Saturday, January 31, 2015

প্রেম ও বসন্তের গানঃ-


প্রেম ও বসন্তের গানঃ-

আমি পেয়েছি তোমায় আমার গানে
আমি পেয়েছি(২) তোমায় এই প্রাণে।।
গেয়েছি গান সুরের ঐকতানে
জানিনি সে কথা তুমি যে লুকিয়ে ছিলে আমার এই মনে।।
আজ তাই দেখি  তুমি এলে হৃদয় পবনে।
তুমি এসে দিলে দেখা এই  ফাগুনে
ফুলগুলো সব ফুটে উঠলো আমার এই মন বাগানে ।।
আমি ধন্য হলাম(২), তুমি নিলে আমায় চিনে ।
-----------------------------------------------
মিজানুর ভূঁইয়া
৩১ জানুয়ারী ২০১৫

Wednesday, January 28, 2015

"সর্বধর্ম একই শান্তির বাণী"

"সর্বধর্ম একই শান্তির বাণী"
মিজানুর ভূঁইয়া

প্রত্যুষে হাটছিলাম গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে
তুমি আসছিলে মন্দিরে প্রার্থনা করে
আমি আসছিলাম মসজিদে নামাজ পড়ে
দুজনেই গিয়েছিলাম ইবাদতের ঘরে ।
হেটে হেটে দুজনের হলো অনেক আলাপন ।
তুমি যা চাইলে তোমার ঈশ্বরের কাছে
আমিও ঠিক একই প্রার্থনা করেছি আল্লাহর কাছে।
তুমি চাইলে বিশ্বমানবের শান্তি ঈশ্বরের তরে
আমিও একই শান্তি চাইলাম আল্লহর ঘরে । 
একই মন, একই ধ্যান, একই চাওয়া পাওয়া
ভিন্ন ছিলো শুধু দুইজনে দুই উপাসনালয়ে যাওয়া।
চোখ মুখ হাত পা দুজনার একই রকম গড়া
তবে কেন ধর্ম নিয়ে হয় এতো বিবাদ, এতো ঝগড়া।
সমগ্র মানবজাতী বিধাতার অপূর্ব এক সৃষ্টি
এই জগৎ সংসারে তবুও কেন হয় এতো অনাসৃষ্টি।
সকল ধর্মের একই বাণী, শান্তি স্থিতি আর মানবতা
বলে গেছেন যুগে যুগে মহামানবগণ আর ধর্ম দেবতা।
সকল ধর্মে শুনি একই শান্তির বাণী
তবুও কেনো মানুষে মানুষে এতো হানাহানি ।
ধর্মীয় আচার যার যার, হউক না তাহা ভিন্ন
কথায় আচরণে করোনাকো কেউ কাউকে  বিদীর্ণ।
ধর্মবাণীতে বলিয়াণ হয়ে, হয়ে  উঠো অনন্য
শান্তিতে ভরিয়া উঠিবে জগৎ, জীবন হবে ধন্য ।
========================
২৮ জানুয়ারী ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
 

"হারানো সুর"

 "হারানো সুর"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
একাকী যখন চলছিলাম পথে
তুমি এসে ধরলে হাতে,
চললাম দুজনে দুজনার সাথে।
মায়াবী সেই মধুর রাতে
খেলেছি দু'জনে ভর পূর্ণিমার জ্যোঁস্নাতে।
তুমি এসে চড়লে কাঁধে
যেই না হাটতে গেলাম, পড়লাম খাদে।
গায়ে চোট লাগেনি ততো
ছিলাম দুজনে একেবারেই অক্ষত।
মনে তখনো অনেক আনন্দ
হয়েছে গান কবিতা মিলিয়ে সুর ও ছন্দ ।
এক জোড়া জোঁনাকী ধরলে তুমি
দিলে তাদের বিয়ে;
বানালে মোল্লা আমায়  টুপি মাথায় দিয়ে। 
হঠাৎ লুকাতে তুমি ঝোঁপঝাড়ে
আমি ক্লান্ত হয়ে যেতাম তোমার পিছে দৌড়ে।
তুমি ছিলে অনেক সাহিত্য রসিক
আমিও কম ছিলামনা কবিতা প্রেমিক।
আজও  মনে পড়ে সেই স্মৃতি
ছিলো মধুময়, আনন্দ আর প্রাণভরা প্রীতি।
বুঝি আজ ছন্দবিহীন সঙ্গতা কতো বিধুর
হারায় গতিপথ হয়না তেমন মধুর ।
জীবন থেমে যায় গিয়ে কিছু দূর
হারিয়ে যায় জীবনের সকল আনন্দ আর সুর। 
=======================
২৮ জানুয়ারী  ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Sunday, January 25, 2015

