Monday, August 24, 2015

"বন্ধন বিশ্বাস ও মুক্তি"

"বন্ধন বিশ্বাস ও মুক্তি"

বাহুতে বাহুতে এই বন্ধন
এসে মিলিবে হৃদয়ে
বাধিবে প্রাণে মিত্রতার সেতু বন্ধন ।
রক্তের সম্পর্ক টেনে আনে কাছে
হৃদয়ে জাগায় সুমধুর স্পন্দন ।
হৃদয় সাম্পর্কিক মিত্রতার রোমন্থন
সৌরভে ভরে দেয় মন সুবাসিত চন্দন ।
স্বার্থের মোহজালে জীবন হবেনাকো ছিন্ন
তোমার জীবন তখনই হবে ধন্য ।
নিজের জন্যই নয় শুধু বাচা
প্রয়োজনে মানুষের কাছাকাছি আসা ।
পিতা মাতা গুরুজনে থাকে যেন ভক্তি
তাতেই  মিলিবে জীবনের মহামুক্তি ।
স্মরণ রাখিবে সদা মহামানবদের উক্তি
ইহাই হয়ে রইবে জীবনের প্রাণশক্তি ।
মানুষে মানুষে খুজিবেনা কোনো ভেদাবেদ
ইহাই আসল পরিচয়, আসল ইবাদত ।
পৃথিবী অপূর্ব এক মানবীয় বাগান
ভাবো তাই; সকল  মানুষই সমান ।

August 24, 2015

Sunday, August 23, 2015

"সুস্হ্য চিন্তায় সুন্দর জীবন সুখী সমাজ"



 "সুস্হ্য চিন্তায় সুন্দর জীবন সুখী সমাজ" 
মিজানুর ভূঁইয়া

দুশ্চিন্তা এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার উপায় সমূহ সঠিক ভাবে অনুসরণ করলেই দুশ্চিন্তা থেকে রেহাই পাওয়া এবং গহ্যিত কাজ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সম্ভব। এর জন্য শুধু প্রয়োজন নিজের সৎ ও আন্তরিক ইচ্ছা। জীবনে ভালো কর্ম করার মধ্যে প্রচুর আনন্দ আছে। যার সুফল সারাজীবনই অনেক আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। আর অপরদিকে গহ্যিত কাজে জীবনের সকল আনন্দ  ও শান্তিকে হরণ করে। কুটিলতা মানুষের জীবনের সকল ভালো সম্ভবনার দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়। আর জীবনকে নিক্ষেপ করে অমঙ্গল ও অভিসপ্ততার দিকে, আর তাই জীবনে ভালো কাজ করার জন্য অত্যন্ত দৃঢ় ব্রততা থাকা প্রয়োজন।


দুশ্চিন্তা এবং খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হলে গঠনমূলক কাজের প্রতি নিজের আকৃষ্টতা  বাড়াতে হবে। আর উপায় হলো যখনই জীবনে কোনো দুঃখ, ব্যদনা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট, লাঞ্চনা, বঞ্চনা আসবে আর সেই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে হলে নিজেকে কিছু ভালো বিষয়ের প্রতি নিয়োজিত করে রাখতে হবে।

 যেমন সময় করে লাইব্রেরিতে সময় কাটানো, ঘরে বসে ভালো বই পড়ার অভ্যাস করা, শরীর চর্চার জন্য ব্যায়াম করা, বাইকিং করা, ঘরের আশেপাশে বাগান করা, ঘরের  সামগ্রিক পরিবেশ পরিচ্ছন্নতায় নিয়োজিত থাকা, ভালো বন্ধু ও আত্নীয়দের সাথে আলাপ আলোচনা ও গল্প আড্ডায় সময় কাটানো, ভালো ভালো ছবি দেখা, প্রাকৃতিক পরিবেশগুলোতে ভ্রমনকরা, নিজ ধর্ম ও ভালো সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা এবং সুন্দর ও গঠনমূলক ভাবনায় নিমগ্ন থাকা।

