Tuesday, November 26, 2013

"সুবচন নির্বাসন"

                        "সুবচন নির্বাসন"
---------------------মিজানূর ভূঁইয়া

যদি করে থাকো কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা ফাঁদপাতা ছল
পাপিষ্ট রহিবে তুমি চিরদিন, মন থাকিবে সদা চঞ্চল।
দিয়েছি তোমায় উদার চিত্তে পেতে সিংহাসন বার বার
প্রতিদানে তুমি শুধুই চেয়েছো আমাকে হারাবার।
দৈন্যতা তোমায় ঘিরিয়াছে যেনো এক অস্পষ্ট ছায়ায়
তাই হৃদয় ভরিয়াছে তোমার অমুছনীয় কালিমায়।
তুমি কখনো করোনা কোনো তোয়াক্কা অন্যের মতবাদ
আর তাই জেদ করে করো সব পন্ড, দেও অপবাদ। 
গঠনমূলক সমালোচনায় তুমি সদাই ভীষণ ক্ষ্যাপিয়া যাও 
তাই হাবলা গোবলাদের উজির নাজির বানাইয়া বসাও। 
যেজন পারেনা করিতে সন্মুখ সমালোচনাকে ধারণ
তার মুখে কখনো সোভা পায়না গণতন্ত্রের সুবচন।
গণতন্ত্রের পথ, পরমত সহিষ্ণুতা, করোনা তা আর যা-তা
তবেই মিলিবে স্বস্তি, উড়িবে শান্তি আর সমৃদ্ধির পতাকা।
===========================
নভেম্বর ২৫ ২০১৩
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ 
  

Sunday, November 24, 2013

"আত্মার সংলাপ"

"আত্মার সংলাপ"

------------মিজানূর ভূঁইয়া

হ্যালো মা; হ্যালো, মা তুমি এখন কেমন আছো?
হ্যালো মা; হ্যালো, মা তুমি কি শুনতে পাচ্ছোনা?
মা তুমি সম্ভবত এয়ারফোন লাগাতে ভুলে গেছো
তুমিতো আবার এয়ারফোন ছাড়া শুনতে পাওনা
মা তুমি এবার শুনতে পাচ্ছো? ওহ--এবারোনা
আমি দুঃখিত মা, আমি বেমালুম ভূলেই গিয়েছি
তুমিতো ইতিমধ্যে তোমার বাসস্থান বদলিয়েছো
সেটা আমি একদম পুরোপুরি ভূলেই বসেছি মা ।
রোজকার মত আমি তোমায় যে নাম্বারে কল করতাম
আজও আমি সেটাই করছিলাম, আমাকে ক্ষমা কোরো মা ।
তোমার নতুন বাসস্থানেতো কোনো আধুনিক সুযোগ সুবিধা 
কিংবা যান্ত্রিক ব্যবহার বা যোগাযোগের ব্যবস্থা মোটেই নেই
আর তোমার ফোনটিকেও রেখে গেলে, তুমি সাথে নিয়ে যাওনী।
তবে তোমার সাথে আমার কথা হবে কিভাবে মা?
আমি এখন কিভাবে প্রতিদিন এই সুদূর প্রবাস থেকে
তোমার সাথে কথা বলবো কিংবা কিভাবে তোমার
শারীরিক কৌশলাদী ও অন্যান্য খবরাখবর জানবো?
তুমি কেনো আমার সাথে এমন অভিমান করলে মা? 
তুমি একেবারে সমস্থ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে
মা, আমিতো তোমার কোনো অবাধ্য সন্তান ছিলামনা
তবে হঠাৎ এতো অভিমান তোমার কিসে হলো মা?
আমি জানি, আমার এই প্রবাস জীবন, তোমার কাছে
মোটেই প্রত্যাশিত ছিলোনা এবং থাকার কথাও নয়
কারণ জগতে কোনো মা বাবাই তাদের সন্তানদের
দূরোবাসকে মন থেকে কোনো কালেই মেনে নিতে পারেনা।
মা তুমি যতই অভিমান করো, আমি তোমায় ছাড়ছিনা 
আমি আজীবন বাতাসের মাঝে তোমার অস্তিত্ব খুজবো। 
বাতাসের সাথেই কথা বলবো, আর কান পেতে থাকব
তোমার উত্তরের প্রত্যাশায়, বুক ভরা আশা নিয়ে।
আমি সমুদ্র তীরে বসে চিত্কার করে তোমায় ডাকবো
হয়তোবা অকস্মাৎ গভীর জল থেকে তুমি বেরিয়ে আসবে
তোমার সেই চিরচেনা হাস্যউজ্জল মুখায়ভ নিয়ে,সেই প্রত্যাশায়।
আমি অরণ্যবিস্তৃত পাহাড়ের পাদদেশে এপাশ ওপাশ সারাক্ষণ
তোমায় তন্নতন্ন করে খুজবো মহারোধনে, মা মা বলে 
হয়তোবা তুমি মহাআলিঙ্গনে ছুটে আসবে, সেই অভিপ্রায়ে।
আমি সুর্য্যে ও চন্দ্র পানে উর্ধ্বমূখী হয়ে চিত্কার করে বলবো
যদি তোমরা লুকিয়ে থাকো মাকে, এবার তাকে ফিরিয়ে দাও।
তারপরও যদি তোমার দেখা না মিলে, আমি অনন্তকাল ধরে
চোখের জল ফেলতে ফেলতে নিরবে নিঃশেষ হয়ে যাবো।
তুমি ফিরে এসো মা, ক্ষমা করে দাও আমার ক্ষমাহীন ত্রুটিগুলো
আমি পাপী ধেয়েছি এই প্রবাসে, তাই তুমি চলে গেলে পরবাসে।
দেখা হলোনা তোমার সাথে আমার  চিরবিদায়ের কালে,
সেই অসীম গ্লানির বোঝা আমি এজীবনে রাখিবো লুকায়ে কিসে?
===================================
নভেম্বর ২৩ ২০১৩
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Friday, November 22, 2013

"সেঁতু বন্ধন"

নিউইয়র্কবাসী বিশিষ্ট আইনজীবী, মানবতাবাদী শান্তি অন্নেষক --শ্রী রতন বড়ুয়ার সৃজনশীল কর্ম মানবতাবাদী চিন্তা দর্শনের কৃতজ্ঞতা সরূপ-আমার এই ক্ষুদ্র শ্রদ্ধাঞ্জলী ---

                     "সেঁতু বন্ধন"-----------------মিজানূর ভূঁইয়া

জীবনে কস্মিন কালেও যাকে হয়নি স্বচক্ষে দেখা বা জানা  একদিন; সেও হয়ে যায় হৃদয়ের মানুষ অতিআপনজন।
হৃদয়ের সাথে হৃদয় মিশে হয়ে যায় এক মহাসম্মিলন
যদি বলে কথা; একই ছন্ধে, গায় একই সুরে মানুষের গান।
ধর্ম ,বর্ণ, গোত্র কিংবা কোনো জাতীবেধের উর্ব্ধে উঠে
মানবতা সাম্যবাদের উর্ধ্বধ্বনিতে হয় নিবেদিত প্রাণ।
জন্ম হউক যথা-তথা, অন্ত-আত্মা তার একই সূত্রে হয়ে যায় গাঁথা
জীবনের প্রতিটি ক্ষণ, মানব কল্যাণে রয়ে যায় চিরতরে বাঁধা।
তবেই হয়ে যান তিনি মুক্তির দিশারী, হয়ে যান সাম্যবাদের পতাকা।
জীবনে যিনি মানবের তরে মাগেন ভ্রাতৃত্ব, শান্তি, স্থিতি কল্যাণ
বিশ্ব ভ্রম্মান্ডে তার সকল কৃত্তি হয়ে রয় চির অম্লান।  শুনেছি যাকে; পড়েছি তার বহু লেখা, থাকেন যিনি মানবতা নিয়ে যদিও রয়েছেন তিনি দূরে, বেঁধেছেন ঘর আমার মনের কোণে।
ওম শান্তি, ওম শান্তি---বয়ে যাক তার সমগ্র জীবনে মরণে।
============================
নভেম্বর ০৭ ২০১৩ ভার্জিনিয়া, ইউ এস

Wednesday, November 20, 2013

"মায়ের গান-১"

মায়ের উদ্দেশ্যে উৎস্বর্গীত প্রথম গান
এলবাম-১
                       "গান-১"
"মা তুমি" চির উন্নত চির মহান

মা তোমায় আজ আমার বেশী মনে পড়ে
তুমি ছিলে মুক্তা-মানিক আমার হৃদয় কোণে।।
যদি কখনো তোমার মনে আমি দুঃখ দিয়ে থাকি
মাগো; মিনুতি তোমায় আমায় ক্ষমা করো।।
মাগো তোমায় আজ আমার বেশী মনে পড়ে
গর্বে তুমি না নিলে আমায় আসতামনা এই দুনিয়ায়
তোমার কষ্টের ফসল আমি আছি আজো বাচিয়া।।
মা তোমায় আজ আমার বেশী মনে পড়ে
রেখেছিলে বুক জুড়ে অনেক যতনে আদরে ও সোহাগে
তুমি যখন ছিলে বেছে তোমার কদর আমি বুঝিনি।।  
মা তোমায় আজ আমার বেশী মনে পড়ে
তোমায় বিনা এই দুনিয়ায় আছি মনে বহুত দুঃখ নিয়া 
তোমায় আবার পেলে আমার বুক যাইতো জুড়াইয়া
মাগো আসোনা আমার কাছে আরেকবার ফিরিয়া।।
মা তোমায় আজ আমার বেশী মনে পড়ে
তুমি ছিলে মুক্তা-মানিক আমার হৃদয় কোণে।।

Tuesday, November 19, 2013

"গোলাপ পাঁপড়ির মত মায়ের দন্তযুগল"

"গোলাপ পাঁপড়ির মত মায়ের দন্তযুগল"

-----মিজানূর  ভূঁইয়া

বাগানের প্রস্ফুটিত একটি সতেজ গোলাপ ফুল 
সদা-সর্বদাই যেমন মানুষের দৃষ্টিকে কেড়ে নেয়। 
আমার মায়ের দরদমাখা চিরচেনা সেই মুখায়ভও   
গোলাপীয় হাঁসিত়ে ছিলো সদা ভরপুর দিনভর।
জীবনের সাড়ে চার দশকেও দেখিনি কোনো ক্রোধ
প্রতিহিংসা কিংবা বিদ্ধেষের কালো অমানিশায় ঢেকেছে
তার সরল অন্তর, যা একমাত্র অন্তরজামীই জানে।   
আজও গোলাপ পাপড়ির মত দৃষ্টি একই নন্দনতায়  
মায়ের সেই দন্তযুগল আমার দু'নয়নে দৃশ্যমান।
কি অপূর্ব সরল হৃদয় উজাড় করা সেই হাঁসি 
অকৃত্তিমতায় ভরা ছিলো, ছিলোনা তা একটুও মেকী। 
আজ তার প্রয়াণেও যদিও আমার হৃদয় কাঁদে
আবার হেঁসে উঠে, যখন দেখি নয়নে ভেসে আসে 
উচ্ছসিত হাঁসিমাখা মুখ ও গোলাপ পাঁপড়ির মত
মায়ের উজ্জল চিরচেনা সেই শান্তির প্রতীক দন্তযুগল।
গোলাপের পাঁপড়িও একদিন শুকিয়ে মলিন হয়ে যায়
তবে হোতনা; কখনো আমার মায়ের মুখের হাঁসি।
ভর জোঁস্নাতে যেমন দেখিছি উজ্জল চাঁদের আলোক রাশি
আমি তেমনী দেখিছি মায়ের মুখভরা স্বর্গের সেই হাঁসি।
মা নেই চলে গেছেন চিরদিনের জন্য হয়ে অন্তপূরোবাসী
মনে মোর একই তৃপ্তি, মা স্বর্গে আছেন মূখে তার একই হাঁসি।
===================================
নভেম্বর ১৯ ২০১৩
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ  

