মনের দরজা খোল, চোখের দৃষ্টিকে ছড়িয়ে দাও,
দু’হাতকে সমনে বাড়িয়ে দাও, দু পা'কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাও।
তবেই তোমার পৃথিবীতে জন্মের প্রকৃত স্বার্থকতা,
অনুভব করতে পারবে।।।।।
এখন ভেবে দেখো, কি করবে???
=========================
সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়, ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৬
দ্বিতীয় প্রকাশনা
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
মে ১৪ ২০১৩
No comments:
Post a Comment