Monday, December 30, 2019

"জুটি ভেঙ্গে ছুটি"




"জুটি ভেঙ্গে  ছুটি"
মিজানুর ভূঁইয়া 


শফিক তোর সাথে অনেকদিন আমার কথা হয়নি
দেশেও আমার যাওয়া হয়নি কয়েক বছর হয়েগেছে,
তাই এরিমধ্য অনেক সময় হয়েগেছে তোর সাথে
শেরাটন সোনারগাঁও কিংবা গুলশান ক্লাবে রাতভর
রং তামাশা গল্প গুজব আর যত্রতত্র আড্ডা দেওয়া হয়নি l 
গতকাল হঠাৎ করেই বন্ধু শচীন্দ্রের
একটি টেক্সট মেসেজ পেয়ে কিছুক্ষন একেবারে
নিঃস্বস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, আর নিজের মনের কাছেই
বার বার জিজ্ঞেস করছিলাম একি আসলেই সত্য!
নাকি শচীন্দ্র ভুল করে অন্য কারো কথা লিখতে গিয়ে
ভুলবশত শফিক নামটি লিখে ফেলেছে l 
বিষয়টি যাচাই করতে গিয়ে তৎক্ষণাৎ বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার
শচীন্দ্রকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করতেই 
সে আমাকে নিশ্চিত করলো:
তুই হটাৎ করেই নাকি, না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিস l 
শুনে বুকটা একেবারেই খাঁখাঁ করে উঠলো
মনে প্রচন্ড কষ্ট নিয়েই কাল সারা কেটেছে l 
মুহূর্তে মন ছুটে চলে গেলো শৈশব এবং কৈশোরের 
দুর্দান্ত ছেলেবেলার সেই স্মৃতিভরা দিনগুলোর দিকে l 
পয়ালগাছা হাই স্কুলের বিশাল দুইতলা দালানের
সেই শ্রেণীকক্ষ, যেখানে বসে ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে
প্রচন্ড তামাশা আর দুষ্টামি, বিতর্ক প্রতিযোগিতা
গান, খেলার মাঠে দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা আরো যে কতো কি!
তুই প্রচন্ড মেধাবী ছিলি আর তাই সব সময়ই
ক্লাসে প্রথম হতি, আর দুষ্টমিতেও ছিলি সবার সেরা l 
তার পর আমি উচ্চমাধ্যমিক ক্লাসে পড়ার জন্য 
ঢাকায় চলে আসলাম তোর সাথে দুই বছর পর আবার
দেখা ঢাকায় l তুই আইনের ছাত্র আর আমি ভূগোলের l
আজ ভীষণ মনে পড়ে তুই সূর্যসেন হলে থাকতি
সূর্যসেন হলে রাতদিন কতো সময় কাটিয়েছি
যাকিনা বলে আর শেষ করা যাবেনা,
টি এস সি চত্বর, রমনা পার্ক,বাংলা একাডেমির বই মেলা,
পুরানো ঢাকার হাজির বিরিয়ানি মামা হালিম,
নিউমার্কেট, পাবলিক লাইব্রেরি, শাহবাগ চত্বর, 
নীলক্ষেতের আড্ডা আরো কতো কি;
তুই প্রথম বি সি এস দিয়ে ডিস্ট্রিক জজের
চাকুরী নিলি, অবশেষে সেই চাকুরীতে ইস্তফা
দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের
শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করলি, সেটাও অবশেষে
ছেড়ে দিলি, কারণ তোর স্বাধীনচেতা মন তোকে
সব সময়ই তাড়িত করতো নিজস্ব স্বকীয়তাবোধকে
ধারণ করে নিজ মনের গতিতে চলতে l
তারপর নিজউদ্বোগে ব্যাবসা শুরু করে গাড়ি বাড়ি
নাম ধাম অনেক কিছুই করেছিস, কিন্তু তবুও 
তোর জীবনের কোথাও যেন কিছু একটা ঘাটতি ছিল,
আর সেই অস্থিরতায় তোকে সদাই  তাড়িত করতো 
বলেই; সব সময় তোর মধ্যে একটা অস্থিরতা দেখতে পেতাম l
একসময় আমি ইচ্ছার বিপরীতে হলেও প্রবাসে চলে আসি l
তুই আমাকে প্রবাসে আসার জন্য যুক্তি দিয়ে কতইনা বুঝিয়েছিলি,
আমি অবশে স্বপরিবারে প্রবাসে চলে আসলাম l
মাঝে মাঝে যখনই দেশে যেতাম তোরা সবাই চারিদিকথেকে
এসে স্বপরিবারে কোনাকোনো রেস্টুরেন্টে আমরা সবাই জড়োহয়ে
অনেক মজা করতাম, তোর সাথে সেই ছোটবেলা থেকে
জীবনের যতটুকু মেলামেশার স্মৃতি ছিল মুহূর্তেই চোখের সামনে
েএকে একে ভাসতে থাকলো আর নিজের কাছে
একেবারেই অবিশ্বাস্য মনে হলো তুই হঠাৎ করেই
আমাদের বাল্যকাল থেকে শুরু হওয়া বিশাল জুটি থেকে
একেবারেই ছুটি নিয়ে না ফেরার দেশে চলেগেছিস l
আমাদের মন যতই বেদনার ভারে দুঃখ ভারাক্রান্ত হউকনাকেন
আমাদের শুভকামনা তোর জন্য সদাসর্বদাই রয়ে যাবে l 
যেখানেই গিয়েছিস, ভালো থাকিস, শান্তিতে থাকিস
বিদায় বন্ধু অনেক অনেক ভালো থাকিস ll

