Monday, October 14, 2013

বর্ষা

"বর্ষা ও জীবন"
মিজানুর ভূঁইয়া

বর্ষায় ভিজিয়ে দিয়ে যায়, বায়ু আর এই পোড়া মাটি
প্রকৃতি প্রাণ পায়, ঝেড়ে উঠে অবসাদ ও ক্লান্তি।
কোমলতায় ভরে যায়, জগৎ সংসার ও দেহ মনটি 
হাফ ছেড়ে বাঁচে তখন প্রকৃতি ও মানুষের প্রানটি।
নিয়ে আসে মনে একরাশ আনন্দ ও হৃদয় ভরা প্রশান্তি।
বর্ষার বর্ষণে ধুয়ে মুছে যায় বায়ুবাহিত রোগ-জীবানু
শরীর ও মন ভরে উঠে প্রফুল্লতায়, নিঃশেষ করে ক্লান্তি।
দুঃসহ খর-তাপে ও গরমে, বর্ষণ নিয়ে আসে কোমলতা মনে।
===========================
অক্টোবর ১১ ২০১৩
  
"বর্ষার দিনে"
মিজানুর ভূঁইয়া

আজ বর্ষার এই ঝিরিঝিরি বরষণে
কতো স্নৃতি আজ আসে মোর মনে।
ভিজেছি কতো অঝোর বৃষ্টি ধারায়
খেলেছি সাথীদের নিয়ে ভিজে উঠোনে।
মায়ের সোহাগমাখা একরাশ বকুনিতে
পালিয়েছি দল বেধে অন্য কোনো খানে।
শুনেছি রাতের বেলায় টিনের চালে
রুমঝুম সুর বাঁধা, বৃষ্টি মূসল ধারে।
হৃদয়ে জেগেছে কতো রঙ বেরঙের
সুখানুভূতি, অলস মূহুর্তগুলো কেটেছে
লুডো, তাস আর কেরাম বোর্ড খেলে  
ঘুমিয়ে দিন-রাত ভর, কতো আরামে।
বৃষ্টির অঝোর ধারায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি
পুকুরের জলে, কেটেছি সাঁতার দল বেধে
এপাড়া ও ওপাড়ার ছেলেমেয়েদের নিয়ে।
দেখেছি জেঠী চাচীমাদের ঢেঁকী পাড় দিয়ে
চিড়াকুটা ও নাড়ু বানানো সারাদিন ভর।
অথবা কখনো কখনো বসে যেতেন গল্পের
আসরে নিয়ে পানের বাটা সাজিয়ে। 
বর্ষার বিরামহীন বর্ষণে, বনের অসহায় পশুরা 
কাক, কোকিল, শালিক, চঁড়ুই ও অন্য পাখিরা।
ভিজেছে অনবরত, খুঁজেছে মাথাগোজার ঠাঁই
বৃহদাকৃতির গাছের ডালের নিচে কিংবা সুড়ঙ্গে।
গ্রাম বাংলার বিরামহীন ভিজে বর্ষার সেই দিনে
কাঁঠাল মুড়ির অপূর্ব স্বাদ আজও জাগে মনে।
মনে পড়ে বুনো-গোস্ত ও খিচুড়ি, খেজুর রসের ক্ষীর  
সেই প্রাণ কাড়া সোরভ আর স্বাদ পাবো কোথায় আর
তাই ভেবে মন আজ হয়ে যায় ভীষন অস্থির।
বর্ষায় গ্রাম-বাংলার চির সুন্দর্য্য, পাবে কোথায় খুঁজে আর।
=================================
অক্টোবর ১১ ২০১৩ 

No comments:

Post a Comment