টগবগে সময়ের কথা
এবং
ফুল ফুটানোর গল্প
এবং
ফুল ফুটানোর গল্প
অনামিকা ,
তোমার সেই স্মৃতিমাখা দিনগুলোর কথা কি আজও মনে পড়ে?
চোখে অজস্র রঙিন স্বপ্ন, আর বুকে জমে থাকা অফুরন্ত ভালবাসা
উজ্জীবিত দুরন্ত উঠতি যৌবনের সেই মুহুর্তগুলো ।
যখন তোমার ও আমার উজ্জীবিত যৌবন একটি তেজি ঘোড়ার মতো
দুর্বার গতিতে টগবগিয়ে উল্কার মতো ছুটে চলতো।
আমি সেই সুন্দর বিকেলগুলোর কথা বলছি,
যে বয়সে একজোড়া উঠতি বয়সী তরুণ তরুণী
লৌহ এবং চুম্বকের মতোই জড়াজড়ি করে থাকতে ভালবাসে
উপচে পড়া নদীর বহমানতা যে কারনে ছুটে চলে সমুদ্র পানে
এক মহামিলনের দুর্বার ওদুর্দমনীয় আকর্ষণে।
সেই একই সম্মোহনী আকর্ষণ তোমাকে আমাকে নিয়ে যেতো
প্রতিদিন বিকেলবেলা, অপরাজয় বাংলা বেদীর কোনো এক কোণে,
নজরুল সমাধির পাশে কোনো বৃক্ষ কিংবা তরু ছায়ায় পাশে।
অথবা কখনো কখনো রমান পার্কের অজস্র বৃক্ষরাজির
কোনো একটির ছায়াতলে, সংগোপনে বসে চুটিয়ে আলাচারিতা।
গল্পগুলো এতোই বিরামহীনভাবে চলতে থাকতো যে
কখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা গড়িয়ে অনেক রাত হতো
তবুও মনে হতো কথাগুলু শেষ যেনো হতোনা
বিরামহীন কথার মালা বুনেই চলতাম।
কিন্তু উপায়তো আর ছিলনা, ঘরেতো ফিরতেই হবে
তখন এমন মনে হতো; সম্ভব হলে সেখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে হতো
সেটাতো সম্ভব ছিলনা, তাই আকাশের খসে পড়া নক্ষত্রের মতোই
দুজনেই ছুটে চলে যেতাম দুই দিগন্তে, তুমি চলে যেতে ছাত্রীনিবাসে
আর আমি যেতাম আমার নিজ আবাসনে; অতৃপ্ত এক ভগ্ন হৃদয়ে।
অনামিকা, তোমার কি সে স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে
কি দুর্বার আকর্ষণ, কি অদ্ভূত অনুভুতি আর মায়াময়তা
সেই দিনগুলোত আমাদিগকে প্রচন্ড উদ্ভেলিত করতো।
প্রেমের প্রবল বন্যা তোমার হৃদয় কুহরেও হয়তো বয়ে যেতো
কিন্তু তোমার লাজুকতার জন্যই কিছুটা তা অপ্রকাশিত রয়েযেতো
হয়তো সেই একই লাজুকতায় তুমি আজও মুহ্যমান।
জীবনের মধ্যে বয়সের এই ক্ষণেগুলোতে
কেনো যেনো উনুভুতিতিগুলো সেই একই রকম হয়না
একেই হয়তো বলে জীবনের পরম বাস্তবতা;
সময় এবং বয়সের ভিন্ন রূপান্তর, ভিন্ন চাওয়া-পাওয়া ।
আমার লেখা কবিতা তোমার কাছে ভালো লাগতো কিনা
তা আমি আদৌ কখনই বুঝে উঠতে পারিনি।
সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও আমি দু চারটি কবিতা লিখতাম।
বাংলা একাডেমীর কবিতা পাঠের মঞ্চে
আমি স্বরচিত কবিতা পাঠ করতাম , তুমি দর্শক সারিতে বসে।
তুমি আমার আবৃতি শুনে কখনো হাত তালি দিয়েছো কিনা জানিনা !
তবে আবার যখন দুজনে যুগল বন্ধি হয়ে পথ চলতাম
তখনো তোমায় দেখিনি কবিতা নিয়ে কথা বলতে।
আমি কবিতাকে ভীষণ ভালবাসি, কবিতাকে হৃদয়ে সেবী
কবিতা জীবনের কথা বলে, আবেগের কথা বলে,
সুখের এবং দুঃখের কথা বলে, রাজনীতি, রাষ্ট্র, সমাজ
ন্যায় অন্যায়, বঞ্চনা-প্রাপ্তি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার কথা বলে।
কবিতা আকারে হয়তো অনেক ছোট, তবে অর্থে এবং বোধগম্যতায়
এর ব্যাপকতা এবং ব্যাপ্তি সুবিশাল।
তোমার সেই স্মৃতিমাখা দিনগুলোর কথা কি আজও মনে পড়ে?
চোখে অজস্র রঙিন স্বপ্ন, আর বুকে জমে থাকা অফুরন্ত ভালবাসা
উজ্জীবিত দুরন্ত উঠতি যৌবনের সেই মুহুর্তগুলো ।
যখন তোমার ও আমার উজ্জীবিত যৌবন একটি তেজি ঘোড়ার মতো
দুর্বার গতিতে টগবগিয়ে উল্কার মতো ছুটে চলতো।
আমি সেই সুন্দর বিকেলগুলোর কথা বলছি,
যে বয়সে একজোড়া উঠতি বয়সী তরুণ তরুণী
লৌহ এবং চুম্বকের মতোই জড়াজড়ি করে থাকতে ভালবাসে
উপচে পড়া নদীর বহমানতা যে কারনে ছুটে চলে সমুদ্র পানে
এক মহামিলনের দুর্বার ওদুর্দমনীয় আকর্ষণে।
সেই একই সম্মোহনী আকর্ষণ তোমাকে আমাকে নিয়ে যেতো
প্রতিদিন বিকেলবেলা, অপরাজয় বাংলা বেদীর কোনো এক কোণে,
নজরুল সমাধির পাশে কোনো বৃক্ষ কিংবা তরু ছায়ায় পাশে।
অথবা কখনো কখনো রমান পার্কের অজস্র বৃক্ষরাজির
কোনো একটির ছায়াতলে, সংগোপনে বসে চুটিয়ে আলাচারিতা।
গল্পগুলো এতোই বিরামহীনভাবে চলতে থাকতো যে
কখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা গড়িয়ে অনেক রাত হতো
তবুও মনে হতো কথাগুলু শেষ যেনো হতোনা
বিরামহীন কথার মালা বুনেই চলতাম।
কিন্তু উপায়তো আর ছিলনা, ঘরেতো ফিরতেই হবে
তখন এমন মনে হতো; সম্ভব হলে সেখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে হতো
সেটাতো সম্ভব ছিলনা, তাই আকাশের খসে পড়া নক্ষত্রের মতোই
দুজনেই ছুটে চলে যেতাম দুই দিগন্তে, তুমি চলে যেতে ছাত্রীনিবাসে
আর আমি যেতাম আমার নিজ আবাসনে; অতৃপ্ত এক ভগ্ন হৃদয়ে।
অনামিকা, তোমার কি সে স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে
কি দুর্বার আকর্ষণ, কি অদ্ভূত অনুভুতি আর মায়াময়তা
সেই দিনগুলোত আমাদিগকে প্রচন্ড উদ্ভেলিত করতো।
প্রেমের প্রবল বন্যা তোমার হৃদয় কুহরেও হয়তো বয়ে যেতো
কিন্তু তোমার লাজুকতার জন্যই কিছুটা তা অপ্রকাশিত রয়েযেতো
হয়তো সেই একই লাজুকতায় তুমি আজও মুহ্যমান।
জীবনের মধ্যে বয়সের এই ক্ষণেগুলোতে
কেনো যেনো উনুভুতিতিগুলো সেই একই রকম হয়না
একেই হয়তো বলে জীবনের পরম বাস্তবতা;
সময় এবং বয়সের ভিন্ন রূপান্তর, ভিন্ন চাওয়া-পাওয়া ।
আমার লেখা কবিতা তোমার কাছে ভালো লাগতো কিনা
তা আমি আদৌ কখনই বুঝে উঠতে পারিনি।
সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও আমি দু চারটি কবিতা লিখতাম।
বাংলা একাডেমীর কবিতা পাঠের মঞ্চে
আমি স্বরচিত কবিতা পাঠ করতাম , তুমি দর্শক সারিতে বসে।
তুমি আমার আবৃতি শুনে কখনো হাত তালি দিয়েছো কিনা জানিনা !
তবে আবার যখন দুজনে যুগল বন্ধি হয়ে পথ চলতাম
তখনো তোমায় দেখিনি কবিতা নিয়ে কথা বলতে।
আমি কবিতাকে ভীষণ ভালবাসি, কবিতাকে হৃদয়ে সেবী
কবিতা জীবনের কথা বলে, আবেগের কথা বলে,
সুখের এবং দুঃখের কথা বলে, রাজনীতি, রাষ্ট্র, সমাজ
ন্যায় অন্যায়, বঞ্চনা-প্রাপ্তি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার কথা বলে।
কবিতা আকারে হয়তো অনেক ছোট, তবে অর্থে এবং বোধগম্যতায়
এর ব্যাপকতা এবং ব্যাপ্তি সুবিশাল।
No comments:
Post a Comment