"নির্মল জীবনের নির্মল প্রাপ্তি"
মিজানুর ভূইয়াঁ
কৃতজ্ঞতা,বিশ্বাস আর নম্ররতা
করিতে পারে পৃথিবী বস।
তাতেই বাড়ে জীবনের মূল্যবোধ
বাড়ে খ্যাতি আর যশ।
প্রত্যাখ্যান আর অকৃতজ্ঞতায়
উগ্র হীনমন্যতার প্রকাশ।
নির্মূল করে সকল সম্ভবনা
সম্পর্ক আর শান্তি করে বিনাশ।
শ্রদ্ধা ভক্তিতে সস্পর্ক দীর্ঘায়ু
মিলে সকল প্রশান্তি আর প্রত্যাশা প্রাপ্তি।
অভক্তি আর অশ্রদ্ধায়
ক্ষয়ে যায় সকল মূল্যবোধ নেই তাতে মুক্তি।
ভক্তিতে জীবনে শান্তি আসে
বিশ্বাসে মিলে মহা মুক্তি।
সুশীল কর্মে সুশীতল জীবন
সুন্দর জীবনের ইহাই একমাত্র প্রাণশক্তি।
জটিল মনস্কতায় সংকটময়
শান্তি বিনাশে, বাড়ায় জীবনে শুধুই ভয়।
সৃজনশীল জীবন উদ্ভাবনাময়
সুখ সমৃদ্ধি সুন্দর পরিপাটি করে সুখময়।
নির্মল জীবনের প্রতিশ্রুতি
দূর হয় পঙ্কিলতা সতেজ স্বচ্ছ জীবন।
খুলে দেয় মুক্তির দ্বার
শান্তির দূত চারি পাশে করে বিচরণ।
♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧♧
২২ জুন ২০১৯
ভার্জিনিয়া,ইউ এস এ
Friday, June 21, 2019
Saturday, June 15, 2019
এক জোড়া পাখি
এইতো সেই হাটি হাটি পা পা
একযুগল ময়না
হয়েগেছে মস্ত বড় নওজোয়ান
ঘরে আর পা রায়না
সময়ের ভাঁজে শরীরী কারুকার্য
গড়ে তোলে উঠে সবল দীর্ঘ দেহ
এভাবেই বেড়ে উঠেছে একজোড়া পাখি
আজও সেই মায়ার বাঁধনে ধরে রাখি
যতই কাছে টানি কাছে আর রওয়না
সবল দুটি পা এখানে সেখান ছুটে যায়
ধরে কতো রকম বায়না
মন চায় ধরে রাখি শিকল পায়ে
তবুও পাখি উড়ে যায় আকাশ ছুঁয়ে
আজও যখন চোখে পড়ে ছোট্ট বেলার
মায়াভরা মধুর হাসি
এক রাশ খুশিতে ভরে উঠে প্রাণ মন
দুনয়নে আনন্দ অশ্রুতে ভাসি
তবুও অনেক সুখী পাখি জোড়া আছে
আসল মানুষ হয়ে বড় হবে আছি সেই আশে
সুখে দুঃখে দাঁড়াবে মানুষের পাশে
২১ এপ্রিল ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
Friday, June 14, 2019
প্রেমের গান- ২৬
প্রেমের গান- ২৬
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
তুমি এসেছিলে কাছে যখন
আনন্দ উচ্ছাসে হেসেছে এই মন
সারারাত জেগে সুদূর পথ চলে
ওগো তুমি এলে এই স্বপ্নালয়ে
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
পথের ক্লান্তি তোমায় পারেনি হারাতে
ইচ্ছেগুলো তাই চোখে ভাসে
তুমি এক নিমিষে আঙ্গিনায় ছড়ালে ফুলরেণু
যেনো আকাশে সাজানো রংধেনু
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
প্রজাপতিরা আজ মেলেছে রঙ্গিন পাখনা
এই মিলনক্ষন হেসে খেলে যাকনা
পথের ক্লান্তিগুলো তুমি পথেই এসেছো ফেলে
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
মিজানুর ভূঁইয়া
১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
তুমি এসেছিলে কাছে যখন
আনন্দ উচ্ছাসে হেসেছে এই মন
সারারাত জেগে সুদূর পথ চলে
ওগো তুমি এলে এই স্বপ্নালয়ে
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
পথের ক্লান্তি তোমায় পারেনি হারাতে
ইচ্ছেগুলো তাই চোখে ভাসে
তুমি এক নিমিষে আঙ্গিনায় ছড়ালে ফুলরেণু
যেনো আকাশে সাজানো রংধেনু
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
প্রজাপতিরা আজ মেলেছে রঙ্গিন পাখনা
এই মিলনক্ষন হেসে খেলে যাকনা
পথের ক্লান্তিগুলো তুমি পথেই এসেছো ফেলে
তোমার ক্লান্তিভরা দুচোখে
তুবুও যেনো পূর্ণিমা হাসে
মিজানুর ভূঁইয়া
১০ই ফেব্রুয়ারী ২০১৯
Monday, June 10, 2019
"প্রাণের শহর"
সেই দিনগুলো:
"প্রাণের শহর"
মিজানুর ভূঁইয়া আজ থেকে বাইশটি বছর
ছিলাম যখন টগবগে কিশোর।
ইচ্ছার বিপরীতে প্রবাস জীবন
সময়ের ভাঁজে এসে হলো পোড়ামন।
অলি গলি চষে বেড়ানোর যদিও ছিলনাকো অভ্যাস;
তবু চারিদিকে শুনেছি কানাঘুষা ফিসফাস।
রাস্তায় হেটে চলেছি বীরদর্পে
ফুটেছিলো হরেক রকম ফুল চারিপাশে।
ফুলের বাহার আর তারই সৌরভে
জীবন ছিল পরিপূর্ণ আনন্দ গৌরবে।
হাসি খুশি আনন্দে রঙ্গীন স্বপ্নের জীবন
রাজা মহারাজার মতো ছিল মোর ভূবন।
পরিপাটি বেশভূষা দেহ মন সতেজ
আজও রয়েছে কিছুটা পুরোনো সেই রেশ।
যৌবন জৌলুশ, পরিপাটি পরিচ্ছন্ন মন
কেটেছে দিনগুলো আজও কিছুটা রয়েছে তেমন।
বাতাসে উড়েছে বাবড়ি চুল
পরিপাটি বেশভূসা ছিল মন আনন্দে মশগুল।
ইচ্ছে ছিলোনা মোটেই, নারী মন করা আকর্ষণ
সবই ছিল আপন দেহ মন পরিপাটি; নিজ দর্শন।
হিসেবের খাতায় আজ অতিক্রান্ত বাইশ বছর
পিছনে ফেলে আসা সেই প্রাণের শহর।
আকাশে বাতাসে আজও খুঁজি সেই স্বপ্ন
পাইনা সেই আবেশমাখা পরিতৃপ্তি;
পাই শুধু; ক্ষত বিক্ষত একটি হৃদয় ভগ্ন।
নির্মল বাতাস আর মাটি সোধাগন্ধ
যাহা কিছু পাই আজ সবই যেন দ্বন্ধ l
যে রঙ্গীন স্বপ্নে ছেড়ে আসি মাতৃভূমি
সব কিছুই বিলীন একদিন;
নিজে নিজেকে কবু আর নাহি চিনি।
তবুও অবশেষে প্রবাস হয়ে যায় আপন ভুবন
বিসর্জন দিয়ে সব; নিয়ে মনে অন্য পণ।
আজ থেকে বাইশটি বছর
আজও মন খোঁজে তোমায়; হে প্রাণের শহর। ************************************* ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
১০ মে ২০১৯
"প্রাণের শহর"
মিজানুর ভূঁইয়া আজ থেকে বাইশটি বছর
ছিলাম যখন টগবগে কিশোর।
ইচ্ছার বিপরীতে প্রবাস জীবন
সময়ের ভাঁজে এসে হলো পোড়ামন।
অলি গলি চষে বেড়ানোর যদিও ছিলনাকো অভ্যাস;
তবু চারিদিকে শুনেছি কানাঘুষা ফিসফাস।
রাস্তায় হেটে চলেছি বীরদর্পে
ফুটেছিলো হরেক রকম ফুল চারিপাশে।
ফুলের বাহার আর তারই সৌরভে
জীবন ছিল পরিপূর্ণ আনন্দ গৌরবে।
হাসি খুশি আনন্দে রঙ্গীন স্বপ্নের জীবন
রাজা মহারাজার মতো ছিল মোর ভূবন।
পরিপাটি বেশভূষা দেহ মন সতেজ
আজও রয়েছে কিছুটা পুরোনো সেই রেশ।
যৌবন জৌলুশ, পরিপাটি পরিচ্ছন্ন মন
কেটেছে দিনগুলো আজও কিছুটা রয়েছে তেমন।
বাতাসে উড়েছে বাবড়ি চুল
পরিপাটি বেশভূসা ছিল মন আনন্দে মশগুল।
ইচ্ছে ছিলোনা মোটেই, নারী মন করা আকর্ষণ
সবই ছিল আপন দেহ মন পরিপাটি; নিজ দর্শন।
হিসেবের খাতায় আজ অতিক্রান্ত বাইশ বছর
পিছনে ফেলে আসা সেই প্রাণের শহর।
আকাশে বাতাসে আজও খুঁজি সেই স্বপ্ন
পাইনা সেই আবেশমাখা পরিতৃপ্তি;
পাই শুধু; ক্ষত বিক্ষত একটি হৃদয় ভগ্ন।
নির্মল বাতাস আর মাটি সোধাগন্ধ
যাহা কিছু পাই আজ সবই যেন দ্বন্ধ l
যে রঙ্গীন স্বপ্নে ছেড়ে আসি মাতৃভূমি
সব কিছুই বিলীন একদিন;
নিজে নিজেকে কবু আর নাহি চিনি।
তবুও অবশেষে প্রবাস হয়ে যায় আপন ভুবন
বিসর্জন দিয়ে সব; নিয়ে মনে অন্য পণ।
আজ থেকে বাইশটি বছর
আজও মন খোঁজে তোমায়; হে প্রাণের শহর। ************************************* ভার্জিনিয়া ইউ এস এ
১০ মে ২০১৯
Subscribe to:
Posts (Atom)