Tuesday, September 29, 2015

"কবিতার জয় অনিবার্য"

"কবিতার জয় অনিবার্য"
মিজানুর ভূঁইয়া


 আমার আজ আর কোনো প্রকার দ্বীধা
 সংকোচ কিংবা ভয় নেই।
 আমি আকাশের দিকে শীনা উচু করে
 বলতে পারি; আমি কবিতা ভালবাসি।
 কবিতাকে আমার অন্তর গহবরে
 আমার শরীরের প্রতিটি রক্ত কনিকায় পোষণ করি।
 কবিতা আমার প্রতিটি শিরায় উপশিরায়
 প্রবহমান চেতনার এক অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ।
 কবিতা আমার মনের আয়নায়
 ভেসে উঠা একটি দেশ ও প্রেমিকার মুখচ্ছবি।
 দু'টোকেই আমি সমান মর্যাদায় ভালবাসি।
 কারণ; কবিতাকে ভালবেসে
 আমি সত্যিকার ভালবাসা কি তা জেনেছি।
 কবিতা আমার ভিতরের অমানুষটিকে
 সত্যিকার মানুষ বানিয়েছে।
 আর তাই, যে কবিতাকে ভালবাসে
 সে আমার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় ভুষিত হবে।
 সে আমার হৃদয় ক্যান্ভাসে
 মোনালিসা কিংবা ক্লীয়পেট্রা হয়ে থাকবে।
 সে আমার পিতা মাতা ভ্রাতা ভগ্নী
 আত্নার পরম আত্নীয় হয়ে থাকবে।
 সে আমার পূজার অর্গ হয়ে যাবে
 স্থান করে নিবে এই মনসিংহাসনে।
 কবিতাকে ভালবেসে অন্তত এতোটুকু জেনেছি
 কবিতা মানুষের অন্ত-আত্নাকে
 ধুঁইয়ে মুছে একেবারে পরিশুদ্ব করে দেয়।
 যে কবিতাকে ভালবাসে
 সে কখনই অমানুষ হতে পারেনা।
 কবিতা অন্যায় এবং পাপকে ঘৃনা করা শিখায়
 সত্যের প্রতি ব্রতী করে তোলে সুদৃঢ়ভাবে।
 যে কবিতাকে ভালবাসে
 সে কখনো হিংস্র পশুর মতো হতে পারেনা।
 যে কবিতাকে  ভালবাসে
 সে মানুষকে আঘাত করা কিংবা হত্যা করতে পারেনা।
যে কবিতাকে  ভালোবসে
 মনে তার কোনো হীনতা থাকতে পারেনা।
 কবিতা বিবেকের বুতাম খুলে দিয়ে
 বিবেককে জাগ্রত করে শান্তির পথে।
 কবিতা হিমালয়ের মত বিশাল উচু স্থম্ভ
 সাগরের মতো সীমাহীন বিস্তৃত,  মুক্ত বায়ুর মতো
 কোমল,  স্নিগ্দ্ব ও পরিশীল করে তোলে মননশীলতা। 
 তাই কবিতার জয় অনিবার্য
 কবিতা চির বিজয়ী, চির সত্য, চির মঙ্গলময়।
 যেদিন কবিতাকে সবাই ভালবাসবে
 সেদিনই পৃতিবীতে সকল মানব আত্নায়
 চিরস্থায়ী শান্তির বর্ষণ বয়ে যাবে।।
===========================
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
( লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Sunday, September 27, 2015

"ফেরারী পাখিরা"

