Sunday, October 16, 2016

"মধুর মিতালী"

"মধুর মিতালী"
মিজানুর ভূঁইয়া


তুমি আমায় বলেছিলে আকাশ হতে 
মেঘ হয়ে আমার বুকে ভেসে বেড়াবে বলে।
আমি ঠিকই তোমার জন্য আকাশ হয়েই গিয়েছিলাম
তোমার খন্ড খন্ড মেঘেদের এদিক সেদিক ছুটাছুটি;
আর আমাকে বার বার আলতো করে ছুঁইয়ে যাওয়া
এযেন প্রাণে প্রাণে কোমল স্পর্শে অনুভূতির এক মধুকরী খেলা।
তুমি আবার হয়ে গেলে পূর্ণিমার ঝঁলসানো চাঁদ
ছড়িয়ে দিলে একরাশ আলো আমার সারা বক্ষ জুড়ে।
তোমার ফুঁটফুঁটে আলোকরাশি মিটিমিটি হাসলো আমার হৃদয়দ্বারে
 আমি আলোর বন্যায় ভেসে গেলাম, হাসলো আমার হৃদয়।
আবার তুমি বললে আমায় হতে সবুজ বনানী
তুমি শান্ত হিমেল বাতাস হয়ে বয়ে যাবে আমার বক্ষজুড়ে।
আমি হয়ে গেলাম সবুজে সবুজে বিস্তৃন্ন এক বনভূমি
তোমার কোমল স্নিগ্ধ বাতাসেরা খেলে গেলো কতোরকম লুকোচুরি খেলা।

দুষ্টমিতে ছুঁইয়ে দিলো সবুজ নরম তুলতুলে শাঁখাগুলো
হেলেদুলে স্পর্শ করেগেলো অনুভূতির সকল সীমানা।
তুমি বললে আমায় হতে জলসাগর
ঢেউ হয়ে করবে মাতম এপাশ ওপাশ দুলে।
হলাম আমি সাগর বক্ষে নিয়ে বিশাল জলরাশি
ঢেউয়ের দোলায় দুলে বুকে ছিলে হাসিখুশি।
ভাললাগার ক্ষণগুলো ছিল মধুর মিলন সুখে
লাগছিলো ভালই সদা পেয়ে তোমায় বুকে।
পেতেছিলেম বক্ষ আমি; তুমি তাতে পেতেছিলে শয্যা
পেয়েছিলে একরাশ আনন্দ মনে; একটুও পাওনিতো লজ্জা।

দুজনের এই প্রাণ ছুঁইয়ে যাওয়া মধুর গীতালি
মুক্ত প্রাণের উচ্ছাসে ভরা গগনচুম্বী সুখের  মিতালী।
**********************************
১৬ অক্টোবর ২০১৬
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Thursday, October 13, 2016

"হৃদয়ের সোনালী সূর্য্য"