"সুনয়না"

 "সুনয়না"
মিজানুর ভূঁইয়া

সুনয়না তোমার নয়নাভিরাম চাহনী এক ঝলক বৃষ্টির মতো 
ভিজিয়ে দিয়ে যায় আমার শুকনো এই হৃদয় জমিনটিকে।
চৈত্রের কাঠ ফাটা রোদ্দুরে জমিন যেমন ফেটে চৌচির
একরাশ বর্ষণ ধারা নিবারণ করে তার বুকের সেই তৃষ্ণা,   
তেমনি তোমার চাহনীটুকু এক অপূর্ব আশা জাগায় এই মনে।
তোমাকে ছুঁয়ে দেখার অভিলাস আমার এ মনে হয়নি কখনো
আমি দূর থেকেই সেই সুখটুকুকে হৃদয়াঙ্গম করতে চেয়েছি।
ক্ষনিকের সুখানুভুতি চিরন্তন ভালবাসাকে মলিন করে দেয়
আমি এই ভালোলাগা ভালবাসাকে বিসর্জন দিতে পারবোনা।
একটি উদার ও সুন্দর প্রকৃতিকে শুধু দেখেই যে আনন্দ
সেই ভালোলাগার সুখানুভুতিগুলো অনন্ত ধারারয়  থাকে বহমান।
মনের ভেতর গড়ে উঠে একটি সুশোভিত সৌরভময় বাগান
তোমাকে আমি তেমনি সাঁজিয়ে রাখতে চাই হৃদয় বাগানে।
আজীবন তোমার সুন্দর্য্য মাধুর্যতাকে দেখে দেখে কাটাবো বলে।
তোমার অপলক চাহনীটুকু শান্ত ও নিবিড় স্রোতধারা হয়ে 
বিরামহীন বয়ে যাক আমার এই উত্তাপহীন অন্তরে
আমি জেনে নেবো; তুমি ছিলে এবং আছো মন জুড়ে।     
ছুঁয়ে দেখার আনন্দটুকু নাহয় বিসর্জনই দিলাম এই ক্ষণে
আমি শুধুই চাই তুমি ফুল হয়ে ফুঁটে থেকো এই মনে। 
=============================
২৫ জানুয়ারী ২০১৫
ভার্জিনিয়া , ইউ এস এ

Saturday, January 24, 2015

স্বরস্বতী পূজার গানঃ-

সবাইকে  সরস্বতী পূজার
আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি

"পৃথিবীর সকল প্রাণীর জীবনে মঙ্গল ও শান্তি নেমে আসুক"

 সরস্বতী পূজার গানঃ-
আমি ডাকি-গো  মা তোমায় সরস্বতী
তুমি বাড়াও আমার মনের জ্যোঁতি।।
আমি পাই যেনো ঠাঁই তোমার তরে
দাওগো মা মোরে মহান করে।।
মানুষকে ভালবাসতে পারি যেনো হৃদয় ভরে।
তোমার মহিমায় আছে যতো ভালো শিক্ষা
দাওগো এই হতভাগারে সেই  দীক্ষা।।
আমি তোমারি  পুজিয়া পাই যেনো তোমায় খুঁজিয়া ।
সকল মানুষেকে ভাবি যেনো আমি আপন
সেই যেনো হয়-গো মোর জীবনের পণ।।
তোমার আর্শির্বাদ পায় যেনো খুঁজে আমার এই মন ।  
আমি ডাকিগো মা তোমায় সরসতী
তুমি বাড়াও আমার মনের জ্যোঁতি।।

মিজানুর ভূঁইয়া
২০  জানুয়ারী ২০১৫

Wednesday, January 21, 2015

কৃষ্ণচূড়া-song

অসীম বড়ুয়া দাদার কমেন্ট এবং অনুরোধের প্রেক্ষিতে
৫ মিনিটে কৃষ্ণচূড়াকে নিয়ে গান।

কৃষ্ণচূড়ার লালীমা বেঁধেছে বাসা আমার এই মনে
আমি মুখ ফুটে সে কথা বলবো কাহার সনে।। ...
আমি রাঙ্গিয়েছি এই মন কৃষ্ণচূড়ার লালে
আমি জেনেছি সে কথা, যাবেনা সে আমায় ফেলে।।
কৃষ্ণচূড়ার লালীমা বেঁধেছে বাসা আমার এই মনে
আমি মুখ ফুটে সে কথা বলবো কাহার সনে।।
এসো কৃষ্ণচূড়া আমরা রবো দুজনা দুজনার হয়ে
এভাবেই সারাজীবন যাবে মোদের বয়ে।।
কৃষ্ণচূড়ার লালীমা বেঁধেছে বাসা আমার এই মনে
আমি মুখ ফুটে সে কথা বলবো কাহার সনে।।

January 20 2015

"অনন্যা"

প্রেমের কবিতাঃ-"অনন্যা"
মিজানুর ভূঁইয়া


দেখিনি তোমায় কখনো বাঁধতে খোঁপা চুলে
দেখেছি শুধু চুলগুলো থাকতে পিঠে ঝুলে।
এক পলকে থাকতাম তোমার দিকে চেয়ে
নয়ন দু'টো ভরে যেতো সুখের ছোঁয়া পেয়ে।
মন আমার যেতো শুধু তোমার দিকে ধেয়ে
তুমি আমার মনের ভিতর বাসা বেঁধে ছিলে।
চোখ দু'টো ছিল তোমার ঠিক হরিনীর মতো
এক পলকে তাকিয়ে তাই থাকতাম অভিরত।
চাঁদের পানে তাকিয়ে যেমন দেখতাম তার আলো
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতে লাগতো তেমন ভালো।  
তোমার কথা মধুর মতো লাগতো আমার মনে
তোমায় আমি ভালবেসেছিলাম অতি সঙ্গোপনে ।
রূপে গুনে যেমন তুমি ছিলে অনন্যা
সহজ সরল মনটি তোমায় করেছে ধন্যা।
তুমি আজও আমার মনে করছো বসবাস
এ-জনমে না হয় যদি, আরেক জনমে
মিলবো দু'জনে, বাঁধবো সুখের নিবাস ।
===========================
২১ জানুয়ারী  ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Monday, January 19, 2015

"কৃষ্ণচূড়া চাই তোমার ছোঁয়া"

"কৃষ্ণচূড়া চাই তোমার ছোঁয়া"
মিজানুর ভূঁইয়া


আমিকৃষ্ণচূড়াকে ভীষণ ভালবাসি
মন চায় তারই মতো মন খুলে হাঁসি। 
বারে বারে তাই তারই কাছাকাছি আসি 
হৃদয়ে সাঁঝিয়ে ভালবাসার ঢালি রাশি রাশি।
কৃষ্ণচূড়ার ঐ  লাল রঙ্গ তুলে নিবো মনে
সারাজীবন কাটাবো কৃষ্ণচূড়া তোমার সনে।
কইবো মনের সকল কথা  অতিসংগোপনে  
যদি তুমি আসো আমার এই হৃদয় অঙ্গনে।
মুছবো মনের ধুঁসর মলিনতা তোমার লালীমায়
যদি তুমি একবার নাম ধরে ডাকো আমায় । 
আমি প্রাণ ভরে সুধা নেবো তোমার আভায় 
দুজনে দুজনার হবো অপূর্ব এক মিলন ছোঁয়ায়।
=========================
জানুয়ারী ১৯ ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
 

