"মানুষ
মানুষের জন্য একটু সহানুভূতি
-মানুষকি পেতে পারেনা"
আজ ২০১৭ নতুন বছরের
প্রথমদিন। আমি
অত্যান্ত আনন্দিত এবং গর্বিত এই
দেখে যে, আমার মেঝো
ভাইয়ের কন্যা রুমানা উর্মি
এবং ছেলে নাঈম রহমান
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রুগীদের চলাচল
এবং ভিতরে আনায়ান করার
যে দুর্বিষহ কষ্ট তা লাগবের
জন্য "ভালবাসায় সচল হউক
প্রিয়জনের হুইল চেয়ারটি" ব্যানারে
তাদের কিছু বন্ধু বান্ধবীদের
সহযোগিতায় পুরোনো হুইল চেয়ার
সংগ্রহ এবং নতুন হুইল
চেয়ার অনুদান হিসাবে গ্রহণ
করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালকে দান করছে।
উর্মি এবং নাঈম দুজনেই
গত বিশ বছর ধরে
তাদের মা বাবার
সাথে ইতালি থাকে এবং
সম্প্রতি তারা দেশে এসে
এই মহৎ কাজটিতে হাত
দিয়েছে। এভাবে
যদি আমরা সমাজের কিছু
কিছু প্রয়োজন ও সমস্যাকে চিহ্নিত
করে সমাধান করতে চেষ্টা
করি, তাহলে আমাদের সমাজে
এতো সমস্যা আর থাকেনা। এর
জন্য বেশি কিছু লাগেনা;
শুধু দরকার আপনার এবং
আমার একটি মহৎ ইচ্ছা
এবং উদ্যোগ। ঢাকা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রুগী
এক জায়গায় থেকে অন্য
জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য রুগীদেরকে কোলে করে স্থানান্তর
করা হয়। এই
বিমর্ষ অবস্থাটি আমি নিজেও এইবার
ঢাকা গিয়ে দেখেছি এবং
আমার মনে বিষণ কষ্ট
লেগেছে। আমি
সেখানকার বন্ধু এবং পরিচিত
ডাক্তারদের সাথে সেই বিষয়ে
আলোচনা করেছিলাম। আমি
সত্যিই আমার ভাতিজা এবং
ভাতিজি এই মানবিক দিকটির
সমাধানে এগিয়ে আসায় অনেক
আনন্দিত এবং তাদের জন্য
দোয়া করছি।
আমি তাদের মহান চিন্তা
এবং উদ্যোগের প্রশংসা করি এবং এর
কৃতকার্যতা কামনা করি।
গত সপ্তাহে আমি তাদের এই
মহৎ উদ্যোগটিকে উৎসাহিত করার জন্য একটি
কবিতা লিখেছিলাম। আপনি
দেশে কিংবা বিদেশে যে
যেখানেই থাকুননা কেন; এই বিষয়টি
জানার পর যদি আপনার
মানবিক দিকটি জেগে উঠে
এবং সহযোগিতা করতে চান।
তাহলে আপনার সাহায্যের হাত
নিয়ে এগিয়ে আসুন।
এতে আপনার আমার আত্নীয়
স্বজনরা এবং চিকৎসা নিতে
আসা মানুষদের কষ্টের কিছুটা লাঘব
হবে।।
"ক্ষুদ্র একটু দানে
কেউ বেঁচে যাবে প্রাণে"
মিজানুর ভূইয়াঁ
জীবন যেখানে থেমে গেছে
চলেনা পা কোনোভাবেই আর।
সেখানে প্রয়োজন একটুখানি
প্রদীপের আলো জ্বালাবার।
একটু সচেতনতা একটু সহানুভূতি
বাঁচাতে পারে আরেকটি প্রাণ।
ঘরে বাইরে অযত্নে পড়ে থাকা
হুইল চেয়ারটি করে দিয়ে দান।
আপন জনের যে হাঁসি মিলিয়ে গেছে
ঘরের কোণে পড়ে থাকা ঐ হুইল চেয়ারে।
হাসিবে তোমার হৃদয় আবার
করিলে দান সেই চেয়ারখানা অন্যের তরে।
মানুষ উদার মন নিয়ে
যদি না আসে অন্যের পাশে।
যন্ত্রনায় কাতর প্রতিবেশী তোমার
তবে সেই মানব ধর্মের কি মূল্য আছে
দেওয়ার মতো যদি মন থাকে
তবে সামান্যতেই চলে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানে
সমাজে অনেক মহৎ কিছু গড়ে উঠে।
যতটুকুই সাধ্য আছে করে যাও দান
তাতেই বেঁচে যাবে লক্ষ্য লক্ষ্য প্রাণ।
---------------------------------------------
২০ ডিসেম্বর ২০১৬
কেউ বেঁচে যাবে প্রাণে"
মিজানুর ভূইয়াঁ
জীবন যেখানে থেমে গেছে
চলেনা পা কোনোভাবেই আর।
সেখানে প্রয়োজন একটুখানি
প্রদীপের আলো জ্বালাবার।
একটু সচেতনতা একটু সহানুভূতি
বাঁচাতে পারে আরেকটি প্রাণ।
ঘরে বাইরে অযত্নে পড়ে থাকা
হুইল চেয়ারটি করে দিয়ে দান।
আপন জনের যে হাঁসি মিলিয়ে গেছে
ঘরের কোণে পড়ে থাকা ঐ হুইল চেয়ারে।
হাসিবে তোমার হৃদয় আবার
করিলে দান সেই চেয়ারখানা অন্যের তরে।
মানুষ উদার মন নিয়ে
যদি না আসে অন্যের পাশে।
যন্ত্রনায় কাতর প্রতিবেশী তোমার
তবে সেই মানব ধর্মের কি মূল্য আছে
দেওয়ার মতো যদি মন থাকে
তবে সামান্যতেই চলে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অবদানে
সমাজে অনেক মহৎ কিছু গড়ে উঠে।
যতটুকুই সাধ্য আছে করে যাও দান
তাতেই বেঁচে যাবে লক্ষ্য লক্ষ্য প্রাণ।
---------------------------------------------
২০ ডিসেম্বর ২০১৬
No comments:
Post a Comment