তবেই সম্ভব নিজের, এবং পরিবারের জন্য একটি সুস্হ্য সুন্দর ও আনন্দময় জীবন  গড়ে  তোলা, যা কিনা একটি সুন্দর সামাজিক ব্যবস্থা গঠনেও সহায়ক হিসাবে কাজ করে থাকবে।
 

Saturday, August 22, 2015

১৫ই অগাস্ট বাংলাদেশ এম্বেসী ওয়াশিংটন ডি সি

"১৫ই অগাস্ট বাংলাদেশ এম্বেসী ওয়াশিংটন ডি সি তে
সংঘটিত ন্যাক্কারজনক ঘটনা একটি জঘন্যতম অপরাধ"

মিজানুর ভূঁইয়া
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
অগাস্ট ২৩, ২০১৫

ওয়াশিংটন ডি সি বাংলাদেশ এম্বেসী ভবন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত ১৫/১৬ বছর ধরে এম্বেসী কর্তৃপক্ষ অত্যান্ত জাকজমক ও শান্তিপূর্ণভাবে সকল জাতীয় দিবস, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠানাদি করে আসছে। যদিও বহু পূর্বে বাংলাদেশ এম্বেসীর কর্মকর্তাগণ ওয়াশিংটন এলাকার বাঙালি অধিবাসীদের সাথে তেমন সম্পর্ক নিয়ে মাথা গামাতোনা, তবে বিগত ৬/৭ বছর ধরে এম্বেসীর সকল প্রকার অনুষ্ঠান ও আয়োজনে এখানকার বাঙালি অধিবাসীগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহন করে থাকেন। আর এম্বেসীর কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ অতিথিদের বেশ আপ্যায়ন করে থাকেন।

ভবনটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার কথা যদিও শুনা যায়নি বা অদৌ কখনো ঘটেছে বলে আমি অন্তত আমার বিগত ১৮ বছর এই এলাকাতে বসবাসরত অবস্থায় কখনো শুনিনী বা নিজেও প্রত্যক্ষ করিনি। এম্বেসী ভবনটি প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই অনুষ্ঠান প্রেক্ষাগৃহটির (অডিটোরিয়াম) নামকরণ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।

প্রতি বছর বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানাদি উৎযাপনের পাশাপাশি এম্বেসী কতৃপক্ষ জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শাহাদাত দিবস অত্যান্ত শান্তিপূর্ণ ও জাজমকভাবেই করে আসছেন। কখনোই কোনো অসন্তোষজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। কারণ তখন এম্বেসী কতৃপক্ষ যথাযত নিয়ন্ত্রণ ও সুন্দর শৃঙ্খলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর ছিল। কিন্তু ইহা অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যে, এই বছর ১৫ই অগাস্ট জাতীর জনকের শাহাদাত দিবসে খোদ এম্বেসী ভবনে যেই অমানুবিক এবং অশোভন আচরণের অবতারণা ঘটেছে তা শুধু পরিতাপের বিষয়ই নয়; অত্যান্ত ঘৃণ্য এবং লজ্জাজনক, যা একটি স্বাধীন ও সভ্য জাতী হিসাবে আমাদের দেশ ও জাতীকে এই কুটনৈতিক পাড়াতে লজ্জায় মাথা নত করে দিয়েছে। আমাদের জাতীয় মর্যাদা শুধু আজ আমেরিকানদের কাছে নয়; পৃথিবীর সমগ্র জাতীর কাছে ভুলুন্ঠিত করা হয়েছে। যারা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছে তারা নিজেদেরকে জাতীর জনকের আদর্শের দাবিদার বলে মনে করে। আর এরাই সংঘটিত করলো এমন জঘন্যতম কর্মকান্ড।

