Saturday, July 26, 2014

" ডঃ সুলতান আহমেদ"

"সোজা কথা"
প্রিয় মুখ- প্রিয় মানুষ-৮

এইবারের প্রিয় ব্যক্তিত্ব বৃহত্তর ওয়াশিংটন এলাকা ও উত্তর আমেরিকার
সকল শ্রেনীর মানুষের সবচেয়ে প্রিয়ভাজন ও পরম শ্রদ্ধেয়, বিশিষ্ট চিন্তাবিধ
গভেষক ও শিক্ষাবিধ ডঃ সুলতান আহমেদ।

" ডঃ সুলতান আহমেদ"
মিজানুর ভূঁইয়া:- 

বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্তন কর্মকর্তা
করে যাচ্ছেন  কাজ বিশ্বমানবতার জন্য।
তিনি আর কেউ নয়; এই সমাজের একজন 
আমাদের সবার ভক্তির ও প্রাণ-প্রিয় মানুষ
ডঃ সুলতান আহমেদ, গুনে-মানে অনন্য।
স্বভাবে তিনি অতিমিষ্টিভাষী, মুখে তার থাকে হাঁসি
সারাজীবন কাটিয়েছেন মানুষকে ভালবেসে।
দুনিয়া-জুড়ে আছে তার খ্যাতি ও সূনাম
তিনি হলেন বিশিষ্ট জ্ঞানী ও শিক্ষাবিধ।
মানুষের হৃদয়ে করে নিয়েছেন অনেক শক্ত ভিত
কথার মালায় হলেন তিনি এক মহাপন্ডিত।
জ্ঞান তার সীমাহীন, অর্থনীতি, মানবতাবাদ কিংবা ধর্মশাস্রে
শান্তির বাণীতে বিশ্বাসী তিনি; নয় কোনো অস্রে।  
কথা বলেন যুক্তিতে; নয় কোনো জোর-জুলুম শক্তিতে
বিশ্বাস করেন তিনি শান্তি ও মুক্তি আসে ভক্তিতে।  
তিনি হলেন একজন খাঁটি মানবতাবাদী
নাই তার কাছে ভেদাবেদ ধর্ম, গোত্র কিংবা ভিন্নজাতী।
সুদীর্ঘকাল ধরে আছেন তিনি এই দূর প্রবাসে
বিপদে আপদে দৌড়ে আসেন মানুষের কাছে,
এমন গুনি ও সমাজ হিতৈষী কজনই-বা আছে।
============================
রচনা: ২৬ জুলাই ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)  

Saturday, July 19, 2014

"তুমি রবে চিরদিন"

আমার মেঝো ভগ্নিপতি মুখলেছূর রহমানের  সদ্য অকাল মৃত্যুতে তার স্মৃতির প্রতি
আমার এই ক্ষুদ্র নিবেদন:-