"হৃদয়ের সোনালী সূর্য্য তুমি"
মিজানুর ভূঁইয়া


ভোরবেলায় সূর্য যেমন উঁকি দিয়ে পুবাকাশে উদিত হয়
নিয়ে আসে দিনের আলোর একরাশ প্রতিশ্রুতি।
তেমনি তোমার অস্তিত্বও আমার হৃদয় আকাশে
জাগিয়ে তোলে স্বপ্নময়  রঙ্গিন প্রত্যাশা।
রাতের ঘোর অন্ধকারের বিপরীতে; প্রত্যুষে সূর্য্যের আগমন
যেমনি নিয়ে আসে সোনালী স্বপ্নের ভোর!
তোমার উপস্থিতি এই হৃদয় ভূমিতেও জাগিয়ে তোলে
নতুন চাষাবাদ এবং কাঙ্খিত ফসল ফোলানোর অধম্য ইচ্ছা।
একটুকরো জমি যেমনি সুজলা সুফলা ফসল ফোলানোতেই
তার সার্বিক সার্থকতা খুঁজে পায়;
তেমনি হৃদয়বাগানেও যখন ভালবাসার কলিগুলো
প্রত্যাশার নানারঙ্গের ফুলে ফলে ভরে উঠে
তখন জীবন খুঁজে পায় বেঁচে থাকার আসল স্বার্থকতা।
প্রজাপতির রঙ্গিন ডানাগুলোর মতোই তোমার
আকাঙ্ক্ষাগুলো আমার কামনার দোরগোড়ায়
প্রতিনিয়তই পতপত করে উড়তে থাকে।
আমি প্রচন্ড মায়াময় আবেগে সেই অনুভূতিগুলোকে
ঝাপ্টে ধরে রাখি আমার কামনার স্বর্গবাসরে।
পুজো কিংবা অন্য যেকোনো আরাধনার ঘরে
যেমনিভাবে মনের ভিতর এক পবিত্রতম ভাব এবং প্রশান্তি 
সুন্দর ভক্তিময়তা নিয়ে জমে উঠে;
ঠিক তেমনিই একটি নিখাদ ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যেও
একই রকম গভীর আসক্ততা ও আনন্দময় সাম্পর্কিক লীলা গড়ে উঠে।
তোমার আনন্দ উদ্ভেল সুন্দর ভালোবাসার প্রগাঢ়তা এই বুকে
বেঁচে থাকার একটি সুন্দর ভুবন গড়ে তুলেছে ।
তোমার মনের ভেতরের সোনালী আলোটুকু
প্রচন্ড উজ্জ্বলতায় আমার ভালোবাসার ভুবনটিকে করেছে আলোকময়।
তুমি আজন্ম জেগে  থাকবে একটি সোনালী সূর্য্য হয়ে
আমার এই সাদা নীল মিশানো হৃদয় আকাশে অনবদ্য জ্যোতির্ময়তায়।।
*************************************
১২ অক্টোবর ২০১৬
ভার্জিনিয়া ইউ  এস এ

Saturday, October 8, 2016

ভিজে বর্ষায়

"ভিজে বর্ষায়"
মিজানুর ভূঁইয়া

ভিজে যায় দেহ মন একাকার বৃষ্টির জলে
ক্লান্তি আর অবসন্নতা হয় নিঃশেষ বাসনার
মনোতলে।
আকাশে যখন কালো মেঘের ঘনঘটা দেয় হাতছানি
তখন কি আর লুকিয়ে রাখা যায় মনের গোপন ইচ্ছেখানি।
মনে ইচ্ছে জাগে দেহখানা ভিজিয়েও নিতে
কামনার রসালো বাঁধভাঙা বৃষ্টির জলে
যাকনা ভেসে এই দেহ বর্ষণমুখর প্লাবনে।
তাতে কিইবা আসে যায় ভিজুক না মন এই  মধুর শ্রাবনে।
কামনার তৃষ্ণায় মন যখন ফেটে চৌচির
ভিজুক না এই দেহ মন যা ছিল উন্মুক্ত অধীর।
প্রাণের সকল উচ্ছাস আজ যাক মিলে এই বানে
ভিজে বর্ষা আনুক স্বস্তি সারা দেহ  মনে।
**************************
০৮ অক্টোবর ২০১৬
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