পৃথিবীর সকল দেশেই কুটনৈতিক পাড়াকে সর্বাধিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল জায়গা হিসাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর সেই পবিত্র ও শান্তিপূর্ণ স্থানে এমনকি বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে এই ধরনের নারকীয় তান্ডভ আজ সমগ্র ওয়াশিংটন বাসীই নয়, সমগ্র জাতীকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে এই ওয়াশিংটনে বসবাসকালে এখন যা প্রত্যক্ষ করছি; তা আজ থেকে ৭/৮ বছর আগেও ছিলোনা, পুরো পরিবেসটি ছিল অত্যান্ত শালীন, ভদ্র ও অনেক মার্জিত। প্রত্যকেই পরস্পরকে অত্যান্ত সন্মানের চোখে দেখতো। আওয়ামীলীগের সমাবেশ, আলোচনা সভা এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম ও শাহাদাত দিবসে সমাজের অনেক শিক্ষিত সচেতন মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক আনন্দের সাথে অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিয়ে থাকতো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় আজকাল মানুষ নিজেদের আত্মসন্মান ক্ষোয়ানোর ভয়ে অনেক দুরে থাকে। এখন মানুষ আওয়ামীলীগের কোনো সমাবেশে যোগ দেওয়ার উৎসাহ বোধ করেনা।

তাই যথাযত কতৃপক্ষ এই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব অনুধাবন করে এর যথাযত ব্যবস্থা নিবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ রাখছি। একটি জাতীর সন্মানজনক পরিচয়, আসল ঠিকানা এবং সঠিক দিকনির্দেশকই হলেন সেই দেশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, আর সেই জায়গায় যদি এতো অন্ধকার থাকে, তবে সেই জাতীর ভবিষ্যৎ আশা ভরসা, অগ্রগতি, সভ্যতা ও উন্নয়ন গভীর তীমিরে নিমজ্জত হতে আর বেশি বাকি থাকেনা। সুতরাং কতৃপক্ষের আশু দৃষ্টি অনিবার্য এবং সরেজমিনে তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা প্রদানের আহবান করছি।

Friday, August 21, 2015

"ভ্রষ্টতায় নষ্ট জীবন"

"ভ্রষ্টতায় নষ্ট জীবন"
মিজানুর ভূঁইয়া


পাপকে তুমি আপন ভাবো
শান্তিতে করো ভ্রান্তি ।
কেমন করে আসবে বলো
তোমার জীবনে সুখ ও প্রশান্তি।
ব্যাগ্রের মত উগ্রতায়
সন্ত্রস্ত করে, শান্তির আশা হয় হরণ।
সুস্হ্য চিন্তা ধারার মানুষেরা
এই অসুস্হ্য কর্ম করেনা বরণ।
সুখের গায়ে আগুন দিয়ে
দাও শান্তি বিসর্জন।
এমন কর্মে কি করে বলো
মানুষ হবে তোমার আপনজন।
উষ্ণ মাথায় শুষ্ক বুদ্ধি
লাগেনা তা আসল কাজে।
শান্ত মাথায় পাকা বুদ্ধি
সকল কর্মে শান্তি নিয়ে আসে।
শান্তি থাকে মনের ভিতর
মিলবে তাহা করলে কদর।
মনকে করে রাখলে পাথর
মিলবেনা কোন সোহাগ আদর।
আকাশ পানে চেয়ে দেখো
ঐ নীল আকাশটা কতো বিশাল।
মনের ভেতর তেমনি আছে
একটি হৃদয় আকাশ বিশাল।
বাচবে শুধু একটি জীবন
কেনোই-বা জটিলতা আর দ্বিধা দ্বন্ধ
ভাবতে শিখো সবাই তোমার আপন বন্ধু।
===================
২১ অগাস্ট ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Saturday, August 15, 2015

"মাটির জীবন-মাটিই রবে সত্য"