"তুমি রবে চিরদিন"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
ভাই সাহেব
তুমি চলে গেলে অকাল অন্তিম শয়নে
রেখে গেলে একরাশ স্মৃতিবিজড়িত কান্না
যা প্রতিদিন কাঁদাবে তোমার রেখে যাওয়া স্বজনদের।
হয়তো অন্য সবার মনে কোনো একদিন প্রভোধ যোগাবে
তবে তোমার প্রিয়তম পত্নী; সে যা হারিয়েছে
তার হৃদয়কোণে চিরকালই অপূরনীয় ক্ষত রয়ে যাবে। 
তোমার অনাবিস্কৃত গোপন ব্যাধি
তোমাকে প্রতিনিয়তই খুঁড়ে খুঁড়ে খেয়েছে; করেছে নিঃশেষ।   
তোমার প্রিয়তম পত্নী অধীর আগ্রহে
অবিরাম তোমার সেবা চালিয়ে গিয়েছে; দৃঢ় প্রত্যয়ে
হয়তো কোনো একদিন তুমি সেরে উঠবে; সেই প্রত্যাশায়।
তোমার সাথে তার বন্ধন ও ভালবাসার পরীক্ষায়
প্রতিমুহুর্তেই সে ছিলো বিজয়িনী; শত বিপত্তিতেও হাল ছাড়েনি।
জীবনে কখনোই পাওয়া না পাওয়ার হিসেব করেনি,
দেখেছে তোমায়; একজন পূজনীয় দেবতার আসনে।
হাজার কষ্ট ও বেদনা বুকে নিয়েও
বার বার ফিরে তাকিয়েছে তোমার পানে,
এগিয়ে এসেছে হৃদয় ভরা ভালবাসার ঢালি সাঁজিয়ে  
যা আজকাল ম্যাকি ভালবাসায়; খুবই দুর্লভ।
পৃথিবীর সকল কোলাহলতাকে সাঙ্গ করে
তুমি আজ নিরব নিস্তব্ধ ছায়াতলে চির নিদ্রায় শায়ীত।
সেই নিদ্রা তোমার হয়তো কখনো আর ভাংবেনা
আর তোমার প্রাণপ্রিয় সঙ্গিনী; 
জীবনের প্রতিটিদিন নিঃসঙ্গতার গোপন আর্তনাদে
তার হৃদয় ভিজাবে, বাহির থেকে মানুষ হয়তো বুঝবেনা।
ইতিমধ্যেই তোমার অনুপস্থিতি
প্রতিটি হৃদয় জুড়ে সৃষ্টি করেছে এক বিশাল শুন্যতার।
তুমি আমাদের কাছে ছিলে একজন আপন ভাইয়ের মতো;
আমাদের মা বাবার কাছে ছিলে নিজের সন্তানের মতোই।
তোমার জীবনের সমস্ত প্রয়োজনে
আমরা তোমায় কখনোই পরের ছেলে বলে ভাবিনি।
ছাত্র জীবনের সেই স্মৃতিটুকু আজও আমায় আপ্লুত করে
মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন আমি ছাত্রাবাসে থাকতাম।
তুমি যথার্থই একজন বড় ভাইসূলভ স্নেহ ও দায়িত্বশীলতা
নিয়ে মাঝে মাঝে আমার কৌশলাদী জানার জন্যে
আমার সাথে দেখা করতে; বিদায় লগ্নে আমার হাতের মুঠোয়
পকেট খরচার জন্যে কিছু টাকা ধরিয়ে দিতে।
জীবনের সেই ছোট ছোট আদর আর দায়িত্বশীলতাগুলো
আমাদের মনকে আজও প্রচন্ড নাড়া দিয়ে যায়।
আজ আমার একটিই মাত্র ভাবনা
তোমার চলে যাওয়া হয়তো একদিন স্বার্থপরের মতো
আমরা সবাই ভুলে যাবো; তোমার সন্তান; তোমার স্ত্রী;
আজীবনই না পাওয়ার বেদনা বয়ে বেড়াবে
অন্তর তাদের ভিজে যাবে অব্যক্ত বেদনায়।
খুজে বেড়াবে তোমায়, ঘরের প্রতিটি কোণে; হাজারো
মানুষের ভিড়ে, তোমার স্মৃতিবিজড়িত স্পর্শ ও চিহ্নগুলোর
দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে।
==================================
রচনা: ১৯ জুলাই ২০১৪
লন্ডন, যুক্তরাজ্য

Tuesday, July 15, 2014

"স্বপ্ন সঙ্গম"