Saturday, January 17, 2015

পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ সমূহঃ-

পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ সমূহঃ-
 মিজানুর ভূঁইয়া

একটি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বে একজন পুরুষ
বা নারী যেই থাকুক না কেন; সে বিষয়ে আমার কোনো মতভেধ
নেই, সে যে কেউই হতে পারে যদি তার সেই মেধা, প্রজ্ঞা, ধৈর্য্
দূরদর্শিতা, আন্তরিকতা, সহমর্মীতা,দায়ীত্ববোধ, সৃজনশীলতা
থাকে। কারণ মানুষ যখন প্রথম জন্ম নেয়, তার লিঙ্গ প্রকৃতি ভিন্ন
হতে পারে কিন্তু তার মেধা, সৃজনশীলতা, পারগ্যম ক্ষমতা একই
থাকে; শুধু দৈহিক আকৃতি ও গঠনগত ভিন্নতা ছাড়া। তাই সেই
বিষয়ে আমার কোনই দ্বীমত নেই, তবে শারীরিক ভিন্ন গঠন
প্রকৃতির কারণে, নারী এবং পুরুষের আচরণগত ভিন্নতা পরিলক্ষিত ।
 আর সে কারণেই সৃষ্টির আদিকাল থেকেই সেই স্বাভাবিক
সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যকে অনুধাবন করেই একটি চিরাচরিত প্রথার
মধ্যে দিয়ে মানুষের জীবন যাত্রা শুরু হয়।

মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম ও কৃষ্টির আলোকে জীবন বিধানকে
যেভাবে সাজিয়ে জীবন যাপন পদ্বতিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, সে
জীবন ব্যবস্থা প্রকৃতভাবে মানুষের জীবনে প্রচুর প্রাচুর্য আনয়ন
না করে থাকলেও, জীবন পারস্পরিক শ্রব্ধাবোধ এবং শান্তিতে
পরিপূর্ণ ছিল। প্রতিটি মানুষের জীবনের একমাত্র কামনার বিষয়টি
ততোটুকু পর্যন্তই হয়তো; কিন্তু মানুষ ক্রমাগত যতই সীমাহীন প্রাচুর্য
ও আধুনিকতার দিকে ধাবিত হতে থাকলো, মানুষ ততোই হারাতে
শুরু করলো তার নিজ নিজ মূল্যবোধ, পরিবারিক ও সামাজিক
সম্পর্ক, স্থিতি এবং জীবনের সকল মৌলিক আনন্দ সম্ভার।
ধর্মবিদ ও সমাজবিদ্গন বিভিন্ন সময়ে বিধান বা নীতিমালা প্রনয়ন
করেন, যা মানুষের জীবন ব্যবস্থাকে একটি সুনিয়নন্ত্রিত এবং
পদ্বতিগত জীবন যাপনে সহযোগিতা প্রদান করেছিলো। সেই
প্রেক্ষিতেই প্রতিটি পরিবারে, সমাজে এবং রাষ্ট্রীয় জগতে
নেতৃত্বের প্রশ্নটি একটি অত্যাবশকীয় বিষয় হিসাবে এসে
পড়ে। ধর্মযাজকদের মতানুসারে মানুষের একজন বিধাতা
বা সৃষ্টিকর্তা রয়েছেন, যিনি সারা পৃথিবীর মানুষ, প্রকৃতি
এবং সকল কিছুর স্রষ্টা এবং আমরা তার নির্দেশনাকে মান্য
করি এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিপালন করে থাকি।
তিনি এক এবং অদ্বিতীয়, এখানে একটি শৃঙ্খলতার কথা
বলা হয়েছে।মানুষের জীবন ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রনাধীন
রাখার জন্যই পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে শান্তিকামী সমাজ গভেষক
এসেছেন।

অন্যদিকে সকল ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে প্রিতিটি ধর্মীয়
উপাসনালয়ের একজন ধর্ম যাজক বা নির্দেশক থাকে,
আমরা আমাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি নীতি অনুযায়ী 
সেই নির্দেশকের সকল নির্দেশনাকে অনুসরণ করে আমরা
আমাদের প্রার্থনা কার্য সম্পূর্ণ করে থাকি। রাষ্ট্রীয় অনুশাসন
ব্যবস্থাও ঠিক একই রকম, একজন শীর্ষ নেতা বা প্রশাসক
থাকেন যার বিধান এবং শাসন কার্যক্রমকে আমরা অনুসরণ
করার মাধমে রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তি, স্থিতি, শৃঙ্খলতা এবং সমৃদ্বি
প্রতিষ্ঠিত হয়।  তেমনিভাবে একটি সমাজ এবং একটি পরিবারেও
ঠিক একক  নেতৃত্বের প্রচলন মানব সৃষ্টির সেই প্রারম্ভিক কাল
থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছে এবং ইহা নিঃসন্দেহে জীবন ব্যবস্হা
হিসাবে প্রচলিত হয়ে আসছে এবং সেই জীবন ব্যবস্হায়ই
অত্যান্ত সাবলীল ও সুশৃঙ্খল জীবন যাপনে মানুষকে দিনাতিপাত
করতে সহযোগিতা করেছিল। আমরা যদি তাকিয়ে দেখি, আকাশ
এবং জ্যেঁতিরমন্ডলেও লক্ষ্য লক্ষ্য তাঁরা বা অন্যান্য গ্রহ মন্ডলের
উপস্থিথি থাকা সত্বেও সেখানে রাতের আকাশের নেতৃত্বে রয়েছে
চাঁদ আর দিনের আকাশের নেতৃত্বে রয়েছে সুর্য্য । পৃথিবী সৃষ্টির সেই
প্রারম্ভনা থেকেই সৃষ্টির সকল ক্ষেত্রেগুলোতেই একটি সুনিয়নন্ত্রিত
ব্যবস্থা বহাল রাখার জন্যই সেগুলোকে এইভাবে সাজানো হয়েছিল।