===============================
ইউ এস এ
ডিসেম্বর ৩০ ২০১৯



Thursday, December 26, 2019

"একি তোমার খেলা"

"একি তোমার খেলা"
মিজানুর ভূইয়াঁ

সৃষ্টি যেমন তোমার নিজের হাতে
ধ্বংস লীলা ঘটাও তোমার ইশারাতে।
দিনকে বানাও আলোক প্রদীপ জ্বেলে
আবার রাত করছো আঁধার ঢেলে তাতে।
ইচ্ছে হলেই বৃষ্টি ঢেলে ভিজাও তুমি ধরা
রৌদ্র তাপে তপ্ত করো বানাও আবার খরা।
তুমিই বানাও শখকের পুতুল
আবার তুমিই তাহা ভেঙ্গে করো চুরমুচুর।
তোমার লীলায় তোমার খেলায়
সকল সৃষ্টি শুধুই তোমার হাতের পুতুল।
কষ্ট যতো ধ্বংস যতো সৃষ্ট তাহা পোহায়
সৃষ্টিকর্তা হয়ে তুমি হচ্ছ আবার সবার সহায়।
তুমিই মালিক তুমিই ধনিক
সৃষ্ট যতো সবই হলো গোবেচারা।
তোমার হাতে ভাগ্য সবার
জীবন মৃত্যুর মাঝে সবাই থাকে হয়ে সর্বহারা।
ইচ্ছে হলে রাখো সুখে ইচ্ছে হলে দুঃখে
দয়ার সাগর তুমিই আবার শান্তি ঢালো বুকে।
তোমার চাওয়ায় সুস্থ্য সবাই
আবার ইচ্ছে হলে ভোগাও রোগে শোকে।
সৃষ্টি নামের এমনই রহস্য
কার সাধ্য তোমার এই লীলাখেলা রুখে।
ফুলের বাগান সাজাও তুমি
রং বেরঙ্গের নানান জাতের ফুলে।
তুমিই আবার করছো নিধন
পোকা মাকড় মড়ক বালাই ঢেলে।
তুমিই নাকি রাহিম করিম
সকল সৃষ্টি সবই তোমার নিজ হাতে গড়া।
আবার করছো তুমি সবই নিধন
একি সবই তোমার নিজ মনের খেলা। ।
********************************
ডিসেম্বর ২৬ ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ             

Saturday, September 21, 2019

"সোঁনার গাঁও"

"সোঁনার গাঁও"
মিজানুর ভূইয়াঁ

ছায়া ঢাকা মধুর গাঁও
একবার এসে দেখে যাও l
আজও সেথায় শান্তি ভারি
মন ছুটে যায় শহর ছাড়ি l
সহজ সরল জীবন গাঁথা,
প্রীতির ডোরে জীবন বাঁধা l
মেঠো পথের ধূসর ধূলায়
যান্ত্রিকতার ক্লান্তি ভুলায় l
প্রাণ বাঁধা রয় প্রাণের ডোরে
অল্প পেয়েই মন তৃপ্তিতে ভরে l
নেই সেথায় কোনো ছলাকলা
জীবন পথে সহজ চলা l
ছায়া শীত কোমল হাওয়া
ছড়িয়ে আছে প্রকৃতির মায়া l
অল্পতেই মন ভেজায় খুশি
এর চেয়ে আর চাই কি বেশি l
নদ নদীই পুকুর ঝিলের পাড়ে
জোস্না,রাতে আলোয় ভরে l
মন ছুটে যায় সেথায় চলে
সারারাত বসে গল্প বলে l
সবুজ গাছের উঁচু ডালে
মন ভুলানো পাখি ডাকে l
স্নিগদ্ধ আলোয় ভোর সকালে
পূব আকাশে সোনালী সূর্য হাসে l
সবুজ ছায়ায় ছোট্র একটি কুঠিঘর
মিলেমিশে শান্তি সেথায় জীবন ভর l
মন ছুটে যায় সেই সোঁনার গা'য়ে
শ্যামল ছায়া নিবিড় কোমল মায়া
ডাকছে আজও হাত ছানি দিয়ে ll
************************
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ                   

