Saturday, August 24, 2024

"বন্ধন বিশ্বাস ও মুক্তি"

"বন্ধন বিশ্বাস ও মুক্তি" 


বাহুতে বাহুতে এই বন্ধন 

এসে মিলিবে হৃদয়ে

বাধিবে প্রাণে মিত্রতার সেতু বন্ধন l

রক্তের সম্পর্ক টেনে আনে কাছে 

হৃদয়ে জাগায় সুমধুর স্পন্দন l

হৃদয় সাম্পর্কিক মিত্রতার রোমন্থন 

সৌরভে ভরে দেয় মন সুবাসিত চন্দন l

স্বার্থের মোহজালে জীবন হবেনাকো ছিন্ন 

তোমার জীবন তখনই হবে ধন্য l

নিজের জন্যই নয় শুধু বাচা 

প্রয়োজনে মানুষের কাছাকাছি আসা l

পিতা মাতা গুরুজনে থাকে যেন ভক্তি

তাতেই  মিলিবে জীবনের মহামুক্তি l 

স্মরণ রাখিবে সদা মহামানবদের উক্তি 

ইহাই হয়ে রইবে জীবনের প্রাণশক্তি l

মানুষে মানুষে খুজিবেনা কোনো ভেদাবেদ 

ধর্ম নয়; ইহাই আসল পরিচয়, আসল ইবাদত l

পৃথিবী অপূর্ব এক মানবীয় বাগান

ভাবো তাই; সকল  মানুষই সমান l


August 24, 2015

Friday, August 16, 2024

“আমার আমি”

 “আমার আমি”

মিজানুর ভূঁইয়া 


আমার মতো এমন মানুষ 

পাবেনাকো কোথাও l

হাজার ঝঞ্জা মাথায় নিয়েও 

পথ চলি নির্দ্বিধায় l

হোঁচট খেয়েও চলি সেই পথে

বোঝা নিয়ে মাথায় l

একটু বিচলিত হয়তো ক্ষণিক 

তবুও খুঁজি হীরা-মানিক l

সুস্থ্য মনে দাড়াই এসে পাশে

আঘাত যদিও আসে l

মানুষ নামের মানুষ হয়েই 

সব ভুলে যাই শেষে l

কঠিন হতে চেয়েও, পারিনা হতে

মনুষত্ব মনে ভেসে আসে l

সহজ সরল করে রাখতে এই মন 

পারি খুবই সহজে l

কঠিন হওয়ার ব্যাপারটি নিজের কাছে 

লাগে অনেক বাজে l

এ জীবনে কথায় কাজে ফারাক রাখিনি কবু 

সেই ক্ষমতা দিয়েছেন প্রভু l

রাতে যেমন অন্ধকার আসে, দিনে আলো 

তেমনি মনটা রেখেছি ভালো l

আলোর মাঝে সদাই খুঁজি নিজের মনের আলো 

মনটা হয়ে উঠে তখন ভালো l

নিজের কথা নিজেই বলছি আত্ন- বিশ্বাসে 

বাঁচি যেনো মানুষ হয়ে l

মানুষ নামের ছায়া হয়না যেন কবু এই মন 

জীবনটা কাটে যেনো সেই বিশ্বাস লয়ে ll

**********************************

ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ 

অগাস্ট ১৭, ২০২০


সর্বমোট সময়: ১২ মি ৩২ সেকেন্ড

Wednesday, January 17, 2024

তৃপ্ত আমি ধন্য আমি !!!

 তৃপ্ত আমি 

ধন্য আমি !!!


মিজানুর ভূইয়াঁ 


একি অপরূপ রূপে মা তোমায় 

হেরিনো বঙ্গজননী !!!

 যে মর্যাদা ও সন্মান তুমি দিয়েছো আজব্দি 

তাতেই ভরেছে আমার এই হৃদয় আত্নতৃপ্তি !!!

কিছুই আমার নিজের হাতে করতে হয়না এখানে 

যা কিছু চাই তাহাই অমনি সামনে এসে যায় 

বাকি আর কিছুই রয়না !!!

এতো পাওয়া এতো সন্মান 

জানি তাহা সদাই রহিবে অম্লান। 

নিজ সততায় অর্জিয়াছি যাহা সারাজীবন ধরে 

জানি তাহা এতো সহসা যাবেনা ঝরে। 

বিধাতায় যাকে দেয় এতো যশ, এতো খ্যাতি সন্মান 

কে পারে তাহা কেড়ে নিতে; রয় ইহা চির অম্লান। 

বন্ধু আমার দরদী আমার সকল প্রিয়ভাজন

তোমরা আমায় সদাই বিছাইয়া দিয়েছো রাজ সিংহাসন। 

তোমরা আমায় এই বঙ্গে সদাই ধন্য করেছো যেভাবে 

তোমাদের দানের প্রতিদানে আমিও যেনো থাকি সেভাবেই। 


ঢাকা, বাংলাদেশ 

১৭ই জানুয়ারী ২০২৪ 



Monday, November 13, 2023

“জীবনচক্র”

 “জীবনচক্র” 

মিজানুর ভূইয়াঁ 


সকালটা কেটে গেছে খেলারছলে 

তেমন কিছু বুঝতেই পারিনি। 

দুপুরটা এখন বড় বিষন্ন, বিভ্রাট চারিদিকে 

প্রখর তপ্ত রোদে জ্বালাময়ী শরীর। 

জীবন ধীরে ধীরে হাটছে এখন 

বিকেলের আলোকবিহীন ছায়াঘেরা সেই পথে। 

তার পর এভাবেই পৌছে যাবে সন্ধ্যায় 

বিদঘুটে অন্ধকার চারিপাশে নিঃসহ জীবন। 

হয়তো পাশে কেউ কিংবা কিছুই থাকবেনা 

শুধুই সকাল সন্ধ্যে এবং রাত্রির বিদঘুটে জীবন। 

কোন এক সময় এমনি হারিয়ে যাবে 

শৈশব, কৈশোর যৌবন আর বার্ধক্যের 

সকল চাওয়া পাওয়া আর লেন দেনের হিসাব। 

একে একে সবাই ভুলে যাবে সকল স্মৃতি 

ধীরে ধীরে সব হারিয়ে যাবে এই বিস্তৃন্ন আকাশ সীমানায়। 

কোনো একদিন কেউ একেবারেই জানবেনা 

এই ধরণীতে সুনিদৃষ্ট মানবাকৃতির এই আমিও একসময় ছিলাম !


১২ই নভেম্বর ২০২৩

ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ 

Thursday, October 26, 2023

“এসো আকাশ হয়ে যাও”

 “এসো আকাশ হয়ে যাও”

মিজানুর ভূইয়াঁ 


উড়লো বিমান 

ছাড়লো মাটি 

আকাশ পানে চললো ছুটে 

মেঘের বাঁধন টুটে ফুটে 

খানিক পরে সূর্য্য আলো উঠলো ফুটে। 

মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে 

মন কিছুটা উঠলো হেসে। 

আকাশ যেনো ছুঁই ছুঁই 

ডানা মেলে উড়ছি ঐ 

কেউ আমাকে খুঁজে আর পায় কৈ। 

আমার মাঝে আমি 

সুদূর গগনে হারিয়ে গেছি জানি। 

কলুষভরা পঙ্কিলতার জীবন থেকে 

যদি মুক্তি পেতে চাও। 

ধুলো বালির ভূবন ছেড়ে 

এবার নীল সাদা ঐ আকাশে উড়ে যাও !

আমায় যদি পেতে চাও 

হৃদয় ছুঁয়ে দাও । 

আমায় সত্যিই কি পেতে চাও 

এসো হাতে হাত মিলাও। 

আমায় ছুতে চাও 

হৃদয়টিকে উজাড় করে আকাশ হয়ে যাও। 


রোম এয়ারপোর্ট; ইতালি 

অক্টোবর ২৬, ২০২৩

Saturday, October 7, 2023

“কেউ কারো নয়"

কেউ কারো নয়"

মিজানুর ভূইয়াঁ

 

আমরা আগে যেভাবে ছিলাম

 সেভাবে আমরা আর নেই;

আমরা সবাই এখন আমি হয়েগেছি।

এক সময় আমরা সবাই ছিলাম

একে অপরের খুবই কাছাকাছি

এখন আমরা একা হয়েগেছি।

আমরা এখন আমি হয়ে গিয়ে

নিজের কথাই বেশী ভাবি

আমাদের মতো করে আর ভাবিনা।

কেউ যদি কোনো কথা বলে

তবে সেটা আমি শুনতে যাবো কেন?

আমিওতো অন্যের চেয়ে কম বুঝিনা।

আমরা এখন যার যার মতো করে

ঘর থেকে যেখানে খুশি চলে যাই

কারো কাছে কিছুই বলে যাইনা।

আবার যখন খুশি ঘরে ফিরে আসি

একেবারে সোজা নিজের কক্ষে চলে যাই

কেউ সামনে থাকলেও কিছুই ধারধারিনা।

খাওয়া দাওয়া বাহিরেই বেশী করি

ঘরে অন্য কেউ আছে সেটা মনেই আসেনা

ঘরেও একটু আধটুকু নিজের জন্যই করে নেই।

ডাইনিং টেবিল; সেতো ঘরের সাজগোছের বিষয়

এখন আমাদের কারোরই সেই শখ  সময় নেই

একসাথে বসে খাওয়া  গল্পসেটি বাইরেই সেরে আসি 

কাপড় কাচা আর শুকানোর ব্যাপার

বাহিরে লন্ড্রি আছে অথবা ঘরে লন্ড্রি মেশিন আছে

নিজের গুলো নিজেই আলাদাভাবে করে নেই।

আমার চাকুরী কিংবা ব্যাবসা সেতো আমার

আমি নিজে কষ্ট করি সেতো নিজের জন্য

সবাই যা যা করেআমিও তেমনই করি।

আমার টাকায় আমার বাড়ি

আমার টাকায় আমার গাড়ি

তবে সেটা অন্যের সাথে করবো কেনো ভাগাভাগি।

সময়ের ক্ষয়িষ্ণু আবেশে যন্ত্রবেষ্টিত জীবন

মনের ভেতরটুকু পুরুটাই কব্জা করে নিয়েছে

এখন আবেগ অনুভূতি যন্ত্রের ভাষায় কথা বলে।

সম্পর্ক কিংবা দায়িত্ববোধ

সেতো শুধু যেখানে প্রয়োজন কাগজে লিখার জন্য

সেই বোধ আর চেতনা আগের মতো নেই; এখন নির্বাসনে।

কালের আবর্তে সবাই এখন ব্যাস্তকেউ কারো নয়

এক বিশাল স্বপ্নরাজ্যের যান্ত্রিক মানুষ

শত ব্যাস্ততায় কাটছে জীবন শুধু যার যার তার তার।

 

ভার্জিনিয়াইউ এস   

৭ই অক্টোবর২০২৩


Monday, September 18, 2023

শিকড় ছেড়ে জীবন বিকল

 “শিকড় ছেড়ে জীবন বিকল”

মিজানুর ভূইয়াঁ
গতিশীল এই পৃথিবীর গতির সাথে তাল মিলাতে গিয়ে
আমার সবাই আজকাল ক্রমশই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্য হয়ে যাচ্ছি।
নক্ষত্রের মতো ছুটাছুটি করতে গিয়ে সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছি
কোথায় জন্ম, কোথায় বেড়ে উঠা; সব কিছু নিজের অজান্তেই হারিয়ে ফেলছি l
নিজের লোভ ও বেশি উপভোগের মত্তলোভে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি
আর দিন শেষে হঠাৎ হিসাব করতে এসে যেনো আর মিলাতে পারছিনা।
প্রতিনিয়তই আমরা ছেড়ে যাচ্ছি আপন শিকড় ও মানুষগুলোকে
আবার তেমনি একইভাবে আমাদিগকেও ছেড়ে যাচ্ছে সন্তান ও অন্যান্য আপনজন।
এভাবেই আমরা একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছি অনেক বেশি পাওয়ার প্রত্যাশায়
এই বেশি পাওয়ার ইচ্ছাটাই অবশেষে সবাইকে করে দিচ্ছে কপর্দকশূন্য।
দিন শেষে যখন চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসে ঘিরে চারিপাশে
এপাশ ওপাশ শূন্যতায় ভরা কেউ নেই পাশে; জীবন কারাগারে একাকী বিচ্ছিন্ন।
আবেগের তাড়ি পান করে এই আমরা মাতাল হয়ে প্রতিনিয়ত যা করছি
যখন স্বাভাবিক ভাবনায় এসে পৌছি; আসলেই কি সব হিসেবে মিলাতে পারছি ??
জীবনের সকল বেশি বেশি চাওয়া পাওয়ার হিসেবে তখন হয়ে পড়ে নগন্য
চারিদিকে সব কিছু স্থিমিত হয়ে আসে; শুধু অপেক্ষা অন্যপাড়ে যাওয়ার জন্য।
একটি ঘুড়িও যেমন খেয়ালের পুতুল হিসাবে সুদূর আকাশে উড়িয়ে দেয়া হয়
আবার এক সময় ঠিকই ভূমিতে নেমে এসে পড়ে; কারণ সেটাই তার ঠিকানা।
একটি দেশকে অজস্র জীবন ও রক্ত দিয়ে স্বাধীন করার পিছনে একই কারণ
তার নিজের ভূমির স্বকীয়তা, আত্নমর্যাত, নিরাপত্তা শান্তি ও স্তিতি নিশ্চিত করার জন্য।
অবশেষে মানুষ সেই মূল্যবোধটুকুও হারিয়ে ছুটে চলছে আবেগের স্বর্গরাজ্যের পথে
কুড়িয়ে নিতে নিজের বিত্ত-বৈভব, ভোগ বিলাস, সুখ আর ক্ষনিকের আনন্দ।
এই বেশি পেতে গিয়েই বদলে যাচ্ছি আমরা, আমাদের ভাষা, সৌজন্যতাবোধ
বদলে যাচ্ছে সম্পর্ক, আদান-প্রদান, দায়-দায়িত্ববোধ, পারস্পরিক ভালোবাসা ও মমত্ববোধ।
এভাবেই প্রতিনিয়ত মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে অতি আবেগের অজানা ঠিকানায়
বেলা শেষে এসে একরাশ দীর্ঘশ্বাস; জীবন তখন বুঝে শিকড় ছেড়ে জীবন এখন বিকল।
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
সেপ্টেম্বর ১৭; ৩০২৩
May be art of ocean and water
All reactions:
Md Masud, Mohammed Zakir Hossain and 4 others