Sunday, June 29, 2014

" ওয়াহেদ হোছাইনী"

" সোজা কথা"প্রিয় মুখ- প্রিয় মানুষ-৭

এইবারের প্রিয় ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর ওয়াশিংটন এলাকার সুখ দুঃখের একান্ত সাথী
দীর্ঘকাল ধরে মানব সেবায় নিয়োজিত বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আমদের
সবার প্রিয় বন্ধু, ভাই ও চাচা- ওয়াহেদ হোছাইনী।

" ওয়াহেদ হোছাইনী"

মিজানুর ভূঁইয়া:-


মানুষের বন্ধু, সমাজের সাথী
নাম তার ওয়াহেদ হোছাইনী।
সহি কাজ করেন তিনি,
করেননা কোনো কিছু বেআইনি ।
বহু বছর ধরে আছেন তিনি এই প্রবাসে
বিপদে-আপদে দৌড়ে আসেন মানুষের পাশে।
মানুষকে ভালবাসেন অন্তর দিয়ে
সোজাসিদা চলে যান সংকট, জন্মদিন কিংবা বিয়ে ।
কেউ ডাকে চাচা আর কেউ ডাকে ভাই
মানুষের মনের কোণে তিনি করে নিলেন ঠাঁই।
অতি প্রিয় মানুষটি সদা থাকেন হাঁসি খুশি
মানুষকে দান করেন, মনে নিয়ে একরাশ খুশি।
নাই তার কাছে ধর্ম, বর্ণ কিংবা গোত্র ভেদাবেদ
কেউ যদি মারা যায়, ছুটে যান করিতে তার সৎকার।
এমন বন্ধু আজকাল মেলা বড় ভার
তিনিই আসল বন্ধু সমাজের, প্রিয়জন সবার।
=========================
রচনা: ২৯ জুন ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Saturday, June 28, 2014

"ইবাদতে আত্মশুদ্ধি- কর্মে হয় মুক্তি"

"ইবাদতে আত্মশুদ্ধি- কর্মে হয় মুক্তি"

মিজানূর ভূঁইয়া

তুমি নামাজ পড়, রোজা রাখো
এসব হলো ইবাদতের কাম।
মনের কালিমা সব দূর করে
হও আসল মুসলমান।
ইবাদতে মিলবে আত্মশুদ্ধি,
বেহেস্ত মিলবে তোমার কর্মে।
বিনা আমলে স্বর্গ চাইবে,
নাই তাহা কোনো ধর্মে।
ইবাদত রাখে তোমায় বিরত
পাপ ও অন্যায় থেকে।
মনের ভিতর ফন্ধি রেখে 
সৃষ্টিকর্তার দেখা মিলবে কিসে।
সৃষ্টিকর্তা অন্তর্জামী অন্তরে আছেন মিশে
নিতান্তই সত্য কথা, নয় তাহা মিছে।  
আর্ত-মানবতায় না করিলে সেবা
তোমার স্বর্গের আশা হয়ে যাবে মিছে।
দিল খুলে যদি করিতে না পারো
মানুষকে দান।
তোমার সকল স্বর্গ প্রত্যাশা
হয়ে যাবে বলিদান। 
মনে তোমার রেখে হাজার গিবত
কোনো কাজে আসবেনা করে ইবাদত।
অর্থ-বিত্ত কামিয়ে যদি জমিয়ে রাখো
সিন্দুকেতে ঢেকে।
ছদগা ফেতরা না দিয়ে চাও
বেহেস্ত কিনে নিতে।
সকল ইবাদত বিফলে যাবে
যক্ষের ধন বক্ষে রেখেও
মিলবেনা কোনো পরিত্রান। 

====================
রচনা: ২৮ জুন ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্তাধিকার সংরক্ষিত)

Friday, June 27, 2014

"অসম-মেরুকরণ"

"অসম-মেরুকরণ"

