Sunday, July 19, 2015

"ভোরের পাখি-জীবন সাথী"

"ভোরের পাখি-জীবন সাথী"
মিজানুর ভূঁইয়া


সুন্দর বনের সুন্দর হাওয়া
লেগেছে কি গায়ে ।
তাই কি এই সকাল বেলায়
হাটছো আলতামাখা পায়ে।
তোমায় আমি চিনে নিলাম
সাত সকালের ভোরে।
বাধবে কি গো আমায় তুমি
তোমার হৃদয় ডোরে।
আড় চোখে তাকাও তুমি
লাজুক লাজুক চোখ।
তাইনা দেখে করছে আমার
দুরুদুরু এই বুক।
আমি যখন তাকাই তোমায়
দেখি তোমার মুখ।
ঠিক তখনি তোমার চোখে
পড়ে গেলো আমার দুটি চোখ ।
আমি ভাবি হয়তো লাজুক তুমি
লজ্জাবতী লতার মতো ।
ভুলগুলো সব ভেঙ্গে দিয়ে
ধরলে কষে আমার হাত দুটো।
সেই থেকে যে তুমি হয়ে গেলে 
আমার নয়নতাঁরা।
আমিও যে তোমার প্রেমের মায়ায় 
হয়ে গেলাম পাগলপারা।
রোজ সকালে পাখির মতো ডাকো তুমি
কতোনা মধুর সুরে।
শুনেই আমি সেই মধুর ডাক
তোমার কাছে আসি ছুটে দৌড়ে। 
==================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
১৯ জুলাই ২০১৫
(লেখকের সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Thursday, July 16, 2015

"ঈদের চাঁদ- ঈদের খুঁশি"

"ঈদের চাঁদ- ঈদের খুঁশি"
মিজানুর ভূঁইয়া


শাওয়ালের চাঁদ উঠেছে; দেখো ঐ আকাশে
ঘরে ঘরে চলছে ঈদের আয়োজন।
একটি মাস ত্যাগের মহিমায় কেটেছে
এবার হবে নানান রকম বাহারি ভোজন।
পরবে সবাই রংবেরঙ্গের জামা কাপড়
আরো থাকবে হাল ফ্যাসানের জুতা ।
এদিক সেদিক পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে সবাই 
চুলের পরে করে নানান রকম সীতা।
ছোট বড় ধনী গরিব দুঃখী সব মুসলমান 
রেখেছে একটি মাস রমজানেরই রোজা।
সবার মনে ছিল একই ধ্যান, একই প্রার্থনা  
ভ্রান্তিগুলো মুছিয়ে দিয়ে, পুন্যের রাস্তা খোজা।
বিশ্বজুড়ে সব মানুষ, আর ধনী গরিব সবার মাঝে
ঈদের খুঁশি আনুক বয়ে সমান আনন্দ। 
ঈদর -আনন্দের এই মহান দিনে
দূর হয়ে যাক ছিল যতো  বিদ্বেষ আর দ্বন্ধ।
====================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
১৬ জুলাই ২০১৫

Tuesday, July 14, 2015

"আর কতো রক্ত, আর কতো কান্না"

সদ্য নির্যাতনে মৃত্যুবরণকৃত কিশোর বালক
রাজন এর স্মৃতির উদ্দেশেঃ-
এবং গুনে ধরা পচনশীল সমাজের প্রতি 


"আর কতো রক্ত
আর কতো কান্না"

মিজানুর ভূঁইয়া

কাঁদোঁমা একেবারে বুক ফাটিয়ে কাঁদো
কাঁদো বাবা চিৎকার করে কাঁদো।
আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে কাঁদো
পৃথিবীর সকল প্রান্তে পৌছে দাও
তোমার কান্নার মর্মবেদনা ।
জানি তবুও যে বুকের মানিক হারিয়েছো
তা আর ফিরে পাবার নয়।
তবে তোমার এই অশ্র সিক্ত
চোখের জলটুকু নদী ও সমুদ্রে গড়িয়ে
পৃথিবীর সভ্য মানুষের কাছে
এই অসভ্য ও বর্বরতার বার্তাটি পৌছে যাক।
তোমার কান্নার বিলাপ সুরগুলো
যদি কোনো ভাবে পৃথিবীর সকল
শান্তির দূতদের কানে এসে পৌছে
তবেই হয়ত; আজন্ম এই পাপক্লিষ্ট ভূমির
কিছুটা লজ্জাবোধ জাগতে পারে।
এই ভূমি জল্লাদের ভূমি, কসাইয়ের ভূমি
মানুষ হত্যার বিচার পায়না ।
হত্যারিরা কিছুদিনের মধ্যেই ছাড় পেয়ে যায় ।
যারা আইন তৈরি করে তারাই
দেশের প্রথম আইন ভঙ্গকারী ।
আর এভাবেই এই ভূমি ধীরে ধীরে
জল্লাদের  কসাইখানায় পরিনত হয় ।
আইন দেশের এবং মানুষের জন্য নয়
পুস্তকায়নের জন্য, পুস্তকে ঘুমিয়ে থাকার জন্য ।
=======================
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
১৪ জুলাই ২০১৫
 