Saturday, September 14, 2019

"অন্তঃশক্তি



"অন্তঃশক্তি"
মিজানুর ভূইয়াঁ


সুন্দর মাঝে সুন্দর খোঁজ
অন্তরটুকু বিকশিত করো। ...

অন্তর মাঝে খোঁজ আলো
মন ততই লাগবে ভালো।
বিপদে না যেয়ো হারিয়ে
আত্নবিশ্বাস দিতে হবে বাড়িয়ে।
নিজ মনে অদম্য শক্তি ধরো
কঠিনকে তা দিয়ে সহজ করো।
সংকটকে পরাজিত করো
বিজয়ের সংকল্পে লেগে পড়ো।
দেহমনে প্রশান্তির ঝর্ণাধারা,
দুঃচিন্তা সব হয়ে যাবে সারা।
আধার যতই আসুক ধেয়ে
মনের আলো দ্বিগুন দিবে বাড়িয়ে।
তোমার শক্তি তোমারেই কাছে
শান্তির দূত নিজ মন মাঝে।
জাগিয়ে তোলো সেই প্রাণশক্তি
তাতেই আনন্দ তাতেই মুক্তি। ।
******************
সেপ্টেম্বর ১৩ ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Thursday, July 11, 2019

"মায়ের ফোন" 


"মায়ের ফোন"
মিজানুর ভূইয়াঁ

তোমাকে ফোন করার দায় থেকে
তুমি আমাকে মুক্তি দিয়ে গিয়েছো মা।
তোমাকে এখন আর ফোন করা হয়না;
আগের মতো প্রতিদিন।
ফোন করার তাগিতও অনুভব করিনা,
কারণ সেই ফোনটি এখন আর আগের মতো বেজে উঠেনা;
আর তুমিও হ্যালো বাবা বলে ফোন উঠাওনা।
তুমি যেমনি একেবারে চুপচাপ হয়েগেছো;
তোমার ফোনটিও বিগত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে
একেবারে চুপচাপ নিবৃতে গুমাচ্ছে।
বিগত সাড়ে পাঁচ বছর তোমাকে ফোন করতে হয়নি;
তাই এই সুদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সে নাম্বারটিও
আমার স্মরণ তালিকা থেকে মুছেগেছে।
কি সাংগাতিক নিয়ম এই ভবলীলার;
এক সময়ে যা কিছু সবার কাছে অতি প্রিয়,
সময়ের ব্যবধানে সেসবও মুছে যায় প্রিয়তালিকা থেকে।
  আজ অনেকদিন পর হঠাৎ করেই
সেই নিশ্চুপ এবং আমার স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়া
ফোনটি একই শব্দে বেজে উঠলো।
মায়ের নামে সংরক্ষিত ফোন নাম্বারটি
হঠাৎ করে আবার আমার চোখের সামনে জ্বলসে উঠলো;
আমার মুঠো ফোনের পর্দায়।
আমি বিস্মিত এবং কিছুটা আনন্দিত ও অবিশ্বাস!
সেকি তবে মায়ের ফোন!!! এ কি করে সম্ভব!
এই ফোন তো অনেক আগেই বিলীন হয়েগেছে;
তবে কি সত্যি মা ফোন করেছে!!!
একটু আশা নিয়ে সুখানন্দে হ্যালো বলতেই;
ছোট বোনটি ওপাড় থেকে সালাম দিয়ে
আমাকে কৌশলাদি জিজ্ঞেস করতে শুরু করলো;
আমি সকল কিছুর উত্তর দেয়ার আগেই জিজ্ঞেস করলাম,
এই ফোন তুই কোথায় পেলি!
আর তোর নিজের ফোনইবা কোথায় ।
সে বিনয়ের সাথে বললো ভাইজান,
আমার ফোনটি কোনো কারণে কাজ করছিলোনা
মায়ের নাম্বারটি আমার সংরক্ষণে ছিল;
আর তাই সেই নাম্বার থেকেই আপনাকে কল দিলাম।
আমার বুকের ভেতর যতোটুকু আশা জেগে উঠেছিলো,
নিমিষেই তা হতাশার তিমিরে ডুবে গেলো;
তবে এই ভেবেই একটু স্বস্তি পেলাম
মা হয়তো নয়,
অন্তত মায়ের ফোনটিতো আবার বেজে উঠেছে।
মা হয়তো চলেগেছে আমাদের ছেড়ে,
মায়ের ফোনটিতো আজও বেঁচে আছে।
প্রিয় স্মৃতিরা এভাবেই বেঁচে থাকে;
আসলে কখনোই একেবারেই বিলীন হয়ে যায়না।
জীবনের কোনো না কোনো এক সময়
অলৌকিকভাবে ভেসে উঠে।
জীবিত আত্নার সাথে বিদেহী আত্নার
শান্তি সম্মলনে মিলিতি হয় কোনো এক মহাক্ষনে।
প্রিয় স্মৃতিরা কখনোই হারায়না
সব সময় আশেপাশেই বিচরণ করে‘
থাকে হৃদয়য়ে এবং প্রিয় মানুষের সাথে।
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆

১১ই জুলাই ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Friday, July 5, 2019

 ☆☆☆ত্রিরত্ন☆☆☆

সময়ের অগ্রদূত, সর্বজন শ্রদ্ধেয়, বিজ্ঞ ও গুণীজন ওয়াশিংটনে বাংলার ত্রিরত্ন ও সাদা মনের মানুষ জনাব ওয়াহেদ হোসাইনী ( Rtd. World Bank), ডঃ সুলতান আহমেদ ( Rtd. World Bank) এবং কাফি খানের (Rtd.voice of America) প্রতি যথাযত সন্মান প্রদর্শনে এবং সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় আমার এই ক্ষুদ্র নিবেদন ll


        ☆☆☆ত্রিরত্ন☆☆☆
             মিজানুর ভূইয়াঁ

ত্রিরত্ন বাংলার থাকুক অতি যতনে
হৃদয়ের মনিকোঠায় সবার।
মুখের এই হাসি থাকুক চির অমলিন
হয়ে আনন্দ অনিবার।
জন্মেছে সেই কোনো এক শুভক্ষণে
ধরণী তাই ধন্য সেকারণে।
প্রদীপ আলোয় চারিদিক ভরেছে আলোকবন্যায়
জীবন হয়ে থাকুক স্বরণে ও বরণে l
প্রবাসে বাংলার এই তিন অগ্রদূত শান্তির মশাল হাতে উজ্জ্বল করেছে বাংলার মুখ।
বাংলার সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে দুনিয়া জুড়ে
পেয়েছে সন্মান; তাই আজ এতো সুখ।
আত্নত্যাগের মহিমায় যারা নিবেদিত প্রাণ
ফুটিয়েছে হাসি অনাথের মুখে।
নিজের সময় আর শ্রম দিয়ে
চেষ্টা শুধু কিছু একটা করা,অপরের সুখে।
সময়ের অগ্রদূত ক্লান্তিবিহীন এগিয়েছে পথ
কঠিন শ্বপতের ঝান্ডা হাতে।
সময় এখন এগিয়ে আসার, নতুন কান্ডারি
বাকি পথ দিতে পাড়ি হেটে একসাথে।
হাজার বছর বেঁচে থাকুক
শান্তির প্রতীক ত্রিরত্ন; মুখে নিয়ে অমলিন হাসি।
সুখ আর আনন্দে ভরে উঠুক জীবন
চারিপাশে ফুল ফুটুক রাশিরাশি। ♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡
৫ই জুলাই ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ   

Friday, June 21, 2019

"নির্মল জীবনের নির্মল প্রাপ্তি"

