Monday, December 29, 2014

"নতুন আলোর ভোর"

"নতুন আলোর ভোর"

মিজানুর ভূঁইয়া

আসে নতুন বছর, নিয়ে নতুন  আশা
শান্তি, স্থিতি আর বুকভরা ভালবাসা।
একটু ভাল একটু আলো
গুছে যাবে সকল কালো।
পায় যেনো মন  একটু সুখের পরশ
জীবন তখন হয়ে উঠেবে আরো সরষ।
মন্দ  যত ছিল গত সনে
উড়ে যেনো যায় তাহা দূর গহীন বনে।
শান্তির পায়রাটাকে পায় যেনো মন খুঁজে
দুঃখ বেদন আছে যতো যায় যেনো সব গুছে।  
নতুন বছর নতুন রূপে সবার  কাছে আসে
নতুন আশার স্বপ্নগুলো চোখের মাঝে ভাসে।
ভ্রান্তি নিয়ে ক্লান্তি যতো যাক হয়ে তা শেষ
নতুন বছর বয়ে আনুক শান্তি সুখের বেশ।
দুরাচারের দুর্নীতি আর ছিল যতো ঘোর
কন্ঠে এবার জেগে উঠুক নতুন গানের সুর। 
পাপ-পঙ্কিলতা যাক হয়ে সব দূর
নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে আসুক নতুন ভোর। 
===============================
 ২৯  ডিসেম্বর ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ




Tuesday, December 23, 2014

"বৃত্তচ্যূতি"

 "বৃত্তচ্যূতি"
মিজানুর ভূঁইয়া

 
গাড়ি বাড়ি  দামী কাপড়
আর কিছুটা অর্থকড়ি তোর সম্বল
এই নিয়েই হলো তোর মনের বল।

মিথ্যে অহংকারে মিলবেনা  কোনই ফল
যাবে চলে সব একদিন অথৈ তল।
ভুলে যাস সব মানবিক রীতিনীতি 
অতীতকে নিমিষেই করে দিস ইতি।
মনে কি হয়না তুই মানব জাতী
লালন করিস মনে পাশবিক রীতি।
মানুষ হলো স্রষ্টার মহান এক সৃষ্টি
মহৎ কর্মেই তার গড়ে উঠে কৃষ্টি।
মানুষ ভুল করে, মানুষেই তা সোধে
শয়তান সোধেনা ভুল, ফেটে পড়ে  ক্রোঁদে।
মনে রেখে এক্গাদা পাপের বোঝাঁ
কি হবে ফায়দা তোর ইশ্বরকে খোজা।
স্বর্গের চাবি মেলা নয় এতো সোজা
মানুষকে দিনরাত দিয়ে এতো ধোকা। 
মনের ভিতর লালন করে উইপোকার বাসা 
কি করে করিস তুই শান্তি সুখের আশা।
============================
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
ডিসেম্বর ২৩ ২০১৪