Sunday, July 12, 2015

"সাদা পরী"


"সাদা পরী"
মিজানুর ভূঁইয়া 




দূর পাহাড়ের ঐ পাদদেশে
যেখানে সবুজ প্রান্তর গিয়েছে মিশে।
আজও এই মন ছুটে যায় বার বার
কি যেনো এক অজানা আবেশে।
ছিলেম বসে ওই পাহাড়ের চুঁড়ায়
আচমকা দৃষ্টি আমার মিশে যায়
তোমার মায়াভরা ঐ সীমানায়।
দেখেছি আমি তোমায় এক ঝঁলক
উড়ে যেতে মেলে শুভ্র দুটি ডানা।
শুভ্র বসনা তোমার সারাটি অঙ্গ
ঢাকা ছিল মসৃন সাদা পালকে।
দোপাট্রা উড়িয়ে মিষ্টি ঐ বাতাসে
নগ্ন পায়ে আনমনে চলছিলে হেঁসে হেঁসে।
হয়তো প্রকৃতির সাথে হয়েছে প্রেম ভালবাসা
তাইতো লোকালয় ছেড়ে এই প্রান্তরে ছুটে আসা।
জেগেছিল মনে কি যেনো এক সন্মোহনি মায়া
ঠিক যখনই দেখেছি তোমার অপরূপ ছায়া।
ডানা মেলে যেনো এক ধবল প্রজাপতি উড়ে যায়
আর গুন গুন সুরে কি জানি কি গায় ।
স্বপ্নে ভরা ডাগর দুটি চোখ
এদিক সেদিক কি যেনো খুজেঁ খুঁজে যায়।
সবুজে ঘেরা সেই মায়াবী ভালবাসা
শুভ্র প্রজাপতিও যেনো বেধেছিল মনে বাসা ।
আজও যখন যাই কোনো সবুজে ঘেরা
নিরব নিবৃত কোনো পাহাড়ের কাছে ।
ভাবি শুধু; এই বুঝি এলে তুমি মোর পাশে।
======================
১২ জুলাই ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Sunday, July 5, 2015

"জিয়াউদ্দিন চৌধুরী"

আমার এই বারের প্রিয় মুখ প্রিয়-মানুষ পর্বের
নির্বাচিত ব্যাক্তিত্ত্ব  মেরিল্যান্ড নিবাসী
সবার প্রিয়, জনাব জিয়াউদ্দিন চৌধুরী ।


"সোজা কথা"
প্রিয় মুখ-প্রিয় মানুষ-৯ 

"জিয়াউদ্দিন চৌধুরী"
মিজানুর ভূঁইয়া


প্রিয় মুখ প্রিয় মানুষ
জিয়াউদ্দিন চুধুরী।
বন্ধু বাৎসল মানুষ তিনি,
নাই বাহাদুরি।
কথা যদিও একটু কম বলেন
থাকে তার মুখভরা হাঁসি।
দিনভর থাকেন তিনি খুঁশি রাশি।
অবসর প্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাঙ্ক কর্মকর্তা
বাংলাদেশের সিলেটে বাড়ি।
পয়তাল্লিশ বছর পূর্বে আমেরিকাতে
দিলেন তিনি পাড়ি।
নিজ দেশী ভাষা সংস্কৃতিতে
আছে তার গভীর ভালবাসা।
বাংলা ভাষায় কথা বলে
মিঠান নিজের মনের তিশা।
সময় পেলে স্বস্ত্রীক
এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ান ।
কখনো বা বাসায় বসে
গল্প উপন্যাসের বই পড়েন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কোলাহলের মাঝে
উকি দিয়ে খুঁজে পাই; ঐ যে বসে আছেন
আমাদের প্রিয় জিয়া ভাই! 
অবসর বিনোদনে ভ্রমন করেন
বিদেশ কিংবা নিজ দেশে।
প্রবাসে থেকেও; প্রাণ দিয়ে তিনি
নিজ দেশ বাংলাদেশকে ভালবাসে। 
সিলেটি আঞ্চলিক ভাষায়
রম্য রসের গল্প ও কবিতা লিখেন।
মজার যত গল্প ও ছড়া  লিখে
তিনি পাঠকদের হাঁসান। 
কখনো কখনো লিখেন তিনি
মজার মজার জোক।
হাসতে হাসতে পাঠকের
হওয়ার উপক্রম স্ট্রোক।
এমন মজার মানুষ মেলা বড় ভার
বহু গুনে গুনি এই মানুষটি বড়ই চমৎকার ।।
======================
০৫ জুলাই ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের সর্বস্বত্ত্বাধীকার সংরক্ষিত)