"মাটির জীবন-মাটিই রবে সত্য"
মিজানুর ভূঁইয়া



 মাটির দেহ মাটির মানুষ
 মাটির উপর করে বসবাস ।
 মাটির উপর রান্না খাওয়া
 মাটি খুঁদে করে চাষাবাস।
 মাটির মানুষ মাটি খায়
 বৃক্ষ তরু যা কিছু জন্মায়।
 মাটির নিচে খোদাই করে
 তুলে আনে পান করার পানি।
 মাটির নিচে লুকিয়ে আছে
 কয়লা, তৈল, লোহা ও স্বর্ণের খনি ।
 মাটি ছেড়ে মহাশুন্যে দেয় পাড়ি
সেই মাটিতে মানুষ  আবার আসে ফিরে।
 মাটি দিয়ে বানায় বসত বাড়ি
 মাটির উপর রংমহল রঙের ছড়াছড়ি। 
 মাটির মানুষ করে বড়ই বাহাদুরি
 এই দুনিয়া একদিন যাবে সবাই ছাড়ি ।
 সব কিছু  একদিন হবে যাবে মিথ্যে
 মাটিই এই দুনিয়ায় রইবে শুধু টিকে।
বাদবাকি সব সৃষ্টি যতো হয়ে যাবে ফিঁকে।
মাটির মানুষ মাটিতে যাবে একদিন মিশে
 দু'দিনের এই দুনিয়ায় বড়াই তবে কিসে ?
=====================
অগাস্ট ১৫ ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Thursday, August 13, 2015

"জনকবিহীন-আলোকহীন জীবন"

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাত দিবসে


"জনকবিহীন-আলোকহীন  জীবন"
মিজানুর ভূঁইয়া



পিতা; তোমার স্বপ্নের জানালা
এখন আগের মতো আর স্বপ্ন জাগায়না।
আমি স্বপ্নের সেই জানালাটি
অনেকদিন আগেই বন্ধ করে রেখেছি।
যে জানালায় সোনালী স্বপ্নের কিরণ
তুমি আমাদের ঘরে এনে দিয়েছিলে,
তোমার অবর্তমানে সেই সূর্যটি আজ
তোমার নামে বেনামে বড়ই প্রতারণা করছে।
চল্লিশটি বছর ধরে স্বার্থান্নেশী মহল
এই স্বাধীন ও সার্বভৌম ভুমিটিকে
কুৎসিত অন্ধকার দিয়ে ঢেকে রেখেছে ।
এই ভূমিতে এখন আর সুর্যের
তৃক্ন এবং স্বচ্ছ আলো এসে পৌছায়না ।
তুমি আজও বেচে থাকলে
দেশটি আজ স্বর্গভুমিতে  রুপান্তরিত হতো।
দালাল, লুটেরা, আপোসকামী  আর দুর্নীতিবাজরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারতোনা,
এদের অবস্থান আজ সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে।
তুমি দেখে যাও হে জাতিরপিতা;
তোমার স্বপ্ন দিয়ে সাজানো এই সোনার বাংলা
আজ দালাল, লুটেরা, মুনাফাখোর, প্রতারক
আর মিথ্যে খোলস পরা ধর্ম ব্যবসায়ীদের খপ্পরে।
রক্তের বিনিময়ে বিদেশীদের তাড়িয়েও 
আজ  নিজদেশীয় তাবেদারদের
বিষাক্ত নিঃশ্বাসে তামাম দেশ পুড়ে ছাঁই।
পিতাহীন এই জাতীর সামনে  আজ
কতো সঠক পিতার উদ্ভাবনা ঘটেছে।
একটি স্বাধীন ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে
এই লজ্জা আমরা কি দিয়ে ঢাকবো!
যেদিন থেকে আমাদের ওই স্বপ্নের জানালা
আমদের সাথে প্রতারণা করা শুরু করেছে,
সেদিন থেকে সেই জানালা আর খোলা হয়নি ।
=======================
১৪ অগাস্ট ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, August 11, 2015

"যৌবন মধ্য বয়সের প্লাবন"

"যৌবন মধ্য বয়সের প্লাবন"
মিজানুর ভূঁইয়া

যৌবন টল-টলায়মান বহমান নদী
চলে উত্তাল তরঙ্গ নিয়ে
উদ্দাম গতি তার, ভেঙ্গে চুরে
নিয়ে যায় সামনে যা কিছু পায়।
মানেনা কোনো বাধা
চলে তার আপন বেগে যতোদূর যায়।
সেই দুর্দান্ত শ্রোতধারাও
একদিন হারায় তার সেই গতি
নিঃস্তেজ হয়ে যায় কিছু দূর গিয়ে।
বনে যায় অবশেষে শ্রোতহীন মরা নদী।
থাকেনা তার কোনো উত্তাপ
থাকেনা রিমিঝিমি উথাল পাতাল করা
প্রাণরসে ভরা জলতরঙ্গের খেলা।
তেমনি যৌবনও আসে একদা
জীবনে দোলা দিয়ে যায় অপরুপ শিহরণে।
হাটিয়ে নিয়ে যায়
নানা রঙের পুস্প কাননের মধ্যে দিয়ে।
রঙিন স্বপ্নে বিভোর খানিক
তারপর বেলাশেষে অবলীলায়
হেটে চলে যায় বাগানের ওপর প্রান্তে,
যেখানে অবসান সকল সৌরভ ও মাধুর্যের।
====================
 ১১ অগাস্ট ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Saturday, August 8, 2015

"অশুভ প্রেতাত্না"

নীলয়ের স্বরণে*****

"অশুভ প্রেতাত্না"
মিজানুর ভূঁইয়া



নরপশুরা সত্য ও সুন্দরকে ভয় পায়
তাই বার বার সত্যকে করে হত্যা । 
ওরা পৃথিবীকে আবর্জনাময় বানাতে চায়
তাই ছিড়ে ফেলে বাগানের ফুলগুলো ।
ওরা অন্ধকারকে ভালবাসে
তাই দিনের আলোটুকুকে ঢেকে দিতে চায় ।
ওরা সামনে আসতে ভয় পায়
তাই নিবৃতে নিজের মুখ লুকিয়ে রাখে ।
ওরা সভ্যতা ও সুন্দরতম সৃষ্টিকে হিংসা করে
তাই অন্ধকারে ধ্বংশ লীলায় থাকে নিমগ্ন ।
ওরা মানবীয় আত্না করেনা ধারণ
তাই মানব শান্তিকে করছে হরণ ।
ওদের নাই কোনো চিন্তাশক্তি ও মেধা
তাই সৃষ্টিশীলতায় তাদের এতো দ্বীধা ।
ওদের নাই ধর্ম বর্ণ জাত কিংবা গোত্র
ওরা মানবতার শত্রু, শয়তানের পুত্র ।
ওরা হিংশ্র, ওরা মায়া দয়াহীন দানব
ওরা আসে অন্ধকারে নিধন করিতে মানব ।
ওদের মানবীয় চিন্তা শক্তি বিকল ও বিকৃত
ওরা যুগে যুগে শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে রয়ে যাবে ধিকৃত ।
----------------------------------------
অগাস্ট ০৮ ২০১৫

"এরাও মানুষ"


"এরাও মানুষ"
মিজানুর ভূঁইয়া


শুনুন ভাই বোনেরা শুনুন
একটুখানি চোখ মেলে দেখুন।
মোদের নিজের ঘরে সুখে ভরা
ভাগ্য বঞ্চিতদের জীবন পুড়ে দাহন।
নিজসন্তানের সুখ স্বপ্নে করি কতো যতন 
পাড়াপড়শীর্ বেলায় মোদের হয়না অবচেতন।
আমরা যারা বিদেশ বিভূঁইয়ে
থাকি সুখ স্বর্গের মাঝে।
পারিনা কি একটুখানি আসতে
এই অনাথ শিশুদের পাশে ।
দারিদ্রতা নয় ভাগ্য লেখা
রাজনীতি আর সমাজ কাঠামোর সৃষ্টি।
তাইতো বিবেকের চোখ খুলতে হবে
রাখতে হবে হতভাগা মানুষদের প্রতি দৃষ্টি।
আমরা বিলাসিতা, চাকচিক্য আর
নিজ আনন্দের করি কতো আয়োজন।
নিজ দেশ ও মানুষের কথা
আমাদের একটু হলেও ভাবা প্রয়োজন। 
বাতির নিচে অন্ধকার রেখে
যদি ছড়াই চারিদিকে নিয়ঁন আলো
সেই কালোই  লজ্জা দিবে
করবেনা কারোর জীবনই তেমন ভালো ।
একই স্রষ্টার সৃষ্টি সবাই
লক্ষ্য যেনো হয় আমাদের মহৎ কর্ম।
মসজিদ গীর্জা মন্দির সেবার
পাশাপাশি মানবতাবাদই হলো আসল ধর্ম।
=====================
ভার্জিনিয়া ইউ এস
০৮ অগাস্ট ২০১৫
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Tuesday, August 4, 2015