"ফেরারী পাখিরা"
মিজানুর ভূঁইয়া


গাছেরা পাখিকে বলে;
উড়ে উড়ে ক্লান্ত যখন বসো আমার ডালে।
ক্লান্তি যখন কাটিয়ে উঠে
তুমি আবার যাও আমায় ছেড়ে।
সময় যখন হয় তোমার
তুমি নীড় বাঁধো আমার ডালে।
নীড়ের কর্ম সাঙ্গ হলে 
তুমি যাওনাতো আমায় কিছু বলে।
তোমার যাওয়া আসার নিয়মনীতি
বুঝা বড়ই ভার!
মনটি তোমার বড়ই নিঠুর
বুঝে নিলাম এবার।
চঞ্চল তোমার মনের গতি
হয়না স্থির, বুঝেনা কোনো রীতি। 
তাই বুঝি তোমার সাথে
হয়না আমার চিরস্থায়ী প্রীতি।
ক্ষণস্থায়ী মায়ার জালে
তুমি বাঁধো আমায় বার বার।
ফুড়ৎ করে উড়ে যাও
আমার পানে ফিরে তাকাওনা একবার ।
মলমূত্র যতো আছে ঢালো আমার গায়ে 
চোখ বুজে উড়ে যাও, দেখোনা একবার চেয়ে।
ঝড় ঝন্ঝায় আকাশেতে হয়না যখন উড়া
তখন আবার আমার কাছে হয় তোমার ফেরা ।
দুর্যোগেতে কোথাও যখন আশ্রয় মিলে নাই
তখন এসে আমার কাছে খোঁজো একটু ঠাঁই।
=====================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Sunday, September 20, 2015

"বকুলিকা"


 "বকুলিকা"
মিজানুর ভূঁইয়া

তুমি বকুল তলায় শুইয়ে ছিলে
ঝরা বকুলের সাথে।
তোমার গলায় পরিয়ে দিলাম
বকুলের মালা গেঁথে।
বকুল তলায় বকুল ফুলের মেলা
সৌরভে মন হতো যে উজালা।
আমরা দু'জন একসাথে
বকুল তলে করেছি কতো খেলা ।
সুখের পরশ হৃদয় জুড়ে দিতো ভীষন নাড়া। 
রোজ সকালে আসতাম ছুটে
বকুল কুড়ানোর ছলে ।
জনাতো কি কেউ; সেই গোপন কথা,
তোমার সাথে মিলবো বকুল তলে।
ফুলগুলো সব কুড়িয়ে নিয়ে
গুঁজে দিতাম তোমার আঁচলে ।
এদিক সেদিক দেখতাম শুধু
আবার কেউ যদি তা দেখে ফেলে।
বকুল ফুলের মালায় যখন ভালবাসা হতো
সেই জীবনের ভালবাসা হৃদয় ছুয়ে যেতো।
বকুল মালায় আকুল হতো ভালবাসায় প্রাণ ।
এই যুগে হীরার মালাও পারেনি নিতে সেই স্থান।
====================
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Thursday, September 17, 2015

"চাঁদের হাঁসির বাঁধ ভেঙ্গেছে"

"চাঁদের হাঁসির বাঁধ ভেঙ্গেছে"
মিজানুর ভূঁইয়া



আমি চাঁদকে যেমন পারিনা ভুলিতে
তেমনি তোমাকেও তাই ।
তোমার সাথে আমার দেখা হয়েছিল
চাঁদনী রাতে; যখন ফুল তুলিতে যাই ।
দু'টি চাঁদের শুভ্র কিরণ পড়লো এসে চোখে
একটি চাঁদ দুলছে একা ঐ আকাশে।
আরেকটি চাঁদ ঠিক দাড়িয়ে আমার পাশে।
আকাশ আর পাতাল চাঁদের উজ্জল আলো
মুহুর্তেই আমার দু'টি নয়ন তাঁরায় মিশে গেলো।
আলোর বন্যায় কৌতহলি এই মন
ভেসে গেলো আলোকভরা প্লাবনে
চাঁদের আলোয় খুঁজে পেলাম তোমায়
আমার জীবনে; সেইযে মধুর লগনে।
সেদিন থেকে চাঁদের আলো সঙ্গী হলো জীবনে ।
======================
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Friday, September 11, 2015

"মিলে যদি তোমার সাথে দেখা"

