Sunday, September 29, 2013

"শুধিতে হইবে গ্লানি"

"শুধিতে হইবে গ্লানি"
------মিজানুর ভূঁইয়া


জীবনে আছে যতো কল্যাণ
রাখিতে হবে তাহা চির অম্লান।
জীবনের যতো পাপ ও গ্লানি
মুছিতে হইবে হৃদয়ের শুদ্ধতা আনি।
মানবের কাছে মানবতাবোধ
দানবের কাছে হিংসা ও বিদ্ধেষ।
মানব কল্যাণে ঘুছাইতে হবে তাহা
কলঙ্ক যাহা আছে অন্তর অলি-গলিতে।
হৃদয়ে আছে যতো কালিমার রেশ
করিতে হইবে তাহা চির নিঃশেষ।
নয়তো হৃদয়ের নিসৃত কালিতে
সারা ভূবন ভরিবে ধুলিতে।
অন্ধ হইবে সর্বমানবতার আখিঁ
মানুষে মানুষে চলিবে শুধু হাঁকাহাঁকি।
জগৎ সংসার হইবে ঝন্জ্জাল ও ঝঞ্জাটময়।
ধীরে ধীরে হইবে শুধু মানবতার ক্ষয়।
================
সেপ্টেম্বর ২৯ ২০১৩

Saturday, September 28, 2013

"বিবেকের জাগরণ"


"বিবেকের জাগরণ"
-মিজানুর ভূঁইয়া


ঘরে ও বাইরে মানুষে মানুষে ক্লেশ
ইহা নয় আর, হতে হবে তা শেষ।
এ-তো শুধুই কথার কথা নয়।
আপন বিবেকের জাগান জাগাতে হবে
নিজেই নিজেকে সংবরণ করতে হবে।
আপন বোঝা অপরের ঘাড়ে চাপিয়া 
নিজের দরিয়া দিতে হবে পাড়ি,
এই যদি হয় আসল মনের বাজীকরী। 
তাহলে রয়েই যাবে চিরকাল আড়ি।
উদুর পিন্ডি বুদুর গাড়ে চাপিয়া
যদি চলিতে চাও দিন জাপিয়া
রহিবে ক্লেশ, দ্বেষ সারা জনম ধরিয়া।
আপন বিবেক ও বিবেচনার উপলব্ধি
করিতে পারে সকল সংকটের সিদ্ধি।
বিবেকের জাগরণ, করো নিজেকে উন্মোচন 
তবেই জীবনে আসিবে মুক্তি ও আনন্দ শিহরণ।
==================
সেপ্টেম্বর ২৮ ২০১৩

Wednesday, September 25, 2013

"রাষ্ট্র জনতার"

"রাষ্ট্র জনতার"
মিজানুর ভূঁইয়া


রাষ্ট্র চলবে তার নিজের নীতিতে
নয় কোনো সন্ত্রাস ও ভীতিতে।
নয় কোনো স্বৈরাচারী রীতিতে।
নয় কোনো আপোষকামীতাতে।
নয় কোনো উত্তপ্ত বাগ্মিতাতে।
কিংবা ফাঁদপাতা ষড়যন্তের গলিতে।
রাষ্ট্র হলো সর্বস্থরের জনতার
"গদিবাসীরা" হইবে তাহা মানিবার।
তবেই রাষ্ট্র হইবে উন্নয়নের দ্রুতযান।
রাষ্ট্র ফিরিয়া পাইবে তার ঐতিয্য, মান-সম্মান।
=============
সেপ্টেম্বর ২৫ ২০১৩

Monday, September 23, 2013

"পণ নিধন"

"পণ নিধন"
মিজানুর ভূঁইয়া

ভালোবেসেই-তো এসেছিলে এই খাঁচায়
চিনেছিলে একে অপরকে দৃপ্ত প্রত্যাশায়।
তবে কেনো টলছে হিঁয়া আশায় নিরাশায়। 
বেঁধেছিলে শপথ, বাঁধিবে ঘর বড় আশায়
আজ কেনো মন উড়ে যায় উদাসী হাওয়ায়।
করেছিলে পণ, রাখিবে যেমন মানিক রতন।
আজ নিজেই তুমি ভঙ্গ করিলে সকল পণ।
নিজের দুনিয়ায় নিজেকে নিয়ে তুমি ব্যস্ত এখন।
কবে, কোন ক্ষণে হয়েছে কিসের অলুক্ষণে পণ
আজ এই লগনে তাহা ভাবিতে হইবে, একি বিলক্ষণ।
পণ যাহা ছিলো, তাহা ছিলো অতীতের ভ্রান্ত মন
সুসময়ে ভাবিতে হইবে কেনো অতীতের অঘটন।
এই যদি হয় তোমার মনের কোণে লুকানো আসল জপন
তবে কেনো সপিলে তোমার কলুষিত মন ও প্রাণ।
=================
সেপ্টেম্বর ২৩ ২০১৩

