Thursday, July 11, 2019

"মায়ের ফোন" 


"মায়ের ফোন"
মিজানুর ভূইয়াঁ

তোমাকে ফোন করার দায় থেকে
তুমি আমাকে মুক্তি দিয়ে গিয়েছো মা।
তোমাকে এখন আর ফোন করা হয়না;
আগের মতো প্রতিদিন।
ফোন করার তাগিতও অনুভব করিনা,
কারণ সেই ফোনটি এখন আর আগের মতো বেজে উঠেনা;
আর তুমিও হ্যালো বাবা বলে ফোন উঠাওনা।
তুমি যেমনি একেবারে চুপচাপ হয়েগেছো;
তোমার ফোনটিও বিগত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে
একেবারে চুপচাপ নিবৃতে গুমাচ্ছে।
বিগত সাড়ে পাঁচ বছর তোমাকে ফোন করতে হয়নি;
তাই এই সুদীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সে নাম্বারটিও
আমার স্মরণ তালিকা থেকে মুছেগেছে।
কি সাংগাতিক নিয়ম এই ভবলীলার;
এক সময়ে যা কিছু সবার কাছে অতি প্রিয়,
সময়ের ব্যবধানে সেসবও মুছে যায় প্রিয়তালিকা থেকে।
  আজ অনেকদিন পর হঠাৎ করেই
সেই নিশ্চুপ এবং আমার স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়া
ফোনটি একই শব্দে বেজে উঠলো।
মায়ের নামে সংরক্ষিত ফোন নাম্বারটি
হঠাৎ করে আবার আমার চোখের সামনে জ্বলসে উঠলো;
আমার মুঠো ফোনের পর্দায়।
আমি বিস্মিত এবং কিছুটা আনন্দিত ও অবিশ্বাস!
সেকি তবে মায়ের ফোন!!! এ কি করে সম্ভব!
এই ফোন তো অনেক আগেই বিলীন হয়েগেছে;
তবে কি সত্যি মা ফোন করেছে!!!
একটু আশা নিয়ে সুখানন্দে হ্যালো বলতেই;
ছোট বোনটি ওপাড় থেকে সালাম দিয়ে
আমাকে কৌশলাদি জিজ্ঞেস করতে শুরু করলো;
আমি সকল কিছুর উত্তর দেয়ার আগেই জিজ্ঞেস করলাম,
এই ফোন তুই কোথায় পেলি!
আর তোর নিজের ফোনইবা কোথায় ।
সে বিনয়ের সাথে বললো ভাইজান,
আমার ফোনটি কোনো কারণে কাজ করছিলোনা
মায়ের নাম্বারটি আমার সংরক্ষণে ছিল;
আর তাই সেই নাম্বার থেকেই আপনাকে কল দিলাম।
আমার বুকের ভেতর যতোটুকু আশা জেগে উঠেছিলো,
নিমিষেই তা হতাশার তিমিরে ডুবে গেলো;
তবে এই ভেবেই একটু স্বস্তি পেলাম
মা হয়তো নয়,
অন্তত মায়ের ফোনটিতো আবার বেজে উঠেছে।
মা হয়তো চলেগেছে আমাদের ছেড়ে,
মায়ের ফোনটিতো আজও বেঁচে আছে।
প্রিয় স্মৃতিরা এভাবেই বেঁচে থাকে;
আসলে কখনোই একেবারেই বিলীন হয়ে যায়না।
জীবনের কোনো না কোনো এক সময়
অলৌকিকভাবে ভেসে উঠে।
জীবিত আত্নার সাথে বিদেহী আত্নার
শান্তি সম্মলনে মিলিতি হয় কোনো এক মহাক্ষনে।
প্রিয় স্মৃতিরা কখনোই হারায়না
সব সময় আশেপাশেই বিচরণ করে‘
থাকে হৃদয়য়ে এবং প্রিয় মানুষের সাথে।
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆

১১ই জুলাই ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ

Friday, July 5, 2019

 ☆☆☆ত্রিরত্ন☆☆☆

সময়ের অগ্রদূত, সর্বজন শ্রদ্ধেয়, বিজ্ঞ ও গুণীজন ওয়াশিংটনে বাংলার ত্রিরত্ন ও সাদা মনের মানুষ জনাব ওয়াহেদ হোসাইনী ( Rtd. World Bank), ডঃ সুলতান আহমেদ ( Rtd. World Bank) এবং কাফি খানের (Rtd.voice of America) প্রতি যথাযত সন্মান প্রদর্শনে এবং সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় আমার এই ক্ষুদ্র নিবেদন ll


        ☆☆☆ত্রিরত্ন☆☆☆
             মিজানুর ভূইয়াঁ

ত্রিরত্ন বাংলার থাকুক অতি যতনে
হৃদয়ের মনিকোঠায় সবার।
মুখের এই হাসি থাকুক চির অমলিন
হয়ে আনন্দ অনিবার।
জন্মেছে সেই কোনো এক শুভক্ষণে
ধরণী তাই ধন্য সেকারণে।
প্রদীপ আলোয় চারিদিক ভরেছে আলোকবন্যায়
জীবন হয়ে থাকুক স্বরণে ও বরণে l
প্রবাসে বাংলার এই তিন অগ্রদূত শান্তির মশাল হাতে উজ্জ্বল করেছে বাংলার মুখ।
বাংলার সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে দুনিয়া জুড়ে
পেয়েছে সন্মান; তাই আজ এতো সুখ।
আত্নত্যাগের মহিমায় যারা নিবেদিত প্রাণ
ফুটিয়েছে হাসি অনাথের মুখে।
নিজের সময় আর শ্রম দিয়ে
চেষ্টা শুধু কিছু একটা করা,অপরের সুখে।
সময়ের অগ্রদূত ক্লান্তিবিহীন এগিয়েছে পথ
কঠিন শ্বপতের ঝান্ডা হাতে।
সময় এখন এগিয়ে আসার, নতুন কান্ডারি
বাকি পথ দিতে পাড়ি হেটে একসাথে।
হাজার বছর বেঁচে থাকুক
শান্তির প্রতীক ত্রিরত্ন; মুখে নিয়ে অমলিন হাসি।
সুখ আর আনন্দে ভরে উঠুক জীবন
চারিপাশে ফুল ফুটুক রাশিরাশি। ♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡♡
৫ই জুলাই ২০১৯
ভার্জিনিয়া ইউ এস এ