"নির্মল জীবনের নির্মল প্রাপ্তি"
  মিজানুর ভূইয়াঁ

কৃতজ্ঞতা,বিশ্বাস আর নম্ররতা
করিতে পারে পৃথিবী বস।
তাতেই বাড়ে জীবনের মূল্যবোধ
বাড়ে খ্যাতি আর যশ।
প্রত্যাখ্যান আর অকৃতজ্ঞতায়
উগ্র হীনমন্যতার প্রকাশ।
নির্মূল করে সকল সম্ভবনা
সম্পর্ক আর শান্তি করে বিনাশ।
শ্রদ্ধা ভক্তিতে সস্পর্ক দীর্ঘায়ু
মিলে সকল প্রশান্তি আর প্রত্যাশা প্রাপ্তি।
অভক্তি আর অশ্রদ্ধায়
ক্ষয়ে যায় সকল মূল্যবোধ নেই তাতে মুক্তি।
ভক্তিতে জীবনে শান্তি আসে
বিশ্বাসে মিলে মহা মুক্তি।
সুশীল কর্মে সুশীতল জীবন
সুন্দর জীবনের ইহাই একমাত্র প্রাণশক্তি।
জটিল মনস্কতায় সংকটময়
শান্তি বিনাশে, বাড়ায় জীবনে শুধুই ভয়।
সৃজনশীল জীবন উদ্ভাবনাময়
সুখ সমৃদ্ধি সুন্দর পরিপাটি করে সুখময়।
নির্মল জীবনের প্রতিশ্রুতি
দূর হয় পঙ্কিলতা সতেজ স্বচ্ছ জীবন।
খুলে দেয় মুক্তির দ্বার
শান্তির দূত চারি পাশে করে বিচরণ।
♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧
২২ জুন ২০১৯ ভার্জিনিয়া,ইউ এস এ   

Saturday, June 15, 2019

এক জোড়া পাখি এইতো সেই হাটি হাটি পা পা একযুগল ময়না হয়েগেছে মস্ত বড় নওজোয়ান ঘরে আর পা রায়না সময়ের ভাঁজে শরীরী কারুকার্য গড়ে তোলে উঠে সবল দীর্ঘ দেহ এভাবেই বেড়ে উঠেছে একজোড়া পাখি আজও সেই মায়ার বাঁধনে ধরে রাখি যতই কাছে টানি কাছে আর রওয়না সবল দুটি পা এখানে সেখান ছুটে যায় ধরে কতো রকম বায়না মন চায় ধরে রাখি শিকল পায়ে তবুও পাখি উড়ে যায় আকাশ ছুঁয়ে আজও যখন চোখে পড়ে ছোট্ট বেলার মায়াভরা মধুর হাসি এক রাশ খুশিতে ভরে উঠে প্রাণ মন দুনয়নে আনন্দ অশ্রুতে ভাসি তবুও অনেক সুখী পাখি জোড়া আছে আসল মানুষ হয়ে বড় হবে আছি সেই আশে সুখে দুঃখে দাঁড়াবে মানুষের পাশে ২১ এপ্রিল ২০১৯ ভার্জিনিয়া ইউ এস এ             

Friday, June 14, 2019

প্রেমের গান- ২৬ 

প্রেমের গান- ২৬
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
তুমি এসেছিলে কাছে যখন
আনন্দ উচ্ছাসে হেসেছে এই মন
সারারাত জেগে সুদূর পথ চলে
ওগো তুমি এলে এই স্বপ্নালয়ে
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
পথের ক্লান্তি তোমায় পারেনি হারাতে
ইচ্ছেগুলো তাই চোখে ভাসে
তুমি এক নিমিষে আঙ্গিনায় ছড়ালে ফুলরেণু
যেনো আকাশে সাজানো রংধেনু
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
প্রজাপতিরা আজ মেলেছে রঙ্গিন পাখনা
এই মিলনক্ষন হেসে খেলে যাকনা
পথের ক্লান্তিগুলো তুমি পথেই এসেছো ফেলে
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
 মিজানুর ভূঁইয়া
 ১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯     

Monday, June 10, 2019

"প্রাণের শহর"

সেই দিনগুলো:
 "প্রাণের শহর"


 মিজানুর ভূঁইয়া আজ থেকে বাইশটি বছর
ছিলাম যখন টগবগে কিশোর।
ইচ্ছার বিপরীতে প্রবাস জীবন
সময়ের ভাঁজে এসে হলো পোড়ামন।
অলি গলি চষে বেড়ানোর যদিও ছিলনাকো অভ্যাস;
তবু চারিদিকে শুনেছি কানাঘুষা ফিসফাস।
রাস্তায় হেটে চলেছি বীরদর্পে
ফুটেছিলো হরেক রকম ফুল চারিপাশে।
ফুলের বাহার আর তারই সৌরভে
জীবন ছিল পরিপূর্ণ আনন্দ গৌরবে।
হাসি খুশি আনন্দে রঙ্গীন স্বপ্নের জীবন
রাজা মহারাজার মতো ছিল মোর ভূবন।
পরিপাটি বেশভূষা দেহ মন সতেজ
আজও রয়েছে কিছুটা পুরোনো সেই রেশ।
যৌবন জৌলুশ, পরিপাটি পরিচ্ছন্ন মন
কেটেছে দিনগুলো আজও কিছুটা রয়েছে তেমন।
বাতাসে উড়েছে বাবড়ি চুল
পরিপাটি বেশভূসা ছিল মন আনন্দে মশগুল।
ইচ্ছে ছিলোনা মোটেই, নারী মন করা আকর্ষণ
সবই ছিল আপন দেহ মন পরিপাটি; নিজ দর্শন।
হিসেবের খাতায় আজ অতিক্রান্ত বাইশ বছর
পিছনে ফেলে আসা সেই প্রাণের শহর।
আকাশে বাতাসে আজও খুঁজি সেই স্বপ্ন
পাইনা সেই আবেশমাখা পরিতৃপ্তি;
পাই শুধু; ক্ষত বিক্ষত একটি হৃদয় ভগ্ন।
নির্মল বাতাস আর মাটি সোধাগন্ধ
যাহা কিছু পাই আজ সবই যেন দ্বন্ধ l
যে রঙ্গীন স্বপ্নে ছেড়ে আসি মাতৃভূমি
সব কিছুই বিলীন একদিন;
নিজে নিজেকে কবু আর নাহি চিনি।
তবুও অবশেষে প্রবাস হয়ে যায় আপন ভুবন
বিসর্জন দিয়ে সব; নিয়ে মনে অন্য পণ।
আজ থেকে বাইশটি বছর
আজও মন খোঁজে তোমায়; হে প্রাণের শহর। ************************************* ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
১০ মে ২০১৯           

Wednesday, May 22, 2019

"আজি এই ঝড়ের রাতি"

"আজি এই ঝড়ের রাতি"
 মিজানুর ভূইয়াঁ

 কে তুমি জ্বালালে বাতি
 প্রবল এই ঝড়ের রাতি।
আকাশকে যখন ভাগছে প্রবল বর্ষণে
আলোক বিহীন ঘরে। 
মন বিহঙ্গনী জেগে আছো
প্রাণজুড়ে ভালোবাসার অতল অন্দরে।
আকাশ কালো মেঘে ঢাকা
এই রাত শুধুই দুজনে জেগে থাকা,
গানে গানে প্রাণের সুধা 
জানি রজনী আজ যাবেনা বৃথা।
বাহিরে মৃদু মন্দ বইছে হাওয়া
 জেগে জেগে মুখপানে চাওয়া।
 ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির পড়া ,
প্রাণের ভেতর মধু সিঞ্চিত ঝর্ণাধারা।
আলিঙ্গনে মধুময় পরশ দেয়া
ডুবে যায় অতল সাগরে খেয়া।
আজি এই ঝড়ের রাতি
দুজনে শুধুই দুজনার প্রাণের সাথী। ।

ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
 ২২ মে ২০১৯     

Tuesday, May 14, 2019

তোমার দুঃখে তুমি দুঃখী 

তোমার দুঃখে তুমি দুঃখী
জানোকি ক'জন সুখী l
এই আছেতো সুখের মাঝে আবার আসে দুঃখ l
দুঃখ তখন বুঝা যায় কাঁপে যখন বুক l
আসলে কেউ সুখী নয় চিরস্থায়ী;
পালাক্রমে আসে জীবনে দুঃখ এবং সুখ l 
যখন যাহাই আসে জীবনে
বরণ করে নাও তাহা, সাহসী মনে 
সাহস দিয়েই জিতে যাবে
 দুঃখ আর রইবেনা তোমার সনে ll
 MB... 12 May 2019

♡মা তুমি মা♡♡ 

♡♡মা তুমি মা♡♡
 মিজানুর ভূইয়াঁ

মা তুমি শুধুই মা
জীবনে এর চেয়ে অমূল্য কিছু
 আছে কিনা তা জানিনা l
জানি তুমি মা পাশে যখন থাকো
তুমি স্বর্গের উপমা l
তোমার হাঁসিতে জীবন
ভাসে সুখের আনন্দে l
মধুভরা স্নেহের পরশে 
জীবন সদাই দোলে সুখময় ছন্দে l 
মা তুমি আমাদের মা
কখনোই তোমায় ভুলিতে পারিবনা l
হৃদয়ের মাঝে একটু শান্তির ছায়া
 মনে হয় তাহা স্বর্গীয় মায়া l
মা তুমি মা
 তোমার নামই আজীবন রবে যপনা ll ♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡ ১২ মে ২০১৯ ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Sunday, April 21, 2019

"Heinous Activities by evils"


"Heinous Activities by evils"