Friday, December 19, 2014

টগবগে সময়ের কথা


টগবগে সময়ের কথা
এবং
ফুল ফুটানোর গল্প
অনামিকা ,
তোমার সেই  স্মৃতিমাখা দিনগুলোর কথা কি আজও মনে পড়ে?
চোখে অজস্র রঙিন স্বপ্ন, আর বুকে জমে থাকা অফুরন্ত ভালবাসা
উজ্জীবিত দুরন্ত উঠতি যৌবনের সেই মুহুর্তগুলো । 
যখন তোমার ও আমার উজ্জীবিত যৌবন  একটি তেজি ঘোড়ার মতো
দুর্বার গতিতে টগবগিয়ে উল্কার মতো ছুটে চলতো।
আমি সেই সুন্দর বিকেলগুলোর কথা বলছি,
যে বয়সে একজোড়া  উঠতি বয়সী তরুণ তরুণী
লৌহ এবং চুম্বকের মতোই জড়াজড়ি করে থাকতে ভালবাসে
উপচে পড়া নদীর বহমানতা যে কারনে ছুটে চলে সমুদ্র পানে 
এক মহামিলনের দুর্বার ওদুর্দমনীয়  আকর্ষণে।
সেই একই সম্মোহনী আকর্ষণ তোমাকে আমাকে নিয়ে যেতো
প্রতিদিন বিকেলবেলা, অপরাজয় বাংলা বেদীর কোনো এক কোণে,
নজরুল সমাধির পাশে কোনো বৃক্ষ কিংবা তরু ছায়ায় পাশে।
অথবা কখনো কখনো রমান  পার্কের অজস্র বৃক্ষরাজির
কোনো একটির ছায়াতলে, সংগোপনে বসে চুটিয়ে আলাচারিতা।
গল্পগুলো এতোই বিরামহীনভাবে চলতে থাকতো যে
কখন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা  গড়িয়ে অনেক রাত হতো
তবুও মনে হতো কথাগুলু শেষ যেনো হতোনা
বিরামহীন কথার মালা বুনেই চলতাম।
কিন্তু উপায়তো আর ছিলনা, ঘরেতো ফিরতেই হবে
তখন এমন মনে হতো; সম্ভব হলে সেখানেই থেকে যেতে ইচ্ছে হতো
সেটাতো সম্ভব ছিলনা, তাই আকাশের খসে পড়া  নক্ষত্রের  মতোই
দুজনেই ছুটে চলে যেতাম দুই দিগন্তে, তুমি চলে যেতে ছাত্রীনিবাসে 
আর আমি যেতাম আমার নিজ আবাসনে; অতৃপ্ত এক ভগ্ন হৃদয়ে।
অনামিকা, তোমার কি সে স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে   
কি দুর্বার আকর্ষণ, কি অদ্ভূত অনুভুতি আর মায়াময়তা
সেই দিনগুলোত আমাদিগকে প্রচন্ড উদ্ভেলিত করতো।
প্রেমের প্রবল বন্যা তোমার হৃদয় কুহরেও হয়তো বয়ে যেতো
কিন্তু তোমার লাজুকতার জন্যই কিছুটা তা অপ্রকাশিত রয়েযেতো
হয়তো সেই একই লাজুকতায় তুমি আজও মুহ্যমান।
জীবনের মধ্যে বয়সের এই ক্ষণেগুলোতে  
কেনো যেনো উনুভুতিতিগুলো সেই একই  রকম হয়না
একেই হয়তো বলে জীবনের পরম বাস্তবতা;
সময় এবং  বয়সের ভিন্ন রূপান্তর, ভিন্ন চাওয়া-পাওয়া ।
আমার  লেখা কবিতা তোমার কাছে ভালো লাগতো কিনা
তা আমি আদৌ কখনই বুঝে উঠতে পারিনি।   
সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও আমি দু চারটি কবিতা লিখতাম।
বাংলা একাডেমীর কবিতা পাঠের মঞ্চে
আমি স্বরচিত কবিতা পাঠ করতাম , তুমি দর্শক সারিতে বসে।
তুমি আমার আবৃতি শুনে কখনো হাত তালি দিয়েছো কিনা জানিনা !
তবে আবার যখন দুজনে যুগল বন্ধি হয়ে পথ চলতাম
তখনো তোমায় দেখিনি কবিতা নিয়ে কথা বলতে।
আমি কবিতাকে ভীষণ ভালবাসি, কবিতাকে হৃদয়ে সেবী
কবিতা জীবনের কথা বলে, আবেগের কথা বলে,
সুখের এবং দুঃখের কথা বলে, রাজনীতি,  রাষ্ট্র, সমাজ
ন্যায় অন্যায়, বঞ্চনা-প্রাপ্তি, সংস্কৃতি ও সভ্যতার কথা বলে।
কবিতা আকারে হয়তো অনেক ছোট, তবে অর্থে এবং বোধগম্যতায়
এর ব্যাপকতা এবং ব্যাপ্তি সুবিশাল।  