Sunday, November 17, 2013

"মা এক অপূর্ব মায়া"

"মা এক অপূর্ব মায়া"           মিজানূর ভূঁইয়া

মা কথাটি উচ্চারণে জীবনের প্রতিটি দিন-ক্ষণ
বুক যে আমার উঠতো ফুলে যেনো আকাশ ছোঁয়া মন।
মা হারিয়ে সে বুক আজ আমার হলো ক্ষত-বিক্ষত
যেনো বিদলো বুকে এক বিশাল বেদনাময় সূঁই।
আমি আকাশেতে করতাম বিচরণ, মা মা বলে
তীঁরন্ধাজের তীঁরের আঘাত ফেললো আমায় ভূতলে।
মনের সুখে বসে ছিলেম ঐ হৃদয় নদীর তীরে
হঠাত্ঝড়ো হওয়া লাগলো আমার সুখের হৃদয়নীড়ে।
মা যে আমার বটবৃক্ষ থাকতো মাথার উপর
শান্তির ছায়ায় হৃদয় আমার করতো সদা শীতল।
যে বুক আমার ভরা ছিলো মায়ের অহংকারে
সে বুক মোর আজ জীর্ণ হলো ভীষণ হাঁহাঁকারে।
মা যে আমার হৃদয় মাঝে ছিলো উর্বর জমি
মা বিনা আজ তা হয়ে গেলো বালুকাময় মরুভূমি।
নদীর জলের শুন্যতা ভরে দেয় উপচে পড়া সাগর
ভূমির তৃষ্ণা মিঠায় আকাশ ঝরা মেঘ বর্ষণমূখর
আলোর অভাব মিঠায় জবে প্রত্যুষে উঠে রবির কর।
আমার হৃদয়ে মায়ের শুন্যতা আজ ভরবে কিসের তরে?  
আদর করে ডাকতাম মাকে কতনা মধুর সূরে
অভিমান করে মা আমাদের ছেড়ে গেছে অনেক দূরে।
মায়ের ছায়ায় অনেক মায়া বুঝি এখন আরো বেসি করে।
========================
নভেম্বর ১৭ ২০১৩
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
 

Tuesday, November 12, 2013

" "মা" এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক"

আমার পরম শ্রদ্ধেয়া "মা" ও জগতের সকল মা'দের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন
স্বরূপ আমার এই নিবেদন-------

" "মা" এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক" ---------------মিজানুর ভূঁইয়া

 সন্তান মায়ের বুকের ভিতর প্রীতি ভরা এক মহাসমুদ্র
বিরামহীন প্রবহমান স্নেহ ও ভালবাসার অনন্ত স্রোতধারা।
তৃষ্ণার্থ বুকে, তৃষ্ণা নিবারণে এক বিশাল সঞ্চিত জলধারা
এ যেনো এক সীমাহীন ও দিগন্ত বিস্তৃত অশেষ প্রান্তর।    
যা হৃদয়কে প্রতিনীয়ত সঞ্জীবীত রাখে, দেয়না শুকাতে এতোটুকু 
এ যেনো এক অলিখিত স্বার্থহীন হৃদয় সাম্পর্কীক সংরক্ষিত দলিল
কখনো যাহা হয়না ভঙ্গ নিতান্ত স্বার্থের ঠুনকো অজুহাতে।
ভালবাসার অমৃত সিক্ততায় পরিপূর্ণ দুটি হৃদয় আজীবন
অকৃত্তিম স্নেহ ও ভালবাসায় ঘীরে রাখে বিস্তৃর্ণ আবরণে।
প্রতিরক্ষায় সদা নিয়োজিত মায়ের বুকভরা মায়া ও মমতায় 
যেনো লাগেনা এতোটুকু আঁচড় আপন সন্তানের দেহে ও মনে।
সন্তানের অমঙ্গলে মায়ের ঝরে অশ্রু বারী, পোড়ে তাঁর হৃদয়
ক্রন্দনে সপ্তআকাশ-জমিন কাঁপে, উতালা হয় বায়ু ও নদীর জল।
মায়ের মন আনন্দে উচ্ছসিত হয়, ভরে যায় স্বর্গীয় হাঁসিতে
জবে সন্তানের জীবনে দেখে কৃতকার্যতা, সুখ ও সমৃদ্ধি অঢেল।
জগতে চিরসত্য, স্বার্থহীন চিরমঙ্গল কামনায় আছে একটি প্রাণ
সে হলো স্বর্গীয় শান্তির দূত, আত্মার আত্মীয় মহীয়সী "মা" যার নাম।
===========================
নভেম্বর ১২ ২০১৩
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ  