প্রেমের কবিতাঃ-

"মিলে যদি তোমার সাথে দেখা"
মিজানুর ভূঁইয়া



 একপলকে চিনে নিলাম তোমায়
 এসেছিলে যখন তুমি আমার ঘরের দাওয়ায় ।
 অভিমান হলো কিনা তোমার দিকে চাওয়ায়
 হঠাৎ করে তুমি মিশে গেলে হাওয়ায়।
 এমন করে এলে কেনো চলে যাবে যদি
 মুছে নিলেনা কেনো; ফেলে যাওয়া স্মৃতি।
 তোমায় দেখার আছে কি আর; অন্য কোনো গতি
 মনে আজও জাগে আমার তোমার জন্য প্রীতি।
 কোন গগনে মিশে আছো তাঁরার আলো হয়ে
 আকাশ থেকে তোমায় এবার নিবো আমি চেয়ে।
 আবার যখন তোমার সাথে মিলবে আমার দেখা
 জ্বালিয়ে নিবো এবার আমি হৃদয় প্রদ্বীপ শীখা।
 মনমন্দিরে বসে দু'জন করবো আলোক পূজা
 মনের যতো ভ্রান্তি আছে হয়ে যাবে মোছা।
জীবন শুধু একজনমের; নয় সঙ্কা, নয় কোনো দ্বীধা
লক্ষ্য শুধু একটাই জীবন বাজী জেতা ।।
===================
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Thursday, September 10, 2015

কেনো তারে যায়না দেখা

 প্রেমের গান-১২


 কেনো তারে যায়না দেখা
 জীবনে দেখেছি যারে একবার।।
আজও নয়নে আসে তারই ছবি বার বার।

কেনো তারে যায়না দেখা
জীবনে দেখেছি যারে একবার।

 দেখেছিলাম তাকে জীবনে কোনো এক শুভক্ষণে 
 সে শুধুই ভাসেনা নয়নে, হৃদয়ে বসে হাসে
 তারে কি দিয়ে শুধাবো; ভাবি সে যেনো বসে আছে পাশে।

 কেনো তারে যায়না দেখা
 জীবনে দেখেছি যারে একবার।

 আমি আঁখিতে তার দেখেছি এক  ঝলক আলো
 যেনো একনজরেই হৃদয় কেড়ে নিলো
 সে কি আবার আসিবে ফিরে
 আমার এই তৃষিত আখির ধারে।

কেনো তারে যায়না দেখা
জীবনে দেখেছি যারে একবার।

 নাহয় সে আসিবেনা আমার ঘরে
পাবোকি তারে আরেকটিবারের তরে
শুধু জুড়াবো এই দুনয়ন চেয়ে তারে ।

কেনো তারে যায়না দেখা
জীবনে দেখেছি যারে একবার।
----------------------------------
১০ সেপ্টেম্বর ১০১৫  
মিজানুর ভূঁইয়া

Saturday, September 5, 2015

"চোখের আলোয় লাগলে ভালো"

"চোঁখের আলোয় লাগলে ভালো"
--------মিজানুর ভূঁইয়া



চোঁখের আলো যখন
অন্য চোঁখের আলোকে খুঁজে পায়,
তখন চোঁখে চোঁখে
অনেক কথা হয়ে যায়।
চোঁখের ভাষা তখন
মনের ভাষা হয়ে ধরা দেয়।
হৃদয়ে শুরু হয়ে যায় অনর্গল বর্ষণ,
চোঁখই তখন বলে দেয় ইশারায়
হৃদয়ে কি কথা জমা ছিল সেই ক্ষণে।
চোঁখ শুধু বাহিরেই দেখেনা
দেখে অন্তর অলিগলি।
খুলে দেয় অন্তর জানালা
দূর থেকে চোখাচখি।
এক পলক চাহনীর অব্যক্ত কামনা
এসে ভীড় করে জানালার কানসিতে।
কাছে আসার অধীর আগ্রহ
তাড়া করে পেতে; আরো কাছে।
চোঁখের যে ভাষা
সেতো নিত্য প্রত্যাশার আলো খোঁজে।
কাছে পেলে চোখগুলো মিটিমিটি হাসে।
পেতে চায় তৃষিত মন ঐ দু'টো চোঁখ
আরো কাছে অনেক কাছে।
চোঁখের ভাষা; চোখেই বুঝে
তাইতো চোঁখ অন্য দু'টি চোঁখ খোঁজে।
চোঁখের ভাষাগুলো তখন
নীল প্রজাপতির ডানা হয়ে যায়।
মুহুর্তেই উড়ে চলে যায়
ঐ নীল চোঁখ দু'টোর কাছাকাছি।
================
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)