Monday, December 15, 2014

"স্বপ্নের জানালা"

বাংলাদেশের ৪৪তম বিজয় দিবসে আমার শ্রদ্বান্জলি:-
 
"স্বপ্নের জানালা" (পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান )
মিজানুর ভূঁইয়া

 
তোমরা নিতান্তই জোর করে আমাদের
পূর্বদিকের জানালাটিকে বন্ধ করে দিতে চাইলে।
কারণ; সেই জানালায় আমরা প্রতিদিন 
ভোরের প্রথম সূর্য্য উঠার দৃশ্যটি দেখি বলে।
আমরা প্রতিদিন ঐ সুর্য্যেটিকে দেখে 
প্রতিশ্রূতি ও মনের শক্তি সঞ্চয় করি বলে।  
প্রতিদিন মনের কোণে স্বপ্ন ও প্রত্যাশার
সোনালী আলোকবর্তিকা জ্বালাতাম  বলে।
ভোরের কোমল সতেজ বায়ু
আমাদের জানালার চারপাশে আনাগোনা করতো বলে।
দিনের প্রথম জেগে উঠা আলোক রশ্নি
আমাদের আঙ্গিনা আলোকিত করতো  বলে ।
তোমাদের মনে প্রচন্ড হিংসে হতো
আর সে কারণেই তোমরা হিংস্র হয়ে উঠলে
তোমাদের ভিতর প্রতিহিংসা দানা বেদে উঠলো।
তোমরা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে
আমাদিগকে সূর্য্যালোক থেকে বঞ্চিত করতে চাইলে।
চাইলে;  আমরা যেনো অন্ধকারে বন্ধি হয়ে থাকি ।
আমাদের ঘরের পূর্বমুখী জানালাগুলোতে
তোমরা বড়ই নিষ্ঠুরভাবে আঘাত হানতে থাকলে।
আমাদের স্বপ্নের জানালা ছিল
আমদের নতুন স্বপ্ন আর বেচে থাকার অদম্য শক্তি ।
আমরা প্রতিদিন যে স্বপ্ন আর প্রতিশ্রূতিগুলোকে
মনের কোণে স্বযতনে জমাট বেধে রাখতাম।
তোমরা  স্তব্ধ করে দিবে; আমরা তা মেনে নিতে পারলামনা ।
আর তাই আমাদের বীর জওয়ানরা
প্রচন্ড প্রতিরোধে আকাশ জমিন কাঁপিয়ে ফুঁসে উঠলো।
তারা বন্ধ করে দিলো পশ্চিমের জানালাটি
পশ্চিমের জানালায় সূর্য্য ডুবার দৃশ্যই  শুধু দেখা যায়
যেখানে দিবালোক নিভে যায়, আসে অস্পৃস্য অন্ধকার।
আমাদের প্রত্যাশার পূর্বদিকের জানালাটি
সুর্য্য সৈনিকেরা  জীবন বাজী রেখে রক্ষা করেছে ।
সেই জানালাটির নতুন নাম সোনালী স্বপ্ন 
স্বাধীনতা ও অহংকারে বেছে থাকার দেশ  "বাংলাদেশ"
================================
ডিসেম্বর  ১৬ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Friday, December 12, 2014

"প্রিয়দর্শিনী বাংলাদেশ"