April 21,2019

Should religion always be remain blamed as human killing mission just because of a few heinous activities by some mentally ill people. Does these ill people ever got into the real message of religions, what is the actual teaching of religions for mankind. Can these brutal's show to anyone; that where in any religious books has written to kill other believers would reward them heaven. That absolutely an inhuman action; by those mentally demented people are keep demolishing the peace in the society. If we go long back, there was a time had no state constitutional rules and procedures and people were living in such an uncontrolled societies in the violence and involved with all kinds of unethical activities. There were no existence of states of rule and the states itself. So therefore, the religions came to the earth to control these nonsense and disrespectful living and to peace the world with its verses of peace and prosperity. But as the dimensions of knowledge and prosperities are growing for a peaceful living with equal respect and tolerance and on the other side, a group of uneducated blind and mentally disordered individuals are killing people in the name of religions are completely inhuman and that increasing the threat for the civilized world.  The religions teaches tolerance, euality, respect, , patients, forgiveness, tranquility, peace and prosperity and that will remain as the best for all followers.    

(I had a plan to write an elaborated article on this matter but did not go further; because of my limitation of knowledge about religions would cause misinterpretation to the believers. But I am so tired for those kinds of barbarous activities in the civilized world)           

Thursday, April 11, 2019

"পিচাশ জান্তা" 

মিজানুর ভূঁইয়া
 "পিচাশ জান্তা"

অশান্তি যাদের মনস্কামনা
তারাই শান্তির হন্তা l
শান্তির ঘর অগ্নিদগ্ধ করে যারা
তারাই আসল নরপিচাশ জান্তা l
মানুষের বেশে অমানুষতা পুষে
 হতে চাও বীর বাহাদুর l
পৈশাচিক লোলুপতায় রঙিন স্বপ্ন
ভেঙে করো চুরমুচুর l
তুমি জান্তা, তুমি হন্তা
সুন্দর দেখে অমানুষের বেসে করো বলৎকার l
সাফ কাপড়ে আলখেল্লায় 
কুড়াও ভূয়সী প্রশংসা আর পুরস্কার
মানুষ নামের নরপিচাশ জান্তা
মানবতার শত্রু ইবলিস তুমি; হও বহিস্কার ll ************************************
১১ এপ্রিল ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ         

Sunday, February 10, 2019

প্রেমের গান- ২৬ 


তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে ll

তুমি এসেছিলে কাছে যখন
আনন্দ উচ্ছাসে হেসেছে এই মন ll
সারারাত জেগে সুদূর পথ চলে ওগো তুমি এলে এই স্বপ্নালয়ে l

তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে l

পথের ক্লান্তি তোমায় পারেনি হারাতে
 ইচ্ছেগুলো তাই চোখে ভাসে ll
তুমি এক নিমিষে আঙ্গিনায় ছড়ালে ফুলরেণু
যেনো আকাশে সাজানো রংধেনু l

তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে l

প্রজাপতিরা আজ মেলেছে রঙ্গিন পাখনা
এই মিলনক্ষন হেসে খেলে যাকনা ll
পথের ক্লান্তিগুলো তুমি পথেই এসেছো ফেলে l

তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে ll ♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡
 মিজানুর ভূঁইয়া
১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯

Tuesday, February 5, 2019

"শান্ত চরণ মুগ্ধ করণ"

"শান্ত চরণ মুগ্ধ করণ"
মিজানুর ভূইয়াঁ

শান্ত চরণ মুগ্ধ কানন
ফুটেছে আজি কতো ফুল।
তারই ছোঁয়ায় প্রানপরশে
গেয়েছে গান হৃদয়ের বুলবুল।
স্বর্গীয় সুধা লেগেছে প্রাণে
ভেঙ্গেছে হাজারো ভূল।
এমনি সুধায় প্রেমপিয়াসী
প্রেমকাননে হলো যে মশগুল।
এক ঝলকে হুরপরীরা
নাচলো ছড়িয়ে সুবাসিত ফুল।
মন যে বড়ই উদাস পাখি
ক্ষণেই ফুটালো হাজার ফুলের মুকুল।
শান্ত চরণ মুগ্ধ করণ
হীরা জহর, মনি মুক্তার মালা।
কাননভরা ফুলগুলো সব
মালা হয়ে গলে করলো উজালা।
শান্ত চরণ উদাস করণ
ছিল তাহার মন যে উতালা।
শান্ত চরণ মুগ্ধ কানন
বিছিয়ে দিলো হয়ে শীতল পাটি।
মুগ্ধ হয়ে আপন মনে
তারই উপর ইচ্ছেমতো হাটি। ।
♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡
০৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Wednesday, January 30, 2019

"রক্তেমাখা বর্ণমালা"