"মাঝি শক্ত করে ধরো বৈঠা"


"মাঝি শক্ত করে ধরো বৈঠা"
মিজানুর ভূঁইয়া




নৌকাখানা অতিযতনে
পাল তুলে ছেড়ে দিলাম
অন্য তীরে ভিড়াবো বলে ।
মাঝখানে দিনবদলের হাওয়া
ঘূর্ণি হাওয়া , মাতাল হাওয়া
কতো তালের হাওয়া এসে
কতোনা কি তোলপাড় করে গেলো।
আর আমি বৈঠাখানা ধরেছি শক্ত করে
কারণ; শুনেছি আমার দাদা ও বাবা
একই নৌকা একই দিকে বেয়ে
এই বিশাল নদী পার হয়ে
তাদের প্রত্যাশিত গন্তব্যে পৌছেছিলেন।
আমি সেই মনোবল আর সেই অভিপ্রায়
নিয়েই ছিলাম; কখনোই বিচলিত হইনি। 
প্রচন্ড তোলপাড় করা ঝড়ের মাঝেও
আশা ছাড়িনি, বজ্র কঠিনভাবে
ধরে ছিলাম বৈঠাখানা একাগ্র মনে ।
মনে একই আশা ছিল দাদা এবং বাবা
যেভাবে নিজ গন্তব্যে পৌছেছেন 
আমিও পেরুবো একইভাবে।
বাবা যখন ঝড় ঝাপটা থেকে
রেহাই পাবার জন্য
আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ব্যস্ত এবং প্রচন্ড ঘর্মাক্ত।
মা পাশে বসে অভয়বাণী শুনাতেন
আর আঁচল দিয়ে ঘামগুলো মুছে দিতেন।
বাবা তখন প্রচন্ড সাহসী হয়ে উঠতেন
তার নৌকর পাল কখোনই
এদিক সেদিক ঘুরতো না,
নৌকাখানা চলতো আপন অভিলক্ষ্যে।
বাবা যখন ঝড়ের তান্ডভে
হুমড়ি খেয়ে পড়ার উপক্রম হতো।
মা শক্ত করে আঁচল দিয়ে
বাবার কোমরখানা বেঁধে রাখতেন।
স্বামী বেচারা পানিতে যেনো না পড়ে যায়। 
দাদা এবং বাবার সময়
হয়তো কিছুটা ঝড়ো হাওয়া ছিল ।
তবে সেটা ইদানিংকালের
দিনবদলের হাওয়ার মতো
এতো ভয়ঙ্কর এবং একপেশে ছিলোনা ।
আজকাল দিনদলের হাওয়া
অযথাই এদিকের পাল সেদিকে ঘুরিয়ে দেয়।
মাঝখানে কতো নাবিক
দিকবিদিক হারিয়ে সর্বস্ব হারিয়ে বসে।
চতুর নাবিক
নৌকার পাল তোলে বাতসের গতি বুঝে।
অচতুর নাবিক
দিক হারায় সহজে, ডুবে যায় মাঝ নদীতে।
====================
০৪ অগাস্ট ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
(লেখকের সর্বস্ত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)