 "প্রিয়দর্শিনী বাংলাদেশ"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
তুমি কি আমার সেই প্রিয়দর্শিনী বাংলাদেশ
প্রকৃতির অপরূপ মনোমুগ্ধতার বিশাল সমাবেশ ।
ফসলের মাঠে সবুজের দোল খেলানো আবেশ
ভোরের আকাশে উদিয়মান সূর্য্যের কোমল  পরশ।
কোকিল শ্যামা আর দোয়েলের কন্ঠে সুমধুর শীষ
সদ্যফোটা হরেক রকম ফুলের মিষ্টি-মধুর সুবাস।
কাঁশফুলে ঘেরা হাওড় কুলের শুভ্রতার নিবেশ
সবুজ শ্যামল মায়াময় উদার প্রকৃতির গড়া সুবেশ।
বর্ষণস্নাত ভিজে মাটির সোদা গন্ধমাখা আমেজ
ফুল আর ফসলে সোনার বাংলাকে করেছে  সতেজ।
কলসি কাঁকে কিষাণীর হেলেদুলে ঘাটে যাওয়া
মনমাঝির খালে বিলে গীত কন্ঠে  ডিঙ্গি বাওয়া। 
মন কেড়ে নেয়  পল্লীগীতি কিংবা ভাটিয়ালির সুর
রাখাল বালক বাঁশি বাজায় কি সুমধুর। 
গাছে গাছে ফুঁটে থাকা নানান রকম ফলের মুকুল
ভিজে বর্ষায় গাছের ডালে হলদে কদম ফুল ।
উঠোন কোণে গাছের সাখে টক মিষ্টি কুল
ঝুলে আছে গাছের ডালে যেনো কানের দুল ।
পুকুর পাড়ে গাছের মাথায় ঝুলে থাকা কচি ডাবের ঝাঁপি  
আবহমান বাংলার এক মনোরম ছবি ।
ঝিলের পাড়ে গাছের ডালে বসে মাছরাঙ্গা পাখি
গা জুড়ে তার বাহারি রং; দেখে জুড়ায় আঁখি।
ঘুরে ফিরে দেখলাম যতো সারা বিশ্বময়
প্রিয়দর্শিনী রূপসী বাংলা আমার; আর কিছুই তেমন নয়।
===========================
ডিসেম্বর  ১২, ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Saturday, December 6, 2014

"গোল্লাছুটের রাজনীতি"

"গোল্লাছুটের রাজনীতি"
মিজানুর ভূঁইয়া

 
শান্তির পায়রা শান্তির দূত
কখন আসবে তুমি ...

দূর করবে দস্যু রাজনীতির ভুত l
মানুষ মরে, না খেয়ে
হাজার কষ্টে কাটে দিনরাত
দস্যু রাজনীতি তবুও দেখে
চারিদিকে উন্নয়ন আর আশির্বাদ l
স্বস্তিকে কেড়ে নিয়েছে হস্তিতে
মানুষ ঠাঁই নিচ্ছে বস্তিতে l
রাজা রাজা খেলায় মহাব্যস্ত
ক্ষমতার মত্তলোভে দিনরাত ন্যস্ত l
এই খেলায় তিনারাই বড় বিদ্যান
হাক ডাক মারেন আর গরম করেন উদ্যান l
মানুষ মরুক আর দেশ যাক গোল্লায়
ভাবখানা এমন;
ত্রাণকর্তা হিসাবে পাঠিয়েছেন আল্লাহ l
___________________________

ডিসেম্বর ০৫ ২০১৪
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Tuesday, December 2, 2014

"অমাবস্যায় চন্দ্রগ্রাস"

"অমাবস্যায় চন্দ্রগ্রাস"