"রক্তেমাখা বর্ণমালা
 
মিজানুর ভূইয়াঁ


বর্ণমালা তুমি যখন শহীদের রক্ত হয়ে যাও
তখন তুমি আরো বেশি কাঙ্খিত হয়ে পড়ো   
তুমি আরো অনেক শক্তিশালী হয়ে
প্রতিটি হৃদয়য়ে এক অবারিত স্বপ্ন জাগাও  
অগ্নিশিখার মতো জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠো 
স্বপ্নের জানালায় সকালের  সূর্য্য হয়ে  
তুমি যখন রক্তমাখা শার্ট হয়ে গিয়েছিলে 
তখন বর্ণমালাগুলো পায়রা হয়ে;
ডানা মেলে উড়েছিল, সারা আকাশ সীমানায়  
তুমি যখন সত্যি সত্যিই এই মাটিতে
রক্ত ঝরালে; তখন সেই রক্তস্রোত গড়িয়ে গড়িয়ে 
সমগ্র সমতল ভূমিটুকু রক্ত সমুদ্রে পরিণত হয়েছিল   
আর পাহাড়গুলো এক একটা শহীদ মিনার হয়ে
আকাশ ছুঁইয়ে গিয়েছিল  
রক্তছটাগুলো বৃত্তাকার রক্তাভ সূর্য্য হয়ে
বৃক্ষের সবুজ পাতাগুলোর মাঝখান এঁকেছিল 
বিজয়ের পতাকা, আর সেই পতাকা  
পতপত করে উড়েছিল সেদিন দেশজুড়ে  
বর্ণমালাগুলো  সেদিন হারিয়ে যায়নি 
বর্বরতা এবং নিঃশংসতার কাছে
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল;
অকুতোভয়ী  সৈনিকের মতো বুকভরা সাহসে  
বর্ণমালাগুলো সেদিন বেঁচেছিল বলেই; 
আজ বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা 
বাংলা আমাদের রাষ্ট্র ভাষা, বাংলা পৃথিবীতে সম্মানের ভাষা  
*******************************************************
৩০ জানুয়ারী ২০১৯
ভার্জিনিয়া, ইউ এস   

Tuesday, January 22, 2019

"অপ্রতিরুদ্ধ নেশা" 

"অপ্রতিরুদ্ধ নেশা"
মিজানুর ভূইয়াঁ

চাহিয়া দুই নয়ন পানে
রহিলে আনমনে ।
কেউ জানুক
আর নাইবা জানুক
স্বযতনে রহিবে
তাহা এই হৃদয়াঙ্গনে ।
পাখিরা ডাকিছে ভোরে
কতোনা মধুর সূরে ।
কাননে ফুটেছে
নানান রঙ্গের ফুল ।
বহিছে কোমল সুবাতাস
অতি মৃদু তালে ।
ছুঁইয়া যাবে
একটু আলতো করে ।
তবুও ভাঙ্গেনা
সেই নীরব চাহনীর নেশা ।
কাটেনা ঘোর
একেমন নেশা দুই নয়নে ।
শুধুই ডুবে যায়
অতল সাগরে হারাতে ।
তুবুও থামেনা
এই চাহনি বিরামহীন ।
ফিনকি দিয়ে
আলো এসে চোখে পড়ে ।
তারপরও
চোখের পাপড়ি বুঝেনা ।
দৃষ্টি তবুও
অপলক নেশায় আচ্ছন্ন ।
এ কেমন মায়া ঢাকা আবরণে
আচ্ছাদিত দুই নয়ন ।
শুধুই চেয়ে থাকা
এ কেমন অপ্রতিরুদ্ধ নেশা । ।
*********************
২১ জানুয়ারী ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইঊ এস এ

Thursday, January 3, 2019

☆তাঁরার দেশে আমন্ত্রণ☆ 

☆তাঁরার দেশে আমন্ত্রণ☆
মিজানুর ভূইয়াঁ

ডাকে ঐ সন্ধ্যা তাঁরা
ছুটে মন দিশেহারা ।
ডাকে সে কোন ইশারায়
যেতে চায় মন যে সেথায় ।
মনে ঝড় কালবৈশাখী
উড়ে মনে এক অজানা পাখি ।
কেন যে এতো ডাকাডাকি
সকাল বিকাল মাখামাখি ।
ডাকে সে কোন সে সূরে
মন যেতে চায় পাখায় উড়ে ।
তাঁরাটি ঐ অনেক দূরে
যাবে সেথায় কেমন করে ।
তবুও শুধুই ডাকাডাকি
থাক, যাবোনা নাহয়; একাই থাকি ।
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆
 ০৩ জানুয়ারী ২০১৯
 ভার্জিনিয়া ইউ এস এ