Sunday, September 22, 2013

"অধমের পাপাচার"

"অধমের পাপাচার"
মিজানুর ভূঁইয়া

আপন জমি চিনিসনা তুই
করিস অন্যের জমি চাষ।
আসল ফসল না পাইয়া তুই
আসবে একদিন, করবি হায়হুতাশ।
আপন জমি তোর্ আগাছায় ভরা
অন্যের জমি তুই দেস নিঁড়ানী।
করে নিজের জমি গো-চারণ ভূমি
করছিস অপরের জমির খবরদারী।
পরের জমির ফসল তোলার আশায় 
নিজের জমি বর্ষার জলে ভাসায়।
জগতে কি আজো, আছে এমন অদম?
নিজের জায়গা-জমি ছেড়ে দিয়ে
যারা অন্যর জমিতে বাড়ায় কদম।
বুঝবে সেদিন, যখন হবে সব বদহজম।
--------------------------------
সেপ্টেম্বর ২২ ২০১৩    

Monday, September 16, 2013

"সংসারী সং"

"সংসারী সং"
মিজানুর ভূঁইয়া
মন নাই যার, পোষে পাষন্ডতা চিত্ত জুড়ে
মানুষ আকৃতি হয়েও, আসল মানুষ সে নয়
চিত্ত ভরা কূটকর্ম, সং সাজে ধর্মে কর্মে
লেবাসে পাকা বান্ধা, আসলে জানু খেলোয়ার
সংসার নামে ফন্ধি মাত্র, অন্তরে পাতা বাজিকর
আপন ভুবন ভালোই চিনে, অন্যের খবরের কি দরকার
মতলব শুধু পার হওয়া দরিয়া, বাহিয়া সময়ের তরী
অতীত আবার কি? সেতো গেছে মরিয়া পচিয়া
কে রাখিবে খবর, যদি দিন কাটেই-বা সং সাজিয়া
একই চালায় বসত করে যার সঙ্গে কাটিয়েছো চিরকাল
যদি সে কাটে তোমার পিঠের নিচে কুয়া খাল
মনে তার পাথর বাধে, কৃত্তিমতার সাঁ সাজে
তোমাকে পিছন করে বাধে অন্য চালার ঘর
সংসার শুধু নামেই রহে, আসলে তাহা বালুর চর
মানুষ নামের এই বহুরুপী রয়েছে ভরে জগ সংসার
এরাই করে আসল মানুষের দিল টুটে ছারখার
করেনা কোনো তোয়াক্কা, খেয়েও হাজার ধাক্কা
শুধুই চিনে কিভাবে চালানো যায়, আপন চাকা
মানুষ পরিচয়ে, আসলে ছাড়ে বড় বুলি ফাঁকা
 সংসার আর কি দরকার, শুধু সাইনবোর্ড চাই আমার
---------------------------------
সেপ্টেম্বর ১৬ ২০১৩

Sunday, September 15, 2013

" চন্দ্রমুকুট ও বাংলাদেশ"

এই কবিতাটি লিখার প্রেরণায়-আমার একান্ত প্রিয় অণুজপ্রতীম নিরূপম দেভনাথ
( ফার্স্ট সেক্রেটারি, এম্বেসী অফ বাংলাদেশ টু ওয়াশিংটন ডি সি)