"গোলাবারুদ"



"গোলাবারুদ"
মিজানুর ভূঁইয়া


বারুদ দিয়ে  হয় যুদ্ব
বারুদে হয় শ্বাস রুদ্ব। 
বারুদ নিয়ে হয় রাজনীতি
মানুষ মারার কূটনীতি ।
বারুদ দিয়ে হয় রাজ্য জয়
তাতেই বারুদিদের আনন্দ হয়।
বারুদ বিক্রি করে অর্থ হয়
তাতেই বাড়ে বারুদিদের  শক্তি লয়।
এই বারুদেই হয় মানবতার ক্ষয়
সভ্যতার ঘটে করুণ পরাজয়। 
বারুদে দেখায় ভীতি ভয়
দমন পীড়ন ধ্বংসালয়।
বারুদেই নির্ণয় করে পরাশক্তিধর
দুর্বলকে মাথা চেপে ধর।
বারুদ দিয়ে হয় দেশ শাসন
বারুদেই করে দেশ শোষণ ।
ভয় ভীতি দেখিয়ে করে
নিরীহ মানুষ নিষ্পেষণ ।
বারুদেই হয় যত সব দ্বন্দ 
সুখ শান্তি কেড়ে নিয়ে আনে সব মন্ধ।
বারুদ উড়িয়ে ফুর্তি হয়
সেই বারুদেই মারে মানুষ।
সভ্য এই দুনিয়ার তেলেসমতি
কি অদ্ভুত এক ফানুস ।
এই ধরা থেকে বিদায় নিয়েছে শান্তির দূত
সবাই মজুত করছে বলে গোলাবারুদ।
==================
০৫ জুলাই ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্বাধীকার সংরক্ষিত)

Friday, July 3, 2015

"জীবন চক্র"


 "জীবন চক্র"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
এই আমারই জীবন
শোনেনা আমারই কথা ।
জীবনকে বলি
ঠিক এখানেই থেমে থাকো।
এখানেই রেখে দাও
আছিতো বেশ ভালো।
এর চেয়ে বেশি পরিণত করোনা আমায়।
জীবনকে আরো বলি
নাহয় নিয়ে যাও কৈশোর
কিংবা  নিয়ে যাও যৌবনের
সেই টগবগে তারুন্যতায়।
যে বয়সে
চোখ দু'টো ছিল সোনালী স্বপ্নে আঁকা।
প্রতিদিন হৃদয় বাগানে
ফুঁটতো নানা রঙের অজস্র ফুলকলী। 
বৃক্ষের মতো সারা দেহে
গজিয়ে উঠতো সবুজ কঁচি পাতারা।
বাতাসের দোলায় দুলতো আনন্দ হিল্লোলে। 
প্রতিটি লোমকূপের কোষে কোষে
জেগে উঠতো অপূর্ব শিহরণ ।
মনের ভেতর
বেজে উঠতো কত কি মধুর সুর।
কৈ জীবনতো আমার কথা শুনছেনা!
প্রতিদিনই একটু একটু করে
নিয়ে যাচ্ছে নিয়তির অন্ধকার গহ্বরে ।
প্রতিদিনই তিলে তিলে
কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে আমার শক্তি মত্তা যৌবন। 
কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে 
উচ্ছাস আবেগ আনন্দ আর রঙিন স্বপ্নগুলো।
মলিন করে দিয়ে যাচ্ছে
হাত পা নাক মুখ ঠোট চোখ চুল ত্বক, সমগ্র দেহ
এমন কি;
মুখের হাসিটুকুও মলিনতার পরাগ্রাসে নিমজ্জিত।  
কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে
হৃদপিন্ডে বয়ে যাওয়া নির্মল বায়ূটুকুও। 
আর আমাকে ধীরে ধীরে
ঠেলে দিচ্ছে বিষময়  অন্ধকার গলির দিকে।
যেখানে নেই সুর্যের স্বচ্ছ আলো
নেই কোনো নির্মল বাতাস।
সেখানে আছে শুধু
আশার বাতিহীন জীবন, রোগ শোক জরাজীর্ণতা
বার্ধক্যতা আর অন্ধকারে মিলিয়ে যাওয়া ।
এরই নাম কি জীবন চক্র?
এই সরল রৈখিক জীবন, একদিন হয়ে যায় বক্র
=========================
জুলাই ০৩ ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
( লেখকের সর্বস্বত্তাধিকার সংরক্ষিত )