মিজানুর ভূঁইয়া 

আজকাল আকাশের কোমল নীলিমায়
তোমার আর চোখ পড়েনা।
তোমার চোখের দৃষ্টি শুধুই কেড়ে নেয়
চোখ ধাঁধাঁনো রুক্ষ লালিমায়।
সবুজে শান্তির আহ্বান তোমার হৃদয়কে
কখনোই নাড়া দেয়নি।
সবুজের প্রতি আমার প্রগাড়তম ভালোলাগা
তোমার তিরস্কার পেয়েছে শুধু।
আমার অন্তরে পোষণ করা শান্তির পায়রাকে
কখনোই করোনি অন্নেষণ।
জীবনে শুধুই খুজেছো বৈপরীত্য সারাক্ষণ
খোজনি ভালবাসায় ভরা এই মন।
দেখেছো বিশাল প্রান্তর ঘেরা সবুজের সমারহ
দেখোনি সবুজে বিদ্যমান প্রশান্তির আভা।
দেখেছো আকাশের তুমুল বজ্র-গর্জন রূপ
দেখোনি তার বুকে বয়ে যাওয়া স্থরিভূত নীলিমা। 
তুমি দেখেছো ধুসর দুর্গম তপ্ত বালুকাময় পথ
দেখোনি ছায়ায় ঢাকা মেঠো পথ।
সমুদ্রের বুকে ফুঁফিয়ে উঠা উর্মিমালাকেই দেখেছো
দেখোনি তার শান্ত ও স্থির মায়াময়তা।   
পাহাড়ের বিস্তৃন্য ও বিচ্ছিন্ন অসমত ভুমিকেই দেখেছো
চোখে পড়েনি তার মনমুগ্ধ প্রাকৃতিক অপরুতা।
অসম প্রতিযোগিতায় সদাই মেতেছিলো তোমার মন
আর তাই চাওনি কখনো বুঝে নিতে অন্তরে জেগে থাকা
অফুরন্ত ভালবাসা সম্ভার, খুঁজে পাওনি কোনো মিল  
আজ অসমমেরুকরণই যেনো তোমার কাঙ্খিত বাস্তবতা।
=============================
রচনা: ২৭ জুন ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Tuesday, June 24, 2014

"যে স্বপ্ন শুধুই স্বপ্ন"

"যে স্বপ্ন শুধুই স্বপ্ন"
 মিজানুর ভূঁইয়া 

চিনিতে চাহিয়াছি তোমায়
অতিবিনীত আবেদনে।
দিয়েছি তোমার সামনে খুলে
আলোক দুয়ার।
অবগাহন করিব বলে সুখাবেশ দু'জনে
উন্মুক্ত চিত্ত ভরে।
হৃদয় দুয়ার খুলেছি সব কুসংস্কার ভুলে
নিয়েছি তাই বুকে তুলে।
অন্ধকার জিনে এনেছি তোমায় আলোক পানে
জ্বালাবো বলে হৃদয়ে আলোক প্রদীপ।
চন্দ্র ও সূর্য্য দুই আলোক জগতের দিকপাল হয়ে
পালাক্রমে দূর করিব সব অন্ধকার।
আলোকে আলোকে হয়ে যাবে জীবনতরী পার
আসিবেনা আর কোনো আধার।
জীবনের সাজিয়ে নেয়া সব সুর ও ছন্ধে
কেনো অকারণে জড়ায় দন্ধে।
ছিলোনা কখনো মনের কলুসতা কিংবা লালসতা
ছিলো উচ্ছসিত মুক্ত উদার প্রাণ।
কোনো দ্বীধা কিংবা সঙ্কায় করেনী রুদ্ধ এই মন  
এক ভাবনায় সমর্পণ করেছি জীবন।
আজ এ কোন ভাবনায় তোমার মন এতো উচাটন
আপন ভাবনায়; আপন জগতেই শুধু করো বিচরণ।
অতীতের সকল লেনাদেনা দিয়ে নির্বাসন
আপন মত্তে তুমি রহো মগ্ন এখন।
===============================
রচনা: ২৪ জুন ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Sunday, June 22, 2014

"মনের আকাশের জ্যেষ্ঠ তাঁরকা"

আমাদের কন্যা সাগুপ্তা আফরিন ভূঁইয়া "উর্নিষা" এই বছর উচ্চমাধ্যমিক শ্রেনীর পাঠ্যক্রম সমাপনী উপলক্ষে তাকে নিয়ে আমার কিছু স্মৃতি ও আবেগ নিয়ে এই লেখাটিঃ-