" চন্দ্রমুকুট ও বাংলাদেশ" মিজানুর ভূঁইয়া

আটটি তাঁরার একটি আকাশ
বাধলো জুটি, হাসলো আকাশ।
নাম দিলো তার এম্বেসী কাপ।
বাজলো বাদন, বাজলো বাঁশি
তাঁরারা সব উঠলো হাঁসি।
সব তাঁরারা উঠলো উত্তালতায় মেতে। 
গর্জনে তাই মাটি ও আকাশ বাতাস  
উঠলো ভীষণ জোরে কেঁপে।
ছুটলো সবাই জোরে, মাতম করে সুরে।
উঠতে হবে জ্বলে, আরো আলো করে।
আটটি তাঁরার একটি তাঁরা
"বাংলাদেশ" যার নাম।
উঠলো মেতে ভীষন তেজে ও হুঙ্কারে
জ্বলে  উঠলো ভীষন আলোয় ভরে।
ছিনে নিলো চন্দ্রমুকুট, আলোক মিলনহার।
দূর থেকে তাই দেখলো ভুবণ, আলোক জ্যেতির বাহার।
বললো হেঁসে, মহা খোসে "সাবাস বাংলাদেশ"
ক্রিকেট বিশ্বে, তাঁরকার শীর্ষে, বাংলাদেশটির নাম।
রাখতে পারে সুনাম নিজের বলিয়ান হয়ে
যেমন তেজী "রয়েল বেঙ্গল টাইগার"
-------------------------
সেপ্টেম্বর ১৫ ২০১৩

Monday, September 9, 2013

"মসনদবাজ"

"মসনদবাজ"
মিজানুর ভূঁইয়া

ভাবোকি তুমি অমৃত সুধা?
যা এক চুমুক পানেই স্বর্গীয় পরিতৃপ্তিতে
ভরে যাবে আমার মন ও প্রাণ।
অথবা তুমি কি সূর্যের স্বচ্ছ আলো? 
যে আমার জীবনে আলোর
দিশারী হয়ে আলোক প্রদীপ জ্বালাবে।
কিংবা তুমি কি পূর্ণিমার ঝকঝকে চাঁদ।
যে অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার গুছিয়ে
আমার জীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে জ্বলবে।
তেমন স্বপ্ন প্রত্যাশাতো বিগত চার দশক ধরে
তুমি আমাকে দিয়েছো বহু বার; আর ভেঙ্গেছো,
পৌছেই  তোমার অভিষ্ট গন্তব্যে স্থলে।
তুমি বলেছো তোমায় ভালোবাসলে
আকাশ থেকে পূর্ণিমার চাঁদ এনে দিবে,
আর তাঁরার মতো আকাশে ঝলঝল করে
উজ্জলতা নিয়ে জ্বলতে শিখাবে।
আমার ঘরের মাটির কেরোসিন প্রদীপটি হয়ে যাবে
বৈদ্যুতিক বাতি; আর তা করে তুলবে ঘর আলোকময়।
আমার ছোট্ট কুঠির ঘর, হয়ে যাবে অট্রালিকা।
আমার রন্টি আর মন্টি হয়ে যাবে মহা বিদ্যান।
আমার অভাবের সংসারে বৈভে সূখের নহর।
এমনিতরো হাজারো প্রতিশ্রুতির গাল-গল্প
তুমি ঘুম পাড়ানো মাসীর মত হাজার বার
শুনিয়েছো, কারণ তোমার শুধু দরকার সাঁকো পেরুবার।
মসনদী চিন্তা তোমাকে এক প্রগাড়তম আচ্ছন্নতায়
সারাক্ষণ ঘিরে রাখে, তাই শুধু মুখের দু'চারটি অলিক
বাচনতা; সেতো অতিসাধারণ, তা কোনো অপরাধে পড়েনা।
অপরাধতো গরিব, গেয়ো, মুরুক্ষ আর ছোটলোকেরা করে।
কিন্তু তুমি আর কতোকাল  আমাকে এইভাবে স্বপ্ন রাজ্যের
রাজা-রানী সাজিয়ে তোমার মসনদী খায়েশের বলি বানাবে?
আর কতোকালই-বা তুমি ঝকঝকে পোশাকের আড়ালে
তোমার নকল হৃদয়টাকে ডাকা দিয়ে রাখবে?
যেদিন বাজবে সময়ের ঘন্টা, সেদিন পাবেনা পথ, নিবে কোনটা???
-----------------------------------------
সেপ্টেম্বর ০৮ ২০১৩     

Monday, September 2, 2013

"যুদ্ধবাজ"

                       "যুদ্ধবাজ"

যুদ্ধ করে যুদ্ধবাজ, লোভী, দস্যু ও যান্থা
কেড়ে নেয় নিরীহ মানুষের প্রিয় জানটা।
দানবের মতো বাজায় উদ্ভট পাগলা ঘন্টা।
উলোট পালট করে দেয় মানুষের মনটা।
ধ্বংশ করে সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রাণটা
রেখে যায় ছাঁই ভস্ম, মল আর ভিষ্টা।

-মিজানুর ভূঁইয়া