"জীবন বৃক্ষ"
মিজানূর ভূঁইয়া
মিজানূর ভূঁইয়া
একজন নারী এবং একজন শিশুর শ্বাশত কোমল স্নিগ্ধ রূপ এ যেনো শান্ত স্থিবির মায়াময় উদার প্রকৃতিরই মতো চির শান্ত ও ভালবাসার প্রতীকচিন্হ বহন করে। রুক্ষতা, রুঢ়তা, ক্রোদ, প্রতিহিংসা নারী কিংবা শিশুতে মানায়না। নারী এবং শিশু উভয়ই শান্তি ও ভালবাসার প্রতীমা। নারী ভালবাসা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করে, প্রতিহিংশা দূর করে, আর পুরুষ তার বুদ্ধিমত্তা, কৌশল, পরাক্রমশীলতা দিয়ে পৃথিবী জয় করে , নারী হলো একটি বৃক্ষে ফুটে উঠা একগুচ্ছ ফুল, যা তার সৌন্দর্য্য ও সৌরভতা দিয়ে পৃথিবীকে ভালবাসায় আবিষ্ট করে, শান্তির মহিমা ছড়ায়, বজ্র কঠিন হৃদয়কে শান্তির বারতা দিয়ে সাজিয়ে তোলে। একদিন সেই ফুটা ফুলগুলোই ফলবতী হয়ে উঠে এবং সৃষ্টির অপরূপ মহিমায় ফুলগুলো মহান আত্নবিসর্জনের মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন ফল এবং বীজ; আর সেই বীজ থেকে আপন বংশ বৃদ্ধি, এ যেনো প্রকৃতিরই এক বিশাল মহিমা। যার মধ্যে বিদ্যমান আছে অজস্র ত্যাগ, ধৈর্য ও সৃষ্টিশীলতার মতো বিশাল গুনাবলী । নারী সেই ত্যাগ ও
ধৈর্য মহিমার গুনে হয়ে উঠে মহিয়সী, হয়ে উঠে অনন্যা ।
আর পুরুষ হলো সেই বৃক্ষটি; যে তার অত্যান্ত শক্ত, মজবুত ও দৃঢ় বাহুর উপর তার প্রচন্ড শক্তিমত্তা ও মনের দৃঢ়তা দিয়ে সেই পাতা ও ফুলগুলোকে দু হাতদিয়ে আগলে রাখে। যেনো কোনো রকম প্রতিকুলতা সেই সৃষ্টিকে গুড়িয়ে দিতে না পারে। আর সে কারণেই পুরুষ সেই সকল সৌন্দর্য্য মন্ডিত সৃষ্টিগুলোর প্রতিরক্ষার নিমিত্তেই স্বভাবত একটু পরাক্রমশালী কিংবা যুদ্বংদেহী হয়ে থাকে। এটিই হলো প্রকৃত বাস্তবতা বা জীবন চরিত, নারী ও পুরুষ জীবন পথ চলায় একে অপরের পরিপূরক, কেউ প্রতিরক্ষার ব্যুহ সাজিয়ে নিরাপত্তা, শান্তি, ও স্থিতি রক্ষা করে। আবার অন্যদিকে কেউ মায়ামমতা ও ভালবাসার ঢালি সাজিয়ে শান্তি ও প্রীতিবোধকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। এখানে কেউ বড় আর কেউ ছোট তেমন কোনো ভাবনার অবকাশই নেই; এখানে সকলের যার যার নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ দিয়েই সব কিছু সুন্দর ও পরিপাটি করে তুলতে হয়।
ধৈর্য মহিমার গুনে হয়ে উঠে মহিয়সী, হয়ে উঠে অনন্যা ।
আর পুরুষ হলো সেই বৃক্ষটি; যে তার অত্যান্ত শক্ত, মজবুত ও দৃঢ় বাহুর উপর তার প্রচন্ড শক্তিমত্তা ও মনের দৃঢ়তা দিয়ে সেই পাতা ও ফুলগুলোকে দু হাতদিয়ে আগলে রাখে। যেনো কোনো রকম প্রতিকুলতা সেই সৃষ্টিকে গুড়িয়ে দিতে না পারে। আর সে কারণেই পুরুষ সেই সকল সৌন্দর্য্য মন্ডিত সৃষ্টিগুলোর প্রতিরক্ষার নিমিত্তেই স্বভাবত একটু পরাক্রমশালী কিংবা যুদ্বংদেহী হয়ে থাকে। এটিই হলো প্রকৃত বাস্তবতা বা জীবন চরিত, নারী ও পুরুষ জীবন পথ চলায় একে অপরের পরিপূরক, কেউ প্রতিরক্ষার ব্যুহ সাজিয়ে নিরাপত্তা, শান্তি, ও স্থিতি রক্ষা করে। আবার অন্যদিকে কেউ মায়ামমতা ও ভালবাসার ঢালি সাজিয়ে শান্তি ও প্রীতিবোধকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। এখানে কেউ বড় আর কেউ ছোট তেমন কোনো ভাবনার অবকাশই নেই; এখানে সকলের যার যার নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ দিয়েই সব কিছু সুন্দর ও পরিপাটি করে তুলতে হয়।
পুরুষ চরিএটি প্রতিরক্ষার নিমিত্তে স্বভাবতই একটু পরাক্রমশালী কিংবা রক্ষনশীল হয়ে থাকে। এই ক্ষেএে, যার যে ভুমিকা সে যদি সেই দিকে নিজেকে নিয়োজিত রাখে; তবেই জীবন হয়ে উঠে সুন্দর ও উপভোগ্য। জীবন হয়ে উঠে সাবলীল ও পরিপাটি ; যদি পরস্পর সহানুভুতি ও সহযোগিতার মাঝে দুজনেই নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে সক্ষম হয়; আর তখনই জীবন হয়ে উঠে আনন্দময় ও শান্তিময়। পুরো ব্যাপারটিই হলো একটি বৃক্ষের জীবন চক্রের মতো; যেমনিভাবে তার ডালপালা, পাতা, ফুল ও ফল, এই সব নিয়েই তার জীবনের পূর্ণাঙ্গ সফলতা পায় এবং এর প্রতিটি অংশই নিবিড়ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। তেমনিভাবে বাবা মা ও সন্তান একইভাবে; বৃক্ষ, ফুল আর ফলের মতোই নিবিড় ও নিরবিছ্ছিন্নভাবে একই অঙ্গে বসবাস, যদিও সবারই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি ও ধরন থাকে; যাকিনা একই অঙ্গে সন্মিলিত বসবাস হিসাবেই পরিগণ্য। আর পাতা ও ডালপালা হলো; এর শ্রী বর্দনকারী উপকরণ বা প্রতিকুলতাকে মোকাবেলা করার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে। প্রকৃতার্থে সংসারটাই একটি বিশাল বৃক্ষ; যা কিনা পাতা, ফুল ও ফলে সাজানো এবং পরিপাটি একটি জীবন ব্যবস্থা। এখানে সবারই যার যার নিজ নিজ বৈশিষ্ট অনুযায়ী করণীয় থাকে; আর সবাই যদি সেই মর্মার্থটি বুঝে চলতে পারে; তবে সেখানেই জীবনের পরম স্বার্থকতা।।
========================
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
========================
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
No comments:
Post a Comment