ভিজে বর্ষায়

"ভিজে বর্ষায়"
মিজানুর ভূঁইয়া

ভিজে যায় দেহ মন একাকার বৃষ্টির জলে
ক্লান্তি আর অবসন্নতা হয় নিঃশেষ বাসনার
মনোতলে।
আকাশে যখন কালো মেঘের ঘনঘটা দেয় হাতছানি
তখন কি আর লুকিয়ে রাখা যায় মনের গোপন ইচ্ছেখানি।
মনে ইচ্ছে জাগে দেহখানা ভিজিয়েও নিতে
কামনার রসালো বাঁধভাঙা বৃষ্টির জলে
যাকনা ভেসে এই দেহ বর্ষণমুখর প্লাবনে।
তাতে কিইবা আসে যায় ভিজুক না মন এই  মধুর শ্রাবনে।
কামনার তৃষ্ণায় মন যখন ফেটে চৌচির
ভিজুক না এই দেহ মন যা ছিল উন্মুক্ত অধীর।
প্রাণের সকল উচ্ছাস আজ যাক মিলে এই বানে
ভিজে বর্ষা আনুক স্বস্তি সারা দেহ  মনে।
*****************************************
০৮ অক্টোবর ২০১৬
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Friday, October 7, 2016

"জীবন বৃক্ষ"

                                                                            "জীবন বৃক্ষ"
                                                  মিজানূর ভূঁইয়া
 
 একজন নারী এবং একজন শিশুর শ্বাশত কোমল স্নিগ্ধ রূপ এ যেনো শান্ত স্থিবির মায়াময় উদার প্রকৃতিরই মতো চির শান্ত ও ভালবাসার প্রতীকচিন্হ  বহন করে। রুক্ষতা, রুঢ়তা, ক্রোদ,  প্রতিহিংসা নারী কিংবা শিশুতে মানায়না। নারী এবং শিশু উভয়ই শান্তি ও ভালবাসার প্রতীমা। নারী ভালবাসা দিয়ে পৃথিবীকে জয় করে, প্রতিহিংশা দূর করে, আর পুরুষ তার বুদ্ধিমত্তা, কৌশল, পরাক্রমশীলতা দিয়ে পৃথিবী জয় করে , নারী হলো একটি বৃক্ষে ফুটে উঠা একগুচ্ছ ফুল, যা তার সৌন্দর্য্য ও সৌরভতা দিয়ে পৃথিবীকে ভালবাসায় আবিষ্ট করে, শান্তির মহিমা ছড়ায়, বজ্র কঠিন হৃদয়কে শান্তির বারতা দিয়ে সাজিয়ে তোলে। একদিন সেই ফুটা ফুলগুলোই ফলবতী হয়ে উঠে এবং সৃষ্টির অপরূপ মহিমায় ফুলগুলো মহান আত্নবিসর্জনের মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন ফল এবং বীজ; আর সেই বীজ থেকে আপন বংশ বৃদ্ধি, এ যেনো প্রকৃতিরই এক বিশাল মহিমা। যার মধ্যে বিদ্যমান আছে অজস্র ত্যাগ, ধৈর্য  ও সৃষ্টিশীলতার মতো বিশাল গুনাবলী । নারী সেই ত্যাগ ও
ধৈর্য মহিমার গুনে হয়ে উঠে মহিয়সী, হয়ে উঠে অনন্যা ।

 আর পুরুষ হলো সেই বৃক্ষটি; যে তার অত্যান্ত  শক্ত, মজবুত ও দৃঢ় বাহুর উপর  তার প্রচন্ড শক্তিমত্তা ও মনের দৃঢ়তা দিয়ে সেই পাতা ও ফুলগুলোকে দু হাতদিয়ে আগলে রাখে। যেনো কোনো রকম প্রতিকুলতা সেই সৃষ্টিকে গুড়িয়ে দিতে না পারে। আর সে কারণেই পুরুষ সেই সকল সৌন্দর্য্য মন্ডিত সৃষ্টিগুলোর প্রতিরক্ষার নিমিত্তেই স্বভাবত একটু পরাক্রমশালী কিংবা যুদ্বংদেহী হয়ে থাকে। এটিই  হলো প্রকৃত বাস্তবতা বা জীবন চরিত, নারী ও পুরুষ জীবন পথ চলায়  একে অপরের পরিপূরক, কেউ প্রতিরক্ষার ব্যুহ সাজিয়ে নিরাপত্তা, শান্তি, ও স্থিতি রক্ষা করে। আবার অন্যদিকে কেউ মায়ামমতা ও ভালবাসার ঢালি সাজিয়ে শান্তি ও প্রীতিবোধকে দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। এখানে কেউ বড় আর কেউ ছোট তেমন কোনো ভাবনার অবকাশই নেই; এখানে সকলের যার যার নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ দিয়েই সব কিছু সুন্দর ও পরিপাটি করে তুলতে হয়।  
 