"স্বপ্ন সঙ্গম"
মিজানুর ভূঁইয়া 


তোমার ঐ কুসুম কাননে
আমি করিবো বসবাস
ভেবেছি যে কতোবার মনে মনে।
তুমি ছিলে এই মন জুড়ে
দেখিতে পারো তাহা
আমার এই অন্তর খুঁড়ে।
বেধেঁছিলেম মন কোণে স্বপ্ন নীড়
তুমি যদি আসো
করিব বসবাস একই সনে।
দুজনে উড়িব ডানা মেলে
ফুলে ফুলে বনে বনে।
সুখের পরশ লবিবো মনে প্রাণে
জাগিবো সারা রাত
সীমাহীন আলাপন ও অন্তর মিলনে।
সে আশা মোর মিথ্যে হয়ে গেলো
জেগে দেখি আমি দুঃস্বপনে।
======================
রচনা: ১৪ জুলাই ২০১৪
যুক্তরাজ্য
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Tuesday, July 8, 2014

"স্খলিত নৈতিকতা"

"স্খলিত নৈতিকতা" 
মিজানুর ভূঁইয়া
 
পৃথিবীতে জানা অজানা
হাজারো প্রাণ
নিরবে ও নিভৃতে গুমরে কাঁদে
মানবরুপী অমানবিকতার  নিস্পেষণে।
কে রাখে তার খবর
মানুষ কখনো কখনো
বড় অসহায়
মনুষত্বহীন যান্তা তাকে যায় পিষে।
পারেনা বিসর্জিতে
তবুও আপন নৈতিকতাকে ন্যূনতম।
সে সুযোগে চতুরজন
ঢালে অর্গল মাথার উপর
দিবানিশি অনর্গল।
তবুও মানবিকতা যায়না চলে
ভেতর থেকে
যেজন নৈতিকতায় পূজা করে।
অশুভ মনস্কতা কখনো হয়না নুহ্য
সত্যের দ্বার প্রান্তে।
মিথ্যে খোলসে সাধু সেজে থাকে সদা
বাহির থেকে পারেনা কেউ জানতে।
================
রচনা: ০৮ জুলাই ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)

Thursday, July 3, 2014

" যেভাবে তোমায় চেয়েছি"

" যেভাবে তোমায় চেয়েছি"
মিজানুর ভূঁইয়া
 
আমি তোমায় আকাশ থেকে চেয়ে নিয়েছিলাম
তোমার নীলিমায় চোখ জুড়াবো বলে।
আমি বিশাল এই পৃথিবীর কাছে তোমাকে চেয়েছিলাম
তোমার সুবিশাল বাহুতে নিজেকে হারাবো বলে।
আমি পর্বতশৃঙ্গের কাছে বলেছি, আমি তোমাকে চাই
তোমার সুবিস্তৃত আঙ্গিনায় লুকোচুরি খেলবো বলে।
আমি মহাসমুদ্রের কাছে আহ্বান করেছি; তোমাকে যেনো পাই
আমি ঢেউয়ের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাবো বলে।
আমি নির্মল বায়ুর কাছে তোমাকে চেয়ে নিয়েছিলাম 
বুক ভরা প্রশান্তিতে নিঃশ্বাস নিবো বলে। 
আমি পূর্নিমার চাঁদকে বলেছি তোমাকে চাই আমার সাথী রূপে
দু'জনে মিলে ভরপূর্নিমায় অবগাহন করবো বলে।    
আমি সূর্য্যের কাছে বলেছি আমার তোমাকেই শুধু চাই 
চোখের আলোয় পৃথিবীর সব সুন্দরকে দেখবো বলে।

আমি গোলাপকে বলেছি, তোমাকে আমার করে নিতে চাই
গোলাপের মনোমুগ্ধ দৃষ্টি নন্দনতা ও সৌরভে প্রাণ জুড়াবো বলে।
আমি পৃথিবীর সমস্ত গ্রহ, নক্ষত্র, প্রকৃতি ও স্রষ্টার কাছে বলেছি
আমি তোমাকে চাই; আমার জীবনের ও মরণের সাথী রূপে;  
চাই জীবনের প্রতিটি ক্ষণের অস্তিত্বে, চাই মহাবিজয়ে 
চাই উচ্ছাস ও উল্লাসে, জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে আনন্দ ও মিলনে।
=======================================
রচনা: ০৩ জুলাই ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের সর্বসত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)