Saturday, November 8, 2014

"মিনু"

আমাদের প্রিয় মা'য়ের "প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে"
আমাদের তিন বোনের প্রতি আমাদের অজস্র
কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমার এই লেখাটি নিবেদিতঃ-

ছবিতে আমার ডানে বড় বোন আর বাম দিকের প্রথমজন মিনু (লাল শাড়ী)
দ্বিতীয় ছবিতে মিনু ও তার ছেলেরা।

"মিনু"
মিজানুর ভূঁইয়া

সে আমাদের বড় আদরের ছোট বোন
রেখেছিলো আমাদের মা'কে করে আদর ও যতন।
করেনী কখনো তার একটুও হেলাফেলা
মায়ের সেবায় কাটিয়েছে দিবা-নিশী সারাবেলা।
রাত নিশি জেগে ছিলো, ঘুম নাই তার চোখে
মাকে নিয়ে কাটিয়েছে মাথা নিয়ে বুকে ।
স্কুলের চাকুরী, নিজ সন্তানের দেখানাশুনা
তবুও মায়ের সেবার একটুও ঘাটতি হতোনা ।
হাতে ধরে খাওয়াতো, নিজ হাতে নাওয়াতো
পথ্য-বড়ি তিন বেলা মায়ের মুখে তুলে দিতো।
আমরা মায়ের ছিলাম আদরের পাঁচ ছেলে
বিদেশেতে থাকি তাকে দেশে একা ফেলে।
 সকাল সন্ধ্যায় মা তার কাছাকাছি ছিলো বলে
মায়ের স্মৃতি মনে হলেই, তার হৃদয় বেশি জ্বলে।
মিনু  বড়ই  উদার আর লক্ষী
সাত গ্রামের মানুষ তার সাক্ষী।
নাই কেহ তার কাছে মিত্র কিংবা  শত্রু
ডাক দিলে চলে যায়; ফেলে নিজের অশ্রু।
মানুষের সুখে-দুঃখে থাকে তাদের পাশে
মানুষের দুঃখে কাদে, মানুষের সুখে হাসে।
আমারা মায়ের পাচ ছেলে  বড় হতভাগা
করিতে পারিনি আমরা তার কোনো সেবা ।
 ছেলেরা  তার করতে পারিনি সেবা একটু খানিক
যদিও 'মা' ছিল আমাদের বুকের মানিক ।
বোন সবসময়ই মায়ের কাছাকাছি ছিলো
মেঝো বোনকেও তাই  কাছে ডেকে নিলো
পাছে মায়ের হয়না যেনো একটুও অযতন।
মায়ের শারীরিক অসুস্হ্যতার কথা যখনি  শুনতেন  
বড় বোন  আসতেন ছুটে তুফানের মতন।
অবশেষে মায়ের অন্তিমকালে
 আদরের তিন কন্যাই ছিলো তার মূমুর্ষতার স্হলে।  
তিন বোনে মিলেমিশে করতেন মায়ের খোজখবর
তাদেরই হাতে হলো আমাদের প্রিয় মায়ের কবর। 
================================
নভেম্বর ০৮, ২০১৪
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

No comments:

Post a Comment