 
 পুরুষ চরিএটি প্রতিরক্ষার নিমিত্তে স্বভাবতই  একটু পরাক্রমশালী কিংবা  রক্ষনশীল হয়ে থাকে।  এই ক্ষেএে, যার যে ভুমিকা সে যদি সেই দিকে নিজেকে নিয়োজিত রাখে; তবেই জীবন হয়ে উঠে সুন্দর ও উপভোগ্য। জীবন হয়ে উঠে   সাবলীল ও পরিপাটি ; যদি পরস্পর সহানুভুতি ও সহযোগিতার মাঝে দুজনেই নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে সক্ষম হয়; আর তখনই জীবন হয়ে উঠে আনন্দময় ও শান্তিময়। পুরো ব্যাপারটিই হলো একটি বৃক্ষের জীবন চক্রের মতো; যেমনিভাবে তার ডালপালা, পাতা, ফুল ও ফল, এই সব নিয়েই তার জীবনের পূর্ণাঙ্গ  সফলতা পায় এবং এর প্রতিটি অংশই নিবিড়ভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। তেমনিভাবে বাবা মা ও সন্তান একইভাবে; বৃক্ষ, ফুল আর ফলের মতোই নিবিড় ও নিরবিছ্ছিন্নভাবে একই অঙ্গে বসবাস, যদিও সবারই ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতি ও ধরন থাকে; যাকিনা একই অঙ্গে সন্মিলিত বসবাস হিসাবেই পরিগণ্য। আর পাতা ও ডালপালা হলো; এর শ্রী বর্দনকারী উপকরণ বা প্রতিকুলতাকে মোকাবেলা করার হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে। প্রকৃতার্থে সংসারটাই একটি বিশাল বৃক্ষ; যা কিনা পাতা, ফুল ও ফলে সাজানো এবং পরিপাটি একটি জীবন ব্যবস্থা। এখানে সবারই যার যার নিজ নিজ বৈশিষ্ট অনুযায়ী করণীয় থাকে; আর সবাই যদি সেই মর্মার্থটি বুঝে চলতে পারে; তবে সেখানেই জীবনের পরম স্বার্থকতা।। 
========================
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Wednesday, October 5, 2016

মন চায় হারিয়ে যাই তোমার সাথে


"মন চায় হারিয়ে যাই তোমার সাথে"
মিজানুর ভূঁইয়া

এ কি অপরূপ রুপেগো তুমি
হেরিনু সবুজ পর্বতভূমি।
যতো দূরেই আমি বহিয়া যাই
শুধুই তোমার নৈস্বর্গে হারাই।
তোমার এই মায়াময় সবুজ বনলতা
আবেগী এই মনের পূর্ণ হয় সব শূন্যতা।
তোমাতেই আছে অকৃত্তিম ভালবাসা
যা দিয়ে ভরে যায় মনের সব আশা।
তুমি দিগন্তজুড়ে মিশে আছো দূর অজানায়
কে জানে কোথায় আকাশের সাথে মিলেছো গিয়ে তোমার মিত্রতার কাঙ্খিত সীমানায়।
এতো প্রানছোঁয়া সবুজ তুমি কি করে গড়েছো
আকাশের ঐ নীলিমার সাথে সক্ষতায় মিলেছো ।
আমি হারিয়ে যেতে চাই তোমার ভালবাসার গহীন অরণ্যে
তোমার উদার ভালবাসায় বরণ করে করোগো আমায় ধন্য । ।
*****************************************
০৫ অক্টোবর ২০১৬
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