মিজানুর ভূঁ ইয়া
 
জন্মভূমি জননী আমার
তোমার কাছে আমার একগাদা ঋণ।
যে স্বপ্নে স্বাধীনতা এনেছি; তা আজ একান্তই মূল্যহীন।
যে আশায় লাল সূর্য্যকে দেখা; তা আজ  রংবিহীন
যে সবুজে সোনালী ফসল ফলাবে ; তা আজ বিলীন ।
যে চোখে আগামীর স্বপ্ন-আশা; হয়ে রয় তা দুরাশা
যে বুকে জ্বলাবার কথা আশার নিয়ন বাতি;
সে বুকে আজ বহন করছে  দুরারোগ্য সব ব্যাধি।
চারিদিকে আজ শুধুই দেখি দুষ্ট রাজনীতির খ্যাতি
ছারপোকার দখলে চলে যাচ্ছে  রাষ্ট্র ও রাজনীতি।
দেশপ্রেমের ছদ্ব নামে রাজনীতির অপসংস্কৃতি
দেশ ও মনুষের জন্য তাদের মিথ্যে প্রীতি।
দেশপ্রেম ও  মেধা চর্চা আজ নির্বাসনের পথে
মানুষ এখন জিম্মি শুধু জুলুমবাজদের হাতে।
গালভরা সব বড় বক্তৃতায় দেশপ্রেমী হওয়া যায়
মতলববাজীরা নিজের সব ফায়দা খুঁজে পায়।
আমজনতা এখন রাজনৈতিক ব্যবসার বড় পুঁজি
বৈতরণী পার হতে শুধু তাদেরকে খুঁজি।
পার হয়ে ক্ষমতার সাকো; এবার তোমারা ভাগো।
রাজনীতি ধাবিত আজ  অন্ধভক্তি আর তোশামদির দিকে
মেধাবৃত্তি আর উন্নয়ন পড়ে যাচ্ছে  একেবারে পিছে ।
দুষ্টচক্র মতলবিরা মারছে কষে চাবুক
জ্ঞানী গুনি মেধাবীরা হয়ে পড়ছে  রাজনীতি বিমুখ।
জিন্দাবাদের রাজনীতিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে
নিরীহ মানুষ সব পায়ের চাপায় মরছে।
জিন্দাবাদির পিছন থেকে মানুষ যেদিন সরে আসবে
সেদিনই লাল সুর্য্যটি আবার পূব আকাশে হাঁসবে।
====================================
ডিসেম্বর  ০২, ২০১৪
 ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ 

Sunday, November 23, 2014

"ধুম্রকাননে স্বপ্নের ভুবনে"

"ধুম্রকাননে স্বপ্নের ভুবনে"

হুক্কাখানা সাজিয়ে
ছত্রন্জি বিছিয়ে  আসন পেতে দিলো লিঙ্কন ।
আধো আলো আর আধো ছায়ায়
বাজলো মৃদু সুরি বাজনার স্বর কিছুক্ষণ ।
হুক্কার মৃদু আমেজ্মাখা নিলেম ধুম্রতার আস্বাদন
মগজে যেতেই জেগে উঠলো ভিন্ন এক চেতন।
চোখের চারিপাশে উড়ছে যেনো শুধু ধুম্কেতন
নিমিষেই হারিয়ে গেলো মন  অজানা এক অবচেতন।
হঠাৎ যেনো এক অজানা সুউঁচু "ঢেউ"
নিয়ে গেলো আমায় পার করে স্বপ্নের সাগর
স্বচকিতে তাকিয়ে দেখি বসে আছি লিঙ্কনের ঘর।
তাকিয়ে দেখি চারিদিকে হৈ হুল্লোর করছে কেউ কেউ
আসলে হৈ হুল্লোর নয়, চলছিলো প্রশিক্ষণ নাটক "ঢেউ" 
===============================
(শুধু মজা করার জন্যই বানিয়ে লেখা)
নভেম্বর ২৩ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Friday, November 21, 2014

"জীবন বৃক্ষ"