কিন্তু আজ আমরা কি দেখছি, পরিবার, সমাজ, ধর্মীয় এবং  রাষ্ট্রীয়
ক্ষেত্রে একটি অসম-প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিটি মানুষই দিন দিন
মৌলিক চিন্তা থেকে দুরে সরে গিয়ে নিজ নিজ স্বার্থকে অগ্রাধিকার
দিতে গিয়ে সমগ্র জীবন ব্যবস্থায় একটি বেসামাল অবস্থার সৃষ্টি করে
ফেলেছে। একটি মানুষ সামগ্রিক গোষ্ঠি স্বার্থ চিন্তাকে পিছে ফেলে ব্যক্তি
চিন্তাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে একটি পরোক্ষ্য অথবা প্রত্যক্ষ্য প্রতিযোগিতায়
অবতীর্ণ, যার ফলে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটি অস্থির ভাব
চলে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বেসামাল অবস্থা হওয়ার মূল
কারণ, হয়তো যে ব্যক্তিটি নেতৃত্বের আসনে আসীন তিনি সেই যোগ্যতা
রাখেন না অথবা যিনি সেই পদে আসীন হতে চাচ্ছেন তিনার সেই
পরিমাপের যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অথবা
ক্রোধ অথবা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার নিমিত্তে নিয়োজিত হতে
চাছ্ছেন বলেই একটি অশান্ত এবং অস্থিতিশীল অবস্থার অবতারণা হচ্ছে।

মূল বিষয়টি হলো একটি অঙ্গনে দ্বী-নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা বা অসম প্রতিযোগিতা
করার যে প্রয়াস, আর এর ফলশ্রুতিতেই আজ  জীবনের সর্ব ক্ষেত্রেই
ভাঙ্গন এবং অশান্তি বিরাজমান ।  আমরা নিজ স্বার্থের কথাকে প্রাধান্যতা
দিতে গিয়ে জীবনের আদি ও প্রকৃত সত্যকে পিছনে ফেলে দিচ্ছি বলেই
আজ প্রেম-প্রীতি, সম্পর্ক, পারস্পরিক শ্রধাবোধ,  শৃঙ্খলতা ও উন্নয়ন
আমাদের জীবন থেকে অনেক দুরে চলে যাচ্ছে। শুধু মিথ্যে অহংকার
 আর নেতৃত্বের মত্বলোভে আমরা আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, ধর্ম, পরিবারকে
 ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিচ্ছি। শান্তি আর সম্পর্ক আমাদের জীবন থেকে
 অনেক দুরে চলে যাচ্ছে কারণ দ্বী-নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার অশুভ ইচ্ছা
আমাদিগকে অবধমিত করতে পারছেনা, আর সেটাই আজ আমাদের
জীবনের মূল অশান্তির কারণ।
=======================================
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
জানুয়ারী ১৭ ২০১৫

Thursday, January 15, 2015

"শুধুই মানব নিধন খেলা"

"শুধুই মানব নিধন খেলা"
মিজানুর ভূঁইয়া 

এতো লাস আর বর্বরতা দেখেও
কেউ মুখ ফুটে বলছেনা কোনো কথা।
মানব বিধ্বংসী হেন কাজে
লাগছেনা কারো মনে কোনো ব্যথা ।
আপন সুখেই মত্ব সবাই
দেশ জাহান্নামে গেলেইবা কার কি ?
নিজেরাতো পাচ্ছেন পোলাউ কোর্মা আর ঘি।
ধর্মবাদী আর খোলসী গনতন্তের নামে
প্রতিদিন হচ্ছে নিরীহ মানুষগুলো  নিধন।
বাদবাকিরা তাতেই খুঁশি পাচ্ছেন মাসিক বেতন।
চারিদিকে শুধু জি হুজুর আর পা চাটার দল
দেখে শুধুই অন্ধ স্বার্থ  আর নিজের দল। 
ফাঁকা বুলির গদিবাজীর এই বর্বর খেলা
এই সোনার বাংলায় চলবে আর কতো দিন?
জাতীর ঘাড়ে চাপিয়ে এতো বোঝা বোঝা বিদেশী ঋণ। 
ফেইস বুক, টুইটার আর ভিডিও গেমেই সবাই ব্যস্ত
দেশ পুড়ে ছাই হউক, ঠিক রাখেন নিজের সাস্থ্য।  
বিবেকের ঘরে ধরেছে উঁইপোকা আর ঘুন
কি আসে যায় ছোটলোকেরা হয় যদি খুন।
চুপটি মেরে এভাবে বসে থাকলে ঘরে
একদিন তোমার পায়ের নিচের মাটিও যাবে সরে।
বিবেকের জাগান জাগাও এখনি,
ধরো সবাই মিলে শক্ত করে হাতে হাত
আর নয় এই বাংলায় মানব বিধ্বংসী অপঘাত।
আর নয় নিঃস্তব্দতা থেকোনা চুপটি  করে
দুষ্টচক্রদের দমন করো, রুখে দাও এই প্রান্তরে।
আর দেয়া যায়না কোনো সুযোগ তাদের
দিনরাত যারা শুধুই ঘুছিয়ে নিচ্ছে নিজেরদের আখের।
দেবোনা আর আমাদের সন্তানদের
সম্ভাবনাময় শান্তিময় ভবিষ্যত  নিতে কেড়ে,
যেতে হবে তাদের এবার সোনার বাংলা  ছেড়ে।
=================================
জানুয়ারী ১৫ ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, January 13, 2015

দেশাত্মবোধক গান

বাংলা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য লেখা
সমবেত কন্ঠে দেশাত্মবোধক গান ।

This is my father's land
This is my mother's land
o my dear Bangladesh, you are the glory in my heart 
shining day and night।।
তুমি আমার পিতার দেশ
তুমি আমার মাতার দেশ
তুমি আমার গর্ভের ধন রুপুশি বাংলাদেশ।।
ও আমার সুদূরে রেখে আসা মধুর দেশ
তুমি আমার চির অহংকারের বাংলাদেশ
তুমি আমার মনের রঙ্গে রাঙানো অপূর্ব এক বেশ।।
তুমি আমার পিতার দেশ
তুমি আমার মাতার দেশ
তুমি আমার গর্ভের ধন রুপুশি বাংলা দেশ।
তোমার লাল সবুজের ঐ পতাকা  
আমার মনের ভিতর তোমার ছবি আঁকা
তুমি  রয়েছ আমার এই নয়নে
তুমি রয়েছ আমার এই হৃদয়ে।।
ও আমার সুদূরে রেখে আসা মধুর দেশ
তুমি আমার পিতার দেশ
তুমি আমার মাতার দেশ
তুমি আমার গর্ভের ধন রুপুশি বাংলাদেশ।
Mizanur Bhuiyan

Sunday, January 11, 2015

"এক নৌকা দুই মাঝি"


"এক নৌকা দুই মাঝি"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
এক নৌকায় দুইজন মাঝি
কেউ বাইছে উজান পানে
কেউ বাইছে ভাটি ।
দিশেহারা যাত্রীরা সব
কোন দিকে আসল ঘাটি?
এক মাঝিতে বলে আমি সঠিক
অপর্ জনে বলে সে!
যাত্রীরা সব মহাসংকটে
বাঁচাবে তাদের কে?
ঝড়ের কবলে নৌকা এখন
যাত্রীরা করছে হাউ-মাউ।
পাগল মাঝি শুনছেনা কিছুই
তবুও উল্টা দিকে বায়।
===============
১১ জানুয়ারী, ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Monday, January 5, 2015