Friday, November 8, 2013

"দেশ যেনো এক মগেরমুল্লুক"

"দেশ যেনো এক মগেরমুল্লুক"-----------মিজানুর ভূঁইয়া

তোমরা কথায় কথায় মানুষ মারো
মানুষেরে মেরে পিটে জিম্মি করো
বোমা মেরে হাত পা উড়িয়ে ফেলো
রাস্তায় ধরে মানুষেরে উলঙ্গ করো
রুগিবাহী এম্বুলেন্ছে ঢিল ছোড়  
জীবন নেশে উম্মত্ত উল্লাস করো
পেট্রোল বোমা ছুড়ে গাড়ি পোড়ো
তোমরা দেশপ্রেমিকের ভান করো
ক্ষমতার লোভে দেশ পুড়ে ছাঁই করো 
স্কুল কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্টান রুদ্ধ করো 
বড় বড় বুলি ছাড়ো,দুর্নীতির পাহাড় গড়ো
তোমরা সাঝো দেশের মাতা পিতা
জনতাকে বানাও গাছের ঝরা পাতা।
তোমরা দেশ জুড়ে হরতাল ডাকো
রাতের বেলায় হেরেমখানায় আয়েশ করো।
তোমরা হলে দেশ ও জনতার ভাগ্যবিধাতা  
দেশ ও জনতা হলো তোমাদের কাছে যা-তা
দেশটিকে বানিয়েছে এক মহা মগেরমুল্লুক
ভাবেন তারা এসব তাদের বাপের তালুক।
কি আসে যায়, সারাদেশে জ্বলে আগুন জ্বলুক
তবুও চান  লুফে নিতে ক্ষমতার অমৃত সুখ।
==========================
নভেম্বর ০৮ ২০১৩
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, November 5, 2013

"ভৌতিক আত্বীয়তা"

 "ভৌতিক আত্বীয়তা"
---------মিজানুর ভূঁইয়া
 
তুমি আত্মার আত্বীয় নয় নিতান্তই স্বার্থের পুজারী
স্বার্থ সিদ্ধির ধ্যানে তোমার দিন যায় গুজারী। 
তুমি আসলে সদাসর্বদাই সম্পর্কের ভান করো
দিবানিশি আপন মতলবী সব কাম করো। 
কোনো মতে সাঁতারী, দিতে চাও তুমি নদী পাড়ি
জানে লোকে; মতলব ফুরালে দিবে তুমি আড়ি
তাই সম্পর্ক শুধু নামে মাত্র তোমার কাছে 
নাই যার মুল্য আসলে এতোটুকু কানাকড়ি।
তুমি বন্ধুর ভান করে পাড়ি দিতে চাও মহাসিন্ধু
আসলে ভালবাসা নাই হৃদয়ে তোমার এক বিন্ধু।
মানুষ হয়েও কাজে-কর্মে মনে হয় যেনো মহাজন্থু
সম্পর্কের নামে দিনরাত চালাও আপন স্বার্থের যন্ত্র।
=========================
নভেম্বর ০১ ২০১৩
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