"জীবন বৃক্ষ"
মিজানূর ভূঁইয়া

     একজন নারী এবং একজন শিশুর শ্বাশত কোমল স্নিগ্ধ রূপ যেনো শান্ত স্থিবির মায়াময় উদার প্রকৃতিরই মতো চির শান্ত ভালবাসার প্রতীকচিন্হ  বহন করে। রুক্ষতা, রুঢ়তা, ক্রোদ,  প্রতিহিংসা নারী কিংবা শিশুতে মানায়না। নারী এবং শিশু উভয়ই শান্তি ভালবাসার প্রতীমা। নারী ভালবাসা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করে, প্রতিহিংশা দূর করে, আর পুরুষ তার বুদ্ধিমত্তা, কৌশল, পরাক্রমশালিতা দিয়ে পৃথিবী জয় করে , নারী হলো একটি বৃক্ষে ফুটে উঠা একগুচ্ছ ফুল, যা তার সৌন্দর্য্য সৌরভতা দিয়ে পৃথিবীকে ভালবাসায় আবিষ্ট করে, শান্তির মহিমা ছড়ায়, বজ্র কঠিন হৃদয়কে শান্তির বারতা দিয়ে সাজিয়ে তোলে একদিন সেই ফুটা ফুলগুলোই ফলবতী হয়ে উঠে এবং সৃষ্টির অপরূপ মহিমায় ফুলগুলো মহান আত্নবিসর্জনের মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন বীজ আর সেই বীজ থেকে আপন বংশ বৃদ্ধি,, যেনো প্রকৃতিরই এক বিশাল মহিমা যার মধ্যে বিদ্যমান আছে অজস্র ত্যাগ, ধৈর্য  সৃষ্টিশীলতার মতো বিশাল গুনাবলী  
    আর পুরুষ হলো সেই বৃক্ষটি; যে তার অত্যান্ত  শক্ত, মজবুত দৃঢ় বক্ষের উপর   তার প্রচন্ড শক্তিমত্তা মনের দৃঢ়তা দিয়ে সেই পাতা ফুলগুলোকে দু হাতদিয়ে আগলে রাখে যেনো কোনো রকম প্রতিকুলতা সেই সৃষ্টিকে গুড়িয়ে দিতে না পারে আর সে কারণেই পুরুষ সেই সকল সৌন্দর্য্য মন্ডিত সৃষ্টিগুলোর প্রতিরক্ষার নিমিত্তেই স্বভাবত একটু পরাক্রমশালী কিংবা যুদ্বংদেহী হয়ে থাকে এটিই  হলো প্রকৃত বাস্তবতা বা জীবন চরিত, নারী পুরুষ জীবন পথ চলায়  একে অপরের পরিপূরক, কেউ প্রতিরক্ষার ব্যুহ সাজিয়ে নিরাপত্তা, শান্তি, স্থিতি রক্ষা করে। আবার অন্যদিকে কেউ মায়ামমতা ভালবাসার ঢালি সাজিয়ে শান্তি প্রীতিবোধকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে
    পুরুষ চরিএটি প্রতিরক্ষার নিমিত্তে স্বভাবতই  একটু পরাক্রমশালী কিংবা  রক্ষনশীল হয়ে থাকে  এই ক্ষেএে, যার যে ভুমিকা সে যদি সেই দিকে নিজেকে নিয়োজিত রাখে; তবেই জীবন হয়ে উঠে সুন্দর উপভোগ্য জীবন হয়ে উঠে   সাবলীল ও পরিপাটি ; যদি পরস্পর সহানুভুতি সহযোগিতার মাঝে দুজনেই নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে সক্ষম হয়, আর তখনই জীবন হয়ে উঠে আনন্দময় শান্তিময় পুরো ব্যাপারটিই হলো একটি বৃক্ষ; যেমনিভাবে তার ডালপালা, পাতা, ফুল ফল, এই সব নিয়েই তার জীবনের পূর্ণাঙ্গ  সফলতা এবং এর প্রতিটি অংশই নিবিড়ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিততেমনিভাবে বাবা মা ও সন্তান একইভাবে; বৃক্ষ, ফুল আর ফলের মতোই নিবিড় ও নিরবিছ্ছিন্নভাবে একই অঙ্গে বসবাস, যদিও সবারই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি; যা একই অঙ্গে সন্মিলিত বসবাস হিসাবেই পরিগণ্য। আর পাতা ও ডালপালা হলো; এর শ্রী বর্দনকারী উপকরণ বা প্রতিকুলতাকে মোকাবেলা করার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে।  
========================
নভেম্ভর ২১ ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