প্রেমের গানঃ- দু'চোখে তোমার এত কান্না কেনো

প্রেমের গানঃ-

দু'চোখে তোমার এত কান্না কেনো
আমি আছি তোমার হৃদয়ে জেনো।।
চোখের মাঝে তোমার এতো জল
যেনো নদীতে পানি টলোমল
আমি চাইনা ভাসতে আর ঐ  চোখের জলে
মুছে নিবো সব কান্না এই হৃদয় দিয়ে।।
আমি তোমার এই হাতখানা ধরে
হেটে হেটে চলে যাবো ঐ নীল নদীর ধারে
হেঁসে হেঁসে গাইব গান দুজনে মিলে
ভেবে নিবো তুমি আমারই আছো, আমারই ছিলে।।
তাকিয়ে রইবো দুজনে জোস্নাভরা চাঁদের পানে
যদিও তা পৃথিবীর  কেউ  না জানে
তোমার আর আমার এই মন শুধু  জানে
এই দুটি মন রাঙ্গাবো ভালবাসার গানে গানে।।
=====================
মিজানুর ভূঁইয়া 
রচনা- ০৫ জানুয়ারী ২০১৫
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
 

Sunday, January 4, 2015

"সুবচন যখন নির্বাসন"

 "সুবচন যখন নির্বাসন"

মিজানুর ভূঁইয়া

 
জীবনের প্রকৃত সত্যকে এড়িয়ে যাওয়াই
হয়তো তোমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল ।
আর সে কারণেই মিথ্যে অজুহাতের ছুতায়
নিজেকে টেনে নাও আপন বলয়ে। 
যে মাটির উপর একাগ্র দৃঢ়তায়
তুমি দাড়িয়ে থাকবে বলে পণ করেছিলে।
আজ সেই মাটিটুকু অতি কৌশলে সরিয়ে
তুমি মাঁচার উপর দাড়িয়ে আছো। 
পায়ের নিচের মাঁচাটি ভঙ্গুর জেনেও 
তুমি অকুতভয়ীর মতো দ্বিধাহীন চিত্তে দন্ডায়মান।
তোমার দুর্দান্ত ও দুর্বিনীত মনস্কতা
জীবনের আসল সত্যকে কলুষতা দিয়ে ঢেকেছে।
তোমার সত্যকে অসত্য বানানোর যে প্রক্রিয়া
তা তোমার ভিতরের মানুষটিকে বদ করেছে ।
তুমি জীবনের যে সত্যকে ধারণ করে বাঁচার কথা
সেই লক্ষ্যস্থল থেকে তুমি এখন কয়েম কদম দুরে।
তোমার বেপরওয়া ও ক্ষীপ্র গতিতে পথ চলা
আর সকল পথিকের পথ চলাকে করেছে সঙ্কাগ্রস্থ।
তবুও তুমি নির্বিকার, আপন জগতেই নিমজ্জিত  
তোমার সকল সুবচন আজ নিস্পেষিত নির্বাসনে।
জীবনের পরম সত্যগুলু আজ একান্তই শৃঙ্খলিত

সুবচন যখন নির্বাসনে, জীবন তখন প্রহসনে । 
অবশেষ থাকে শুধুই একটি ধ্বংসস্থুপ আর আতঙ্ক
 একটি অসুস্থ্য ধারা ক্ষনিকের হতে পারে,

 এর বোঝা সারা জীবন বয়ে বেড়ানো যায়না।
========================
জানুয়ারী ০৪, ২০১৫
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Friday, January 2, 2015

মানবতাবাদী গানঃ-2

মানবতাবাদী গানঃ-2

এই পৃথিবীর এক আজব রীতি
মানুষে মানুষেরে দেখায় ভীতি।।
মানুষে মানুষেরে মামলা করে
মানুষে মানুষেরে হামলা করে
মানুষের মাঝে এ-কোন হিংস্র নীতি।।
মানুষের মাঝে নাই কোনো প্রীতি
মানুষের মনে শুধু নিজেই জিতি
মানুষের মাঝে নাই কোনো নিয়ম নীতি।।


মিজানুর ভূঁইয়া
জানুয়ারী ০২ ২০১৫