"মনের আকাশের জ্যেষ্ঠ তাঁরকা"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
আজ আমার মনের ভিতর কি যেনো এক
অদ্ভুত সুখানাভুতি আমাকে বার বার শিহরিত করছে!
জীবনের মহান প্রাপ্তিলগ্নে একটি মানুষের মনের কুঠরে
আনন্দের যে স্ফুলিঙ্গ ধারা ক্রমাগত প্রবাহিত হতে থাকে,
ঠিক তেমনি একটা কিছু আজ আমার মনের আকাশ
ছুঁই ছুঁই করছে। আজ আমার মন গগনে সহস্র তাঁরকা
রাশির মাঝে ভর-পূর্নিমার উজ্জল চাঁদের উপস্থিতি টের পাচ্ছি।
জীবনের হাজার অন্ধকার রজনী অতিক্রম করা একটি
টলটলে সম্ভাবনাময় সোনালী সূর্য্য এক বিশাল প্রতিশ্রুতি নিয়ে
আমার হৃদয়ের এক প্রান্তে প্রজ্জলমান হয়ে উদিত হয়েছে।
তেমনিতর অপূর্ব সব সুখস্ফুলিঙ্গ হৃদয় অলিন্দের চারপাশে
আলিঙ্গন করছে, যা আমি গভীরভাবে অনুভব করছি।
আজ আমার সত্যই মনে হচ্ছে আমার একহাতের মুঠোয় চাঁদ,
অন্য হাতের মুঠোয় সূর্য্য আর বুকের ভিতর এক বিশাল আকাশ।
আজ থেকে ঠিক আঠার বছর আগে যেদিন আমি প্রথম দেখলাম 
একটি চাঁদ এসেছে আমার ঘরে, আমার এবং আমাদেরই হয়ে
সেদিনও আমার মনে একই রকম আনন্দ শিহরণ স্পর্শ করেছিল,
এক অপূর্ব আলোকবর্তিকায়, সে আমার দেহের ভিতরের এক
মহাআবিস্কার, আমার ঐরশ থেকে জন্ম নেয়া এক মানবী,
আমার এবং আমাদের প্রিয়তম কন্ন্যা; উর্নিষা।
উর্নিষা নামটি রাখার পিছনে দুটি তাৎপর্য ছিল, প্রতমতঃ
একই সময়ে একই হসপিটালে জন্ম নিয়েছিল আমার মেঝো
ভাইয়ের কন্যা উষা; উষার বড় বোনের নাম ছিল উর্মি।
আর যেহেতু সবক'টি নামই গ্রহ নক্ষত্র ও প্রকৃতি বিষয়ক;
তাই আমাদের কন্যার নামটিও হয়ে গেল উর্নিষা।
এটি একটি নক্ষত্রমন্ডলের অতিউজ্জলতর তাঁরকার নাম।
আজ আমি সত্যই ধন্য; সেই তাঁরকাটি জ্বলে উঠেছে
আপন আলোকবর্তিকায়; আপন মহিমায়, আমাদের স্বপ্ন আকাশে।    
আর শাগুপ্তা আফরিন নামটি; সে আমার ভাললাগা একটি নাম।
এসব কিছুর পরও; ওর আরেকটি নাম আছে যা বাইরের
জগতের কেউই জানেনা; সেটা হলো তার প্রতি আমার হৃদয়
নিসৃত অতিআবেগ ও ভালবাসা বহিঃপ্রকাশের শাব্দিক প্রকাশ।  
আর সেই কারণেই তার তৃতীয় নামটি হয়েছিল "বাবন" 
আমাদের সেই ছোট্র পুতুলরুপি বাবন আজ অনেক বড় হয়েছে।       
আজ তুই অস্টাদশী; দ্বাদশ শ্রেনীর পাঠ শেষ করে পা রাখছিস
বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়, বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ শেষে কর্মজীবন,
এর পর; ধাপে ধাপে জীবনচক্রের সবকটি শিড়ি অতিক্রম করা। 
আজ এই মহালগ্নে আবেগমাখা স্মৃতিগুলো আমাকে টেনে নিয়ে যায়
সেই দূর অতীতে; যেদিন হসপিটালের লেবার রুম থেকে হঠাৎ
মানব শিশুর ক্রন্দনরত   চিৎকার থেমে থেমে আমার কানে
ভেসে আসছিল; আমি তখনো বুঝে উঠতে পারছিলামনা;
আদৌ কি হতে যাচ্ছে! খানিক পরেই দেখলাম আমার বড় বোন,
তোর বড় ফুফি স্বহাস্যে আমার সামনে এসে দাড়ালো।
আর বললো; তুই একটি কন্যার বাবা হয়েছিসরে ভাই;
তোর ফুটফুটে চাঁদের মতো একটি মেয়ে হয়েছে,
সে দেখতে একদম অবিকল আমাদের মায়ের মত চেহারা।   
এক্ষুনি গিয়ে মধু নিয়ে আয়; নতুন অতিথির মুখে মধু দিয়ে
বরণ করতে হয়; আমি তখন আনন্দে হাসবো না কাঁধবো
ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলামনা! একেবারে হতবিহবল হয়ে
এদিক সেদিক ছুটাছুটি করছিলাম ; ছুটে চললাম মধু সংগ্রহে।
তাড়াহুড়ো করে রিক্সায় চড়ে বসলাম, শান্তিনগর চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে।
দোকানিকে জিজ্ঞেস করতেই বললো; স্যার, দেশী মধু ১২০ টাকা
আর অস্ট্রেলিয়ান মধুর দাম হবে ২৬৫ টাকা; বিদেশিটা খুব ভাল।
দামে তখন কি আসে যায় আমার; দামী মধুই কিনে নিলাম। 
জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান মানুষটি যখন আমার ঘরে; এর চেয়ে
আর কিই-বা এতো বেশি মূল্যবান হতে পারে আমার জীবনে!   
আবার চড়ে বসলাম রিক্সায়; যেন আর তর সইছিলনা আমার
কখন গিয়ে পৌছাবো, রিক্সাওয়ালাকে তাগিদ দিচ্ছিলাম; জলদি চালাও।
রিক্সাওয়ালার উত্তর; আর কতো জোরে চালামু ; স্যার।     
অস্ট্রেলিয়ান মধু মুখে দিয়ে সেই তোকে বরণ করেছিলাম; বাবন 
জীবনের সেই স্মৃতিটুকু আজও আমাকে বার বার আপ্লুত করে।
প্রথম সন্তানের পিতা হওয়ার যে হৃদয় ভরা আত্মতৃপ্তি ও গৌরব 
সেই অহংকার আজও আমার মনকে প্রচন্ডভাবে পুলকিত করে।  
যেদিন আমরা প্রথম আমেরিকা আসার ভিসা পেলাম, আমার মনটি
আর দশজনের মতো খুশিতে নেচে উঠেনী; বরং খুবই ভারাক্রান্ত ছিল।  
কারণ: নিজ দেশ ত্যাগ করা আমার কোনো কালেরই ব্রত ছিলনা।
তিন মাস ধরে নিজের মনের সাথে আমি অসংখ্য বার যুদ্ধ করেছি
অবশেষে নিজের অজান্তেই হেরে গেলাম; হলাম দেশত্যাগী।
এই ভেবেই যে; একদিন যখন এই ছোট্র শিশুটি জানতে পারবে 
স্বপ্ন রাজ্যে যাওয়ার সেই সুযোগটি আমি প্রত্যাখ্যান করেছি; এবং
যার ফলশ্রুতিতে শিশুটিও একইভাবে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে   
সেই অপরাধবোধ থেকে নিজের সাথে আমি আত্মসমর্পণ করেছি।
আমি স্ত্রী আর বাবন; আমরা তিনজনে মিলে শুরু হলো প্রবাস জীবন।
যেদিন প্রথম ফ্লোরিডায় মিয়ামী বিমান বন্ধরে এসে পৌছলাম;
এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে বন্ধু ফারুককে যখন দেখতে পেলামনা।
আমার সমস্ত ঠোট, মুখ এবং গলা অবদি শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেলো।
হঠাৎ ক্ষানিক পরে এক ঝলক আলোর মত স্কুল বন্ধু অমর ফারুক
আমাদের সামনে এসে দাড়ালো; বিদেশের এটিই প্রথম অভিজ্ঞতা।
মায়ামীতে দুই সপ্তাহ থাকার পর চলে এলাম ওয়াশিংট এলাকাতে।
শুরু হলো নতুন আরেক জীবন যুদ্ধ; নিজের স্কুল, চাকরী আর
মেয়েকে দিনের বেলা দেখাশুনা করা, একেবারে জীবনের কঠিন রূপ।  
সংসার চালানোর জন্য আমাদের দুজনকেই কাজ করতে হতো
তাই পালাক্রমে দুজনেই এক বেলা কাজ করা, অন্য বেলা মেয়েকে
দেখাশুনা করা, এভাবেই দিনে দিনে বড় হয়েছে আমাদের বাবন।                 
আমাদের বাবন আজ নিজ ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিয্যকে ধারণ করে
সত্যিই আমাদের নিজ মনে লালিত আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে।   
আমার মনের ভিতর পোষা সাদা পায়রাগুলো দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর 
আজ অনেক হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠেছে; এখন শুধু নিজ ডানায় ভর করে
মুক্ত আকাশে উড়ে বেড়াবার প্রতীক্ষায়। নিজেকে আবিস্কার করার
সোনালী সোপানের মাহেন্দ্র ক্ষণে উপনীত; স্বপ্নের সেই সূর্য্যটি এখন
অতি সন্নিকটে; শুধু দু'হাত বাড়িয়ে তাকে স্পর্শ করা মাত্র।     
পায়রাগুলো এবার একটি একটি করে খোলা আকাশে উড়ে বেড়াবে
শান্তির অমোখ বার্তা নিয়ে; মুক্ত বিহঙ্গের মতো সারা দুনিয়াময়।
শান্তির প্রতীক হয়ে ছড়াবে মানব হৃদয়ে চির প্রশান্তির অম্লান ধারা
জ্বলে উঠবে চির উজ্জল হয়ে আমার মনের আকাশের জ্যেষ্ঠ তাঁরকা।
ছড়াবে আলো ভুবনময়, আপন মহিমায় ঘুছাবে সকল অন্ধকার
ভালবাসার অমিয় ধারায় অভিষিক্ত করিবে জগৎ সংসারময়।
শান্তির বর্ষণে ধুয়ে মুছে নিবে; আছে যত পাপ ও অন্যায়
এভাবেই জ্যেষ্ঠ তাঁরকা জাগিয়া রহিবে আমার সারা অন্তরময়।
===============================================  
রচনা:- ২৯ মে থেকে ১৮ই জুন
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Friday, June 13, 2014

" তৃষিত প্রেম"

" তৃষিত প্রেম"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
ওহে পাখা; কি বলিতে চাহ তুমি পাখিরে? 
এমন নিরব সাঝে, কি আছে মন মাঝে
আপন আঙ্গিনায় এনেছো ডেকে পাখিরে l
বসে গাছের ঐ মগডালে, আপন ভালে
করিছো আলাপন সুরে ও তালে তালে l
হৃদয় উজাড় করে বলছো সে কথা তারে 
যে কথা তোমার হয়নি বলা কোনো কালে l
আজ এই মহালগনে পেয়েছো যাকে সঙ্গোপনে
বাধিতে চাও তাহারে হৃদয়ের বাধনে l
পেয়েছো যাকে বহু সাধনে, আপন কাননে
ভালোবাসায় করিবে সিক্ত তাকে চিরজনমে l
==============================
 রচনা: ১৪ জুন ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, June 3, 2014

"সাঁখের করাত"

"সাঁখের করাত"

মিজানুর ভূঁইয়া

আপন দেশ ছেড়ে আমরা করেছি বিদেশে বাড়ি
দিনরাত হাপাচ্ছি আর পাকাচ্ছি চুল আর দাঁড়ি।
সাত সমুদ্র-তের নদী দিলাম আমরা পাড়ি
সময়ের পাগলা ঘোড়ায় এখন দৌড়াচ্ছি তাড়াতাড়ি।
এরই ফাঁকে কতো আপনজন যাচ্ছে আমাদের ছাড়ি
তবুও আমরা নেশায় মত্ত; উড়াতে রঙ্গীন ঘুড়ি।
পাগলা ঘোড়ার লাগাম ধরে মারছি শুধু তুড়ি
স্বার্থের মোহে অন্ধ হয়ে নিজের দেশকে দিলাম আড়ি।
আপন স্বার্থে মত্ত আমরা, খুঁজি শুধু কানাকড়ি
একটুও হয়নি দ্বিধা; ছেড়ে আসতে নিজ পৈতৃক বাড়ি।
আপন দেশর মাটি ছেড়ে আমরা হলাম পরদেশী
আমার ছেলে আমায় জিজ্ঞাসে আমরা কোন দেশী?
==================================
রচনা: ০৩ জুন ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত।