Monday, July 29, 2013

"কবিতার নির্বাসন"

"কবিতার নির্বাসন"
মিজানুর ভূঁইয়ান:-
মাঝে মাঝে মনে হয় কবিতাকে
ছুটি দিয়ে দেই, চলে যাক দীর্ঘ অবকাশে।
আবার যখন প্রেম, ভালবাসা ও জীবনবোধের
পূণআবির্ভাব ঘটবে, তখনই নাহয় ফিরে আসবে।
অথবা একেবারে  নির্বাসনেই পাঠিয়ে দেই,
চলে যাক; সেখানেই থাকুক আমৃত্যু।
কারণ, আজকাল কবিতা প্রেমিকদের বড়ই আকাল।
কবিতা যেনো এক বিষমাখা খাদ্য  পেলায়া,
যা ভক্ষণে, যে কারোরই জীবন অবসান ঘটতে পারে।
কবিতা যেনো এক হৃদয় বিদারক মর্ম জ্বালা,
যা দেখলেই, নয়নে হয়ে উঠে ঝালাফালা।
কবিতাকে দেখলে হয়তো মনে হয় অভিশপ্ত প্রান্তর,
রাগে ক্ষোপে ছিড়তে হয় মাথার এক গোছা চুল।
কবিতা আজ প্রেমহীন, আকর্ষনহীন একটি জড় বস্তু। 
একটি নিষিদ্ধ নগরী; যেখানে প্রবেশ এক ভীষণ অপরাধ।  
কিন্তু কবিতার হয়ত মানবীয় প্রাণ নেই, 
তবে এর একটি বাহ্যিক দৈহিক আকৃতি আছে
এর মাথা, হাত, পা, নাক মুখ সবই আছে,
শুধু নেই প্রাণ, নেই নড়াচড়া ও বাচনতা। 
আছে সুনিদৃষ্ট বক্তব্য, আবেগ, ভালবাসা, জীবনের কথা, 
আছে ছন্ধ, আছে সুর, আছে তাল, বলে মানবতার কথা।
কবিতা বলে সমাজ ও সভ্যতার কথা, ভাতৃত্বের কথা,
সংস্কৃতি ও নিজ অস্তিত্বের কথা, বলে মিলন ও উৎসবের কথা। 
তবে যন্ত্রীয় মোহ যেখানে আজ মানবীয় মনোনিবেশের প্রধান আকর্ষণ,
যখন আবেগ ভালবাসা ও জীবন বোধের নিতান্ত আকাল
সেই লগ্নে কবিতার আজ অপমৃত্যু বা নির্বাসন অনিবার্য।
কবিতা তুমি ফিরে এসো পূনজন্মে এবং মহাপ্রাণে, 
আবার যখন ভালবাসা, আবেগ, জীবনবোধ ও সত্যতা 
আমাদের জীবনে ফিরে আসবে, তখন গেয়ো মুক্তির গান। 
------------------------------------------------------------
জুলাই ২৯ ২০১৩
বিকেল ৩টা  ৩০ মি:

No comments:

Post a Comment