Thursday, February 25, 2016

"ডাইনিং টেবিল সমাচার"

"ডাইনিং টেবিল সমাচার "
*******মিজানুর ভূঁইয়া



 খাবার টেবিল এক সময় ছিল পরিবারের
ঐক্য, সৌহার্দতা  ও সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু।
আজকাল জীবনের সব নিয়ম-নীতিই
জীবনের চাকাকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে উল্টো দিকে।
কর্মদিবস কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও
সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত কিছু একটা নিয়ে।
যান্ত্রিক জীবন আজকাল এতোই ব্যস্ত যে
সকালে নাস্তার টেবিলে এখন আর নাস্তা হয়না।
যার যার মতো করে তাড়াহুড়ো করে
কেউ একটু সিরিয়াল, কেউ এক কাপ চা,
খুব জোর এক টুকরো টোস্ট চিবুতে চিবুতে
নিজের মতো করে দৌড়ে বেরিয়ে যাওয়া।
নাস্তার টেবিল ঘরের শোভাবর্ধনেই সীমিত। 
দুপুরের মধ্যান্ন ভোজ স্কুল কিংবা কর্মস্হলেই
সবাই যার যার মতো করে সেরে নেয়।
নৈশ ভোজেও এক সাথে বসে  হয়না খাওয়া
সবাই ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ তালিকায় অভ্যস্ত।
বেচারা ডাইনিং টেবিল এখন শুধু ঘরের
মাঝখানে পড়ে থাকা কালের সাক্ষী মাত্র।    
মানবীয় জীবন যাপনের ধরণগুলো খুব দ্রুতই
মূল বিন্দু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ
মেঘের মতই এদিক সেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে।
খাওয়ার টেবিল যেদিন থেকে পর হয়ে গেছে সবার
সেদিন থেকে ঘরের মানুষগুলোও
একে ওপর থেকে অনেক দুরে সরে গেছে।
যেমনিভাবে গাছের ডালপালাগুলো
যদিও থাকে একই বৃক্ষ স্কন্দে, তবুও কেউ কারো নয়;
মাঝখানে থেকে যায় যথেষ্ট দুরত্ব আজীবন।
=======================
২৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ

Tuesday, February 2, 2016

"বিশ্বজয়ী বাংলা ভাষা"

"বিশ্বজয়ী বাংলা ভাষা" 
সম্প্রতি জাতীসংঘের প্রবেশদ্বারে ১৯৫২ সালের ভাষা
সৈনিকদের স্মৃতিস্থম্ভ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসাবে স্থায়ীভাবে মর্যাদার আসনে
প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে একটি অন্যতম
মর্যাদাশীল ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদানে আমরা
জাতীয়সংঘ ও উনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

  


"বিশ্বজয়ী বাংলা ভাষা" 
মিজানুর ভূঁইয়া


স্বদেশী ভাষায় মনে বড়ই আশা জাগায়
প্রাণ খুলে কথা বলা।
স্বাধীনতা জাতির আজন্ম অধিকার
মাতৃভুমিতে মাথা উঁচু করে চলা ।
স্বদেশী ভাষায় আছে এমন প্রান্কাড়া মধু
পাখিরাও সূর তুলে গান গায়।
বিদেশ বিভূঁই যতই করুকনা কেনো জাদু
সেই আসল সুখ মিলেনা সেথায়।  
মায়ের মুখের বোল বাঁচাতে যারা দিল প্রাণ
বাঁচালো মোদের প্রানের বর্ণমালা।
বাঙ্গালী জাতির মহাবীর  সন্তান তারা
অর্জন করে নিলো বিশ্ববরণমালা।
 বাঙ্গালী জাতির নিজ দেশীয় ভাষা পেল সন্মান 
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মান।
গর্বিত জাতি আজ বিশ্বদরবারে,গর্বিত মাতা  
যারা জন্ম দিয়েছে এমন বীর সন্তান।
তেষট্টি বছর পরে স্থান করে নিয়েছে ভাষাস্থম্ভ
জাতিসংঘ প্রবেশ দ্বারে।
বিশ্ব জুড়ে বাঙ্গালীর মতো এমন গৌরবময় অর্জন
আর কে করিতে পারে?
ভাষার জন্য নিজ প্রাণ উৎসর্গ করে
বর্ণমালাকে করেছে যারা বলিয়ান।
যুগে যুগে দুনিয়াময় সকল মানুষের কাছে
কীর্তি তাদের হয়ে রইবে মহিয়ান।
================
০২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
ভার্জিনিয়া, ইউ এস এ
(লেখকের একক